শীতে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কিভাবে
শীতে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কীভাবে সেই বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বিষয়টির সঠিক তথ্য পেতে হলে আমার লেখা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিষয়টি।
আমাদের মধ্যে এমন অনেক বাবা মা আছেন যারা এখনও শিশুর সঠিক যত্ন কভাবে নিতে সেটা পর্যন্ত তারা জানেনা। বিশেষ করে শীতে শিশুর যত্ন নেওয়াটা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। যেটা আমাদের প্রত্যেক বাবা মায়ের জানা উচিত।
ভুমিকা
নবজাতক শিশুদের অনেক যত্ন ও সাহায্যের প্রয়োজন হয়। শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারনে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমত কাজ করেনা। শীতের সময় ভাইরাস ও জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে ।এবং বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম তাই তারা অসুস্থ্য হয় বেশি।
আপনার শিশুর ঘরটি আরামদায়ক ও উষ্ণ রাখা আপনার শিশুকে শীতের কঠিন বাতাস থেকে সুরক্ষিত রাখবে। সেই জন্য আপনার ঘরের জানালা বন্ধ রাখুন ও দরজা গুলো ভাল্ভাবে লক রাখবেন ।
শীতে শিশুদের ঠাণ্ডা বাতাস ও ধুলাবালি থেকে দুরে রাখতে হবে ।শিশুকে ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী
শীতে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কীভাবে
আমরা সবাই শীতকে ভালবাসি,কিন্তু বাইরে যখন অনেক বেশি শীত পরে তখন জীবন নিয়ে চলাফেরা করাটা অনেক কঠিন হয়ে পরে ।আপনি যেসব কাজ ঘরে বসে করতে চান ও আপনি যদি একজন নতুন মা হন, তাহলে আপনি আপনার শিশুকে শীতের বাতাস থেকে কিভাবে রক্ষা করবেন ?
আরও পড়ুনঃ শিশুর বাড়তি খাবার ও পুষ্টি চাহিদা কি
আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কম সঠিক ভাবে সে এখনও বিকাশ লাভ করেনি, তাই সে সর্দি ও ঠাণ্ডা রোগের সংক্রমণে আক্রত্ন হবে এটা সাভাবিক। রোগ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থার মাধমে আপনি আপনার শিশুকে ভাল রাখতে পারবেন ।
শীতকালে শিশুর যত্ন নেওয়া গুরুপ্ত পূর্ণ কেন
নবজাতক শিশুদের অনেক যত্ন ও সাহায্যের প্রয়োজন হয়। শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারনে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমত কাজ করেনা।তারপরে বেশিরভাগ এনার্জি শরীরের তাপমাত্রা ঠিকভাবে বজাই রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। অন্য কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ।
এই সময় শরীরে অনাক্রম্যতা অনেক বেশি লাগে। শীতের সময় ভাইরাস ও জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে ।এবং বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম তাই তাদের অসুস্থ্য হয় বেশি ।শীতে শিশুদের ঠাণ্ডা বাতাস ও ধুলাবালি থেকে দুরে রাখতে হবে ।
শীতকালে আপনার শিশুর যত্ন নেয়ার প্রয়োজনীয় টিপস
শীত কালে আপনি আপনার শিশুর ত্বক ও স্বাস্থের যত্ন নিতে পারেন কিভাবে এবং চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন। আমরা সবাই শীতকালকে ভালবাসি । যদি আপনি নতুন মা হন তাহলে শিশুকে বাইরের বাতাস থেকে দুরে রাখুন। যে শিশু সারাবছর সুস্থ্য ও ভাল থাকবে তার জন্য কিছু টিপস আলোচনা করা হল ।
আপনার শিশুকে ম্যাসাজ করবেন
আপনার শিশুকে সঠিকভাবে বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য আপনি প্রতিদিন তাকে ম্যাসাজ করবেন ।এতে করে আপনার শিশুর শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ম্যাসাজ করার জন্য ভাল তেল ব্যবহার করুন। এবং এটি করার সময় নিশ্চিত হন যেন আপনি তাকে যেই ঘরে ম্যাসাজ করে দিবেন সেই ঘর গরম কিনা ,বিশেষ করে শীতে মুসুমে । শিশুর ত্বক খুবই কোমল তাই তাদের ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ শিশুর মুখে সারা শরীরে বেবি লসান ,বেবি অয়েল গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করবেন।
অনেক পণ্য ব্যবহার করবেন না
নতুন বাবা মা হিসাবে আপনি দোকানে শিশু যত্নের নতুন পণ্য কিনতে চাইবেন। আপনি প্রলোভনে যাবেননা । কারন আপনার শিশুর ত্বকে প্রচুর পণ্য ব্যবহার করা শিশুর কোন কাজে আসবেনা।প্রতিদিন সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করবেনা, এগুলকে এড়িয়ে চলুন।
ভারী কম্বল ব্যবহার করবেন না ।
আপনার শিশুকে উষ্ণ রাখার জন্য ভারী কম্বল রাখা শীতকালে আপনার শিশুকে আরাম দেওয়ার ভাল উপায় বলে মনে হতে পারে । তবে এটি তাকে উষ্ণ রাখার নিরাপদ উপায় নয় । কারন কম্বল ব্যবহার করলে শিশু হাত পা নড়াচড়া করতে পারবেনা এতে করে তার বিপদ হতে পারে ।তাই আপনি শিশুকে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখবেননা ।সেই জন্য শিশুকে হালকা কম্বল দিয়ে, অথবা রুম হিটার দিয়ে আপনার ঘরকে উষ্ণ রাক্ষতে পারেন ।
আপনার শিশুকে কিভাবে সাজাবেন
শিশুকে সবসময় সোয়েটার ,টুপি, মোজা, ইত্যাদি দিয়ে রাখলে এতে করে শিশুর নড়াচড়া তে বাধাগ্রস্ত হতে পারে,এবং সে বিরক্ত হতে পারে । তাই শিশুকে ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী শীতের পোশাক পড়ান। এমন পোশাক বেছে নিবেন যেন তার পোশাকটি ছোট না হয়।আর তার পুরো শরীরটা ঢেকে রাখে । আপনি তাকে গ্লাভস মজা পরাতে পারেন । এতে আপনার শিশুকে উষ্ণ রাখবে ও রাতে ঘুমাতে আরাম পাবে।
শিশুকে ঘরে রাখার তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন
আপনার শিশুর ঘরটি আরামদায়ক ও উষ্ণ রাখা আপনার শিশুকে শীতের কঠিন বাতাস থেকে সুরক্ষিত রাখবে। সেই জন্য আপনার ঘরের জানালা বন্ধ রাখুন ও দরজা গুলো ভাল্ভাবে লক রাখবেন ।বাড়িটা বাতাস চলাচল থাকা নিশ্চিত করুন। দরকার হলে ঘরে রুম হিটার ব্যবহার করুন যেন আপনার শিশু নিজেকে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
নিজের স্বাস্থ্য ভাল রাখবেন যেভাবে
আপনি আপনার শিশুর জন্য যোগাযোগ এর প্রথম ব্যক্তি হচ্ছেন ।তাই আপনার পরিষ্কার ও সুস্থ্য একান্ত প্রয়োজন। আপনি যখন আপনার শিশুর কাছে যাবেন তার আগে আপনার হাত ধুয়ে পরিস্কার করবেন এবং স্যানিটাইজার দিয়ে জিবানুমুক্ত করুন।
শিশুকে সুস্থ্য ও ভাল রাখার উপাই
শিশুকে সুস্থ্য ও ভাল রাখতে হলে কিছু নিয়ম বা উপায় বাবা মা কে মেনে চলা প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার শিশুর জন্য নতুন বাবা মা হন, তাহলে আপনাকে উপায় গুল জানতে হবে। যেমন
- শীতে শিশুর গোসল
- শীতে শিশুর খাবার
- শিশুকে সময় মত টিকাদান
- শিশুর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা
- শীতে শিশুর গোসল
শীতে সাধারণত শিশুকে প্রতিদিন গোসল করালে শিশু অসুস্থ্য হয়ে যেতে এই ধারনা অনেক বাবা মা করে থাকেন।তাই শিশুকে গোসল করাতে ভয় পান।কিন্তু তাদের গোসল না করালে তার অন্নটা হতে পারে। উষ্ণ পানি দিয়ে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানো দরকার। গোসল হয়ে গেলে নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন।
শীতে শিশুর খাবার
শীতকালে শিশুদের খাবার খাওয়া প্রায় কমে জাই।এতে শিশুর শরীর খারাপ হতে পারে,এ সময় শিশুর খাবার ভিটামিন সি থাকা দরকার। যেমন মালতা,লেবু,পেয়ারা, কমলার মত ফল বেছে নিতে পারেন। যেসব শিশু চিবিয়ে খেতে পারেনা তাদের সব্জি খিচুরি , ফলের রস, ডিমের কুসুম স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন
শিশুকে সময় মত টিকাদান
শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সময় মত টিকা দিতে হবে। বিশেষ করে শিশুর ছয়টি প্রধান টিকা গুল দিতে হবে।
শিশুর স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা
শিশুকে বাইরের বাতাস এবং ধুলাবালি থেকে দুরে রাখতে হবে। এ সময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় শিশুকে বেশি মানুষের ভিরে কম রাখাই ভাল। শিশুর গামছা, রুমাল, তয়ালে আলাদা হওয়াই ভাল। কারন আক্রান্ত ব্যক্তির হাচি, কাশি, সময় শিশুকে দুরে রাখাই ভাল।
শীতে আমাদের বাচ্চাদের একটু বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় তাঁদের শরীরে প্রতি, তাঁদের কাপড় ও প্রসাধনির ব্যবরিত জিনিসের প্রতি ,খাবারে সময় উষ্ণ গরমও পানি পান করানোর ব্যপারে খেয়াল রাখা।সকালের মিষ্টি রোদ পোহানো ,২ বা ৩ দিন অন্তর উষ্ণ গরম পানির দিয়ে গোসল করীয়ে দেয়া ।
লেখকের মন্তব্য
শীতে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কীভাবে এই বিষয়টি আশা করছি আপনারা সঠিক ভাবে জানতে পেরেছেন। এবং আপনাদের যদি এটি কোন কাজে আসে তাহলে আপনারা অবশ্যই লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ !
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url