গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি ও অপুষ্টি কি
একটি পরিবারের সকলের সহযোগীতাই একজন গর্ভবতী মা সুস্থ্য ও সবল শিশু জন্ম দিতে পারে।গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি ও অপুষ্টি কি? তার সঠিক তথ্য আজ আপনাদের সাথে আলাপ আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো কি।
পেজ সূচিপত্রঃ
- গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি ও অপুষ্টি কি
- গর্ভবতী মায়ের খাবারের ধরণ
- গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি কি
- গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি কি
সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতার অভাবে মা ও শিশু উভয়ই পুষ্টি হীনতায় ভোগে।এজন্য এদের কী কী খাবার কত বার, কী পরিমাণে খাওয়া দরকার তা সবাইকে জানতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি ও অপুষ্টি কি
গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তাঁদের কিছু অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। কেননা মায়ের পাশাপাশি শিশুরাও তাঁদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের ওপর নির্ভরশীল। গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সম্পূর্ণ ভাবে মায়ের পুষ্টির উপর নির্ভর করেএকজন সুস্থ্য মা একটি সুস্থ্য সবল শিশু জন্ম দেয়।
তাই মাকে সুস্থ্য থাকতে হবে। মা ও শিশু পরিবারের সকলকেই এই বিষয় সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবেযেন মা ও শিশু উভই রোগ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঝুকি থেকে বেঁচে যায়। এই সময় মাকে কোন ধরনেরখাবার দিতে হবে? কিভাবে যত্ন নিতে হবে?এই বিশেষ দিক গুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
পুষ্টি মানুষের সারা জীবনের সাথে সম্পর্কিত, তথাপি গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের পুষ্টিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মা যদি সঠিক খাবার ও যত্ন না পায়, তাহলে কম ওজনের শিশু জন্ম নিবে যে ক্ষতি কখনো পূরণ হবার নয়। মা ও শিশুদের অঙ্গা অঙ্গিভাবে জড়িত, এবং একটি অপরটিকে দেকে
আনে। মায়ের অপুষ্টি জনিত কারনে শিশুর বিকাশ ও বৃধি বাধাগ্রস্ত হয়, যেটা পড়ে কাটিয়ে ওঠা যায় না।
শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য মাকে সময় মত সঠিক খাবার এর পরিমাণ ও পুষ্টি যথাযথ ভাবে নিশ্চিত করতে হবে। নয়লে শিশুর পুষ্টিতে ঘাটতি দেখা দিবে।
গর্ভবতী মায়ের খাবারের ধরণ
- শস্যজাত-ভাত, গম,ভুট্টা,জাতীয়, খাবার, আলু।
- ডাল- বিভিন্ন ধরনের শিমের বিচি, মটরশুঁটি ইত্যাদি।
- যেসব ফলমূল ও খাবারে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ আছে, যেমন আম, পেপে, কমলা, সবুজ শাঁক।
- প্রাণীজ খাবার-মাংস মাছ, ডিম, কলিজা,ও দুধের তৈরি খাবার।
- তেল, ঘি, মাখন, বিভিন্ন তৈল বীজ যেমন,তিল, তিসি।
এক মাসের গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা
একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথম দিকে তার শরীরের বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। হরমোন কত কারণে তার স্বাভাবিক মেজাজ এর পরিবর্তন, শরীরে ক্লান্তি, এবং তার সাময়িক অসুস্থ বোধ লাগবে।এক মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় যে খাবারগুলো থাকবে সেগুলো হল। গর্ভবতী মা প্রতিদিন প্রোটিনযুক্ত
খাবার খাবে যেমন মাছ-মাংস ডিম ডাল দুধ ইত্যাদি খাবার। কারণ এ সময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে ৭০থেকে ১০০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণত হয়ে থাকে বিষয়টি কমন। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর জন্য প্রয়োজন ভাত ওট, ছোলা, ব্রকলি, সবুজ
শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়া। গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় দুধ বা টক দই রাখা যেতে পারে। এছাড়াও দুগ্ধ জাতপন্ন খাবার খাবে যেমন ফোরটিফাইড দ্রব্যাদি যেমন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারে। ভ্রুনের প্রাথমিক বিকাশের সময় ফলিক এসিড নিউরাল টিউব গঠনের সাহায্য করে।
এই ফলিক এসিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি শিশুর মস্তিষ্ক বা অনেন্স শেফালী এবং মেরুদন্ড স্পাইনা বিফিডা কিছু কিছু বড় জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি ফলিক এসিড ওষুধ সেবন করলেও আপনার খাদ্য তালিকায় ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখার অত্যন্ত প্রয়োজন।
এছাড়াও আপনি গর্ভাবস্থায় আয়োজনযুক্ত লবণ ব্যবহার করুন কারণ এটি আপনার শিশুর স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।
পঞ্চম মাসের গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা
পঞ্চম মাসে গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় যে খাবারগুলো থাকবে সেগুলো হল। এ সময় আপনি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন যাতে করে আপনার সন্তান এর শারীরিক বিকাশ সুনিশ্চিত করে। কারণ প্রোটিন অ্যামিনো এসিড হল দেহ গঠনকারী উপাদান। ডাল ছোলা বাদাম শস্য বীজ ইত্যাদি প্রোটিন যুক্ত
খাবার পঞ্চম মাসের গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। শস্য জাতীয় খাবার ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন ই ভিটামিন ডি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার। ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার শরীরের দাঁত ও হাড়ের গঠন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই এ সময় ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গর্ভবতী মায়ের খাওয়া
প্রয়োজন। মালবেরি, তুত ফল, শুকনো ডুমুর এবং খেজুর অত্যন্ত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এ সময় গর্ভবতী মাকে প্রচুর পরিমাণে সালাত খাওয়া প্রয়োজন। কারণ শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি খনিজ এগুলি পাওয়ার সেরা উপায় হয়ে উঠবে। সাজিয়ে রাখা সালাদ এবং সবজির আচার এসব খাবার থেকে বিরত
থাকুন কারণ এই সবে সোডিয়ামের উপাদান অনেক বেশি থাকে। প্রতিদিন আপনি যে উপাদানের খাবার খান সেই খাবারের পুষ্টিগুলো গবেষণা করুন সেগুলি কতটা পরিমাণে আপনার খাওয়া প্রয়োজন, কারণ আপনার খাবারের কতটা পরিমাণ পরিবর্তন করা উচিত যদি আপনার প্রয়োজন হয়।
গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার কি
একজন গর্ভবতী মাকে নতুন জীবন জন্ম দিতে গিয়ে অনেক কিছুই মেনে চলতে হয়, অনেক চিন্তাভাবনা করে খাবার খেতে হয় শুধুমাত্র তার গর্ভে সন্তানকে ভালো রাখার জন্য ও সুস্থ রাখার জন্য।গর্ভবতী মায়ের যেসব খাবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো আলোচনা করা হলো। গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা
অর্ধেক সিদ্ধ ডিম খাওয়া যাবেনা এ খাবার থেকে দূরে থাকুন। পোড়া মাংস রোস্ট বিরিয়ানি এসব জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। এই সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি বা কোন ড্রিংস জাতীয় খাবার খাওয়া জাবেনা।
এ সময় কলা, পেঁপে, আনারস এজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন কারণ এসব খাবার শরীরের তাপমাত্রা
বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ অন্যান্য খাবার গুলো আলোচনা করা হলো।
আরও পড়ুনঃ কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুণ কি
- কাঁচা পাস্তুরায়ন ছাড়া দুধ এবং এবং সে ধরনের দূর থেকে তৈরি কোমল পনির
- যে খাবারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে সে খাবার খাওয়া যাবেনা
- কাঁচা ও পুরোপুরি রান্না না হওয়া খাবার যেমন সসেজ ও কোল্ড কাটা
- কাঁচা মাছ ও সাগরের খাদ্য
- কিছু কিছু মাছে পারদ বা মার্কারি থাকে এসব খাবার থেকে দূরে থাকুন
- চা-বা কফি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন
- কাঁচা ডিম খাওয়া যাবেনা
গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি কি
গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি কি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। একটি শিশু সুস্থ থাকা নির্ভর করে তার মায়ের পুষ্টির ওপর। একজন গর্ভবতী মায়ের অপার্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করা, অপুষ্টি ও কম ওজনের কারণে একটি অপুষ্ট শিশুর জন্মগ্রহণ করে। এছাড়া মায়েরও অপুষ্টির অভাব, দুর্বলতা, এবং রক্তশূন্যতা ও আমিষের
অভাব দেখা দিতে পারে। সেজন্য একজন গর্ভবতী মায়েকে তার খাবারের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। যাতে করে সে সুস্থ ও সবল সন্তান জন্ম দিতে পারে। ভ্রণের সঠিক বৃদ্ধি স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। একজন গর্ভবতী মায়ের শরিলে প্রতিদিন ৯০
থেকে ১০০ গ্রাম আমি সেই প্রয়োজন হয়। একজন পুরনো বয়স্ক মেয়ের শরীরে দৈনিক 30 গ্রাম লৌহ বা আয়রনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে 38 গ্রাম লৌহ বা আয়রনের প্রয়োজন হবে। লোভ আয়রন জাতীয় খাবার যেমন কচু শাক, পালং শাক, ট্যাংরা মাছ, খেজুর শুকনো ফল সবুজ
শাকসবজি ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের জন্য ৩ মাসের পর থেকে অন্ততপক্ষে দিনে ১ বার ১ টি করে, আয়রন ও ফলিক এসিড বড়ি (৬০ মি,গ্রা, আয়রন ও ০,৪ মি, গ্রা, ফলিক এসিড ) খেতে হবে। গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি নির্ভর করে মায়ের সঠিক পুষ্টির ওপর। সেজন্য
গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।গর্ভবতী মাকে দিনে ৩ বারের পরিবর্তে ৪ বার খাবার দিতে হবে। অতিরিক্ত খাবার হিসাবে প্রতিবার স্বাভাবিক এর চেয়ে আরও এক মুঠো ভাত বেশি দিতে হবে। এছাড়া, ডাল, শাঁক সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, তিনটির যেকোনো একটি দিনে একবার দিতে হবে।এতে মা
সুস্থ্য ও সবল থাকবে এবং একটি সুস্থ্য ও স্বাস্থ্যবান বাচ্চার জন্ম দেবে। মায়ের ঘাটতি পূরণ ও শিশুর হাড় গঠনের জন্য গর্ভাবস্থায় ৩ মাসের পর থেকে ২ টি ক্যালসিয়াম বড়ি (৫০০ মি,গ্রা,) ভরা পেটে প্রতিদিন দিতে হবে। এই সময় যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।
প্রসূতি মায়ের পুষ্টি কি
প্রসূতি কালিন সময়ে মা যেহেতু শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ায় সেজন্য এ সময়ে মায়ের পুষ্টির দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। কারন গর্ভকালীন সময়ের চেয়ে প্রসূতি কালীন সময়ে তাঁর পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। প্রসূতি মাকে গর্ভকালীন সময়ের চেয়ে বেশি খাবার দিতে হবে।তাকে দিনে ৫ বার খাবার দিতে হবে।
প্রতিবার খাবার সময়ে প্রসূতি মাকে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ মুঠো বেশি খাবার খেতে হবে। এতে মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত হবে। এবং মা তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠবে প্রসবের ৩ মাস পর্যন্ত মাকে নিয়মিত প্রতিদিন আয়রন ফলিক এসিড, এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে।এতে করে প্রসবের রক্ত ক্ষরণের কারণে সৃষ্ট রক্তস্বল্পতা হবেনা।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন পোস্টের তালিক
গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি কি
গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি কি আলোচনা করা হলো।একজন অপুষ্টি মা জন্ম দিচ্ছে একটি অপুষ্ট শিশু। অপুষ্টির কারণে দেশে ২৩ শতাংশ অপুষ্ট শিশু জন্ম-নিচ্ছে প্রয়োজনীয় ওজনের তুলনায় কম ওজনের শিশু।গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি কি আলোচনা করা হলো। খাদ্য ও পুষ্টি সংকটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বারটি
দেশে অপুষ্টিতে ভোগা গর্ভবতী ও মায়ের দুধ পান করানো কিশোরী ও নারীর সংখ্যা বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউনিসেফ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শুধুমাত্র দারিদ্র্যের কারণে যে মা ও শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে, তা নয় এর কারণ অসচেতনতা ও অজ্ঞনতার জন্য অনেকেই দায়ী। এছাড়াও শহরের
বস্তি অঞ্চলের মা সহ অন্য শিশু পরিচর্চা কারীদের ৭৩ শতাংশ স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণ মেনে চলেনা। যার কারনে দেশের ৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে অনেক শিশুই অপুষ্টিতে ভুগছে। এদের মধ্যে বয়সের তুলনায় ৩৬ শতাংশ উচ্চতা কম, ১৪ শতাংশ কৃষ্ণকায় এবং কম ওজনের ২৩ শতাংশ। এছাড়া গ্রাম
এলাকায় বিভিন্ন পরিবারে গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের কম খেতে বাধ্য করেন।সেজন্য গর্ভবতী মা কোন ক্লিনিকে চেকআপের জন্য যখন যাবেন তাদের এ সকল বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী।একজন স্বাস্থ্যবান মেয়ে শিশু জন্মগ্রহন করার পর তাঁর যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করতে
০৪আরও পড়ুনঃ নিম তেলের উপকারিতা ও পাতার গুণাগুণ কি
পারলে সে সুস্থ্য সমর্থ্য হিসেবে কিশোরী বয়সে পদার্পণ করে। একসময় তাঁর বিয়ে হয়। গর্ভকালীন সময়ে অপুষ্টিতে না ভুগলে সে একটি সুস্থ্য শিশুর জন্ম দেবে। অপরদিকে গর্ভাবস্থায় মা যদি যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার না পায় তাহলে কম ওজনের শিশু জন্ম দেবে।শিশু অসুস্থ্যভাবে বড় হয়ে উঠবে,অপুষ্টিতে ভুগবে। বড় হয়ে বিয়ে হলে তাঁর শিশুরও অপুষ্টিতে ভোগার আশঙ্কা থাকে। এইভাবেই অপুষ্টি চক্রাকারে চলতে থাকবে। যেমন।
- স্বল্প ওজনের শিশু
- অপুষ্টি কিশোরী
- অপুষ্টি গর্ভবতী মহিলা
একজন গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না থাকলে সে কম ওজনের শিশু জন্ম দেয়। এতে করে শিশুর বৃদ্ধি বিকাশে ব্যাহত হয়। শিশুর বিভিন্ন ধরনের অসুক হয়। তাঁর কিশোরী কালে খাবারের চাহিদা কমে যায়, এবং দুর্বল হয়ে যায়। বিয়ের পর যখন সে মা হয় তখন অপুষ্টিতে ভোগার কারণে তাঁর শিশুও অপুষ্টিতে ভোগে।
কোন কোন মা মনে করেন, যে বেশি পরিমাণে বা পুষ্টিকর খাবার দিলেই তাঁর বুকে বেশি পরিমাণে দুধ আসবে এটি ঠিক নয়। তবে তা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মায়ের বুকে দুধ আসার জন্য শিশুকে বারে বারে বেশি সময় নিয়ে সঠিক ভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
উপরিউক্ত আলচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই বলা হয়েছে, গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি ও অপুষ্টি কি? সম্পর্কে যে বিষয় গুলো তুলে ধরা হয়েছে, একজন সুস্থ্য মা পারে একটি স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দিতে। এবং পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফোটাতে। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান, প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন এবং সব সময় চিন্তামুক্ত থাকুন।
আমার এই আর্টিকেল টি লেখার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে যদি সঠিক তথ্য ও সঠিক ধারনা দিতে পারি এবং আপনাদের যদি ভাল লাগে তাহলে লাইক, কমেন্ট, ও অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার একটি মূল্যবান মতামত দিতে পারেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url