OrdinaryITPostAd

শিশুর বাড়তি খাবারের গুরুত্ব কি

আপনারা অনেকই শিশুর বাড়তি খাবারের গুরুত্ব কি সেই সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে সঠিক তথ্য কি পেয়েছেন? আজ আমি আপনাদের সাথেএই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।বিষয়টি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

শিশুর বাড়তি খাবার ও পুষ্টি চাহিদা কি



শিশুর বাড়তি খাবার ও পুষ্টি চাহিদা কি,অনেক মায়েরা জানেনা, সঠিক জ্ঞান ও সচেতনার অভাবে শিশু অপুষ্টি হীনতাই ভোগে। তাই শিশুর ঠিক ভাবে খাবারের প্রতি খেয়াল ও যত্ন নিলে শিশু সুস্থ্য ও সবল থাকবে।

ভুমিকা

স্বাস্থ্যসম্মত এবং সঠিকভাবে শিশুর বাড়তি খাবার দিলে শিশু সঠিক ভাবে বেড়ে উঠবে। শিশুর অসুক বিসুক হবেনা। না জানার কারণে অনেক মা শিশুকে বাড়তি খাবার দেয় না। এতে তাঁর পুষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে। তরল বা পানি জাতীয় খাবার দেয়, এতে শিশুর পেট ঠিক মত ভরে না।

শিশুকে পারিবারিক এবং তার পছন্দের খাবার দিতে হবে, বিভিন্ন ধরনের অতিরিক্ত খাবার দিতে হবে, যাতে করে শিশুর ওজন বৃদ্ধি পাই এবং তাঁর শরীরে সঠিক পুষ্টি পাই। শিশুকে চটকানো খাবার বা তাঁর বয়স অনুযায়ী সঠিক ঘনত্বের খাবার দিতে হবে।

শিশু যেটি খেতে পছন্দ করে তাঁর জন্য সেটি রান্না করতে হবে। খাবারটা নরম হতে হবে, সেটি শিশুকে বার বার খাওয়াতে হবে। শিশুর খাবার ঝাল হলে বা বেশি লবণ খাবারটি পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।

শিশুর বাড়তি খাবারের গুরুত্ব কি 

শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে বাড়তি খাবার দেওয়া শুরু করতে হবে। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি মায়ের দুধে পূরণ হলেও শিশুর অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই এই সময় শিশুকে বাড়তি খাবার দিতে হবে।

অল্পবয়সী শিশুকে মুখে তুলে খাওয়াতে হবে। যারা একটু বড় তাঁদের নিজে খেতে সাহায্য করতে হবে। তারা কিভাবে খাবে কতখানি খাবে সেটি সিকিয়ে দিতে হবে। তাঁদের ইচ্ছা ও পচ্ছন্দ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। শিশুকে জোর করে খাওয়ানো যাবেনা। তাকে সময় নিয়ে ধিরে ধিরে খাওয়াতে হবে।
তাকে নানা ধরনের খাবার দিতে হবে, শিশুকে যদি ক্লান্ত বা ঘুমন্ত অবস্থায় খাওয়ানো যাবেনা।

শিশুর বাড়তি খাবার 

শিশুর ৬মাস বয়স পর থেকে তাঁর সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শুধু মায়ের দুধই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি তাকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। সঠিক বাড়তি খাবার বলতে সঠিক খাবার সঠিক পরিমাণে সঠিক ঘনত্বের সঠিক সময়ে খাওয়ানকে বঝায়।

শিশুর বাড়তি খাবারের প্রকারভেদ

  • শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য ৩ ধরনের বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়।
  • বৃদ্ধিকারক খাবার- যেমন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ।
  • সক্তিদায়ক খাবার- যেমন, ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি
রোগ প্রতিরোধ খাবার- যেমন, সবুজ শাঁক সবজি রঙ্গিন দেশি ফলমূল

শিশুর খাবারের ধরন

বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক খাবার থেকে শিশুর জন্য বাড়তি খাবার তৈরি করতে হবে। কমপক্ষে ৪ ধরনের প্রতিদিনের খাবার তৈরি করতে হবে, এর ভেতর দিনে ১টি প্রাণীজ খাবার থাকতে হবে।
  • ভাত, রুটি,প্রাণীজ খাবার মাছ, মাংস, ডিম, মুরগির কলিজা
  • দুধ এবং দুধের তৈরি খাবার
  • ঘি, তেল চর্বি , বাদাম
  • বিভিন্ন ধরনের ডাল
  • ঘন সবুজ ও লাল শাঁক, এছাড়া হ্লুদ কমলা, গাজর, পাকা আম, পেপে, কলা, মিষ্টি কুমড়া।

শিশুর বাড়তি খাবারের উপকারিতা

মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়া শুরু করলে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে।এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়, এবং তাঁর ব্রেইন ভালো হয়। পুষ্টিকর বাড়তি খাবার খেলে শিশুর অসুক কম হয়। 

ঠিকভাবে বাড়তি খাবার খাওয়ালে সাধারন অসুক থেকে শিশু সেরে ওঠে। ৬মাস পূর্ণ হওয়ার আগে শিশুকে বাড়তি খাবার দিলে মায়ের দুধ খাওয়া কমিয়ে দিবে। ফলে সে সঠিক পুষ্টি পাবেনা। সেজন্য ৬মাস পর থেকে বাড়তি খাবার শুরু করতে হবে। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির সাথে সাথে অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়, তাই তাকে বাড়তি খাবার দিতে হবে।

বাড়তি খাবার খাওয়ানোর সুপারিশমালা

বাংলাদেশে ৬-২৩ মাস বয়সী শিশুদের ভেতর সঠিক নিয়মে বাড়তি খাবারের হার শতকরা ২১ ভাগ। সঠিক নিয়মে বাড়তি খাবারের ব্যাপারে ঘাটতি শতকরা ৭৯ভাগ। ৬-৮মাস বয়সী শিশুদের ভেতর এই হার মাত্র শতকরা ৬ভাগ। ও ঘাটতি শতকরা ৯৪ ভাগ, ১৮-২৩মাস বয়সী শিশুদের শতকরা ৩১ভাগ ও ঘাটতি শতকরা ৬৯ ভাগ।

বাড়তি খাবারের ক্ষেত্রে এ ঘাটতি বাংলাদেশে শিশুদের অপুষ্টির অন্যতম কারন। এসব ঘাটতি পূরণ করার লক্ষে শিশুর বাড়তি খাবার খাওয়ানোর ওপর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ মালা প্রনয়ন করেছে।

শিশুকে আয়রন ও ভিটামিন এ খাওয়ানো

বাংলাদেশে রক্তস্বল্পতা ও ভিটামিন এ অভাবে রাতকানা রোগ হয়। এটি একটি বিরাট জনসমস্যা ভিটামিন এ এর ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ফলে শিশু অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সে জনয শিশুকে আয়রন ও ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পারিবারিক খাবার থেকে আয়রন ও ভিটামিন এ যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়না।

তাই এসব তাঁদের অতিরিক্ত ভাবে দিতে হবে, বছরে ২বার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। বাংলাদেশে সরকারি ভাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়।নানা কারণে অনেক মা শিশুকে এগুল খাওয়ার গুরুত্ব দেয়না ফলে শিশুর বিভিন্ন অসুক হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

শিশুর বাড়তি খাবার ও পুষ্টি চাহিদা বিষয়টি আপনাদের কাছে নিশ্চয় বোঝতে আর কোন সমস্যা নেই। এই সঠিক তথ্য গুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবেন। এবং আপনার কোন মতামত থাকলে আপনি আপনার মন্তব্য লেখে দিতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url