OrdinaryITPostAd

নাক বন্ধ হলে করনীয় কি এবং নাকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার কি

নাক বন্ধ হলে করণীয় কি এবং নাকের রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার কি? এই বিষয়টি হয়তো অনেকেই জানেন না, এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বিষয়টি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নাক বন্ধ হলে করনীয় কি এবং নাকে রক্ত পড়ার কারণ ও  প্রতিকার কি

পোস্ট সুচিপত্রঃ  

আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গের মধ্যে নাক একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এর যত্ন সঠিক ভাবে না নিলে আমাদের পরবর্তীতে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের সাবধানতা মেনে চলা প্রয়োজন।

নাক বন্ধ হলে করনীয় কি এবং নাকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার কি

নাক বন্ধ হলে করণীয় কি ও নাকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার কি? এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলো।শীতের এই মোসুমে বাইরে বের হলে ঠাণ্ডা লাগবে এটাই স্বাভাবিক, ঠাণ্ডা লাগার ফলে আমাদের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে।যেমন, সর্দি =,কাশি জ্বর ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। এই সময় কিছু ঘরয়া চিকিৎসা যদি অবলম্বন করা হয়, তাহলে এই সব সমস্যা থেকে খুব তাড়াতাড়ি পরিত্রাণ পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

সাধারণত ছোট বড় সকলের নাক বন্ধ হলে অনেক সমস্যা হয়ে যায়, শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিশেষ করে যারা ছোট বাচ্চা তাঁদের জন্য অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, এই সময় বাচ্চাদের ঘরের বাইরে বের না করাই ভালো, বলে আমার মনে হয়। যদি আপনাদের বিশেষ কোন প্রয়োজন না থাকে। নাক হলে ওষুধ খেলে ভালো হয় দেরিতে এছারাও এতে অনেক কষ্ট হয়ে থাকে।

নাক বন্ধ হওয়ার কারণ কি

বিভিন্ন কারণে নাক বন্ধ হয়ে থাকে। ঠাণ্ডা লেগে, সর্দি কাশি ,ইত্যাদির মাধ্যমে। এছারাও এলারজির কারনেও হয়ে থাকে। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের সাধারণত যেটা করনীয় সেটা হল। হালকা কুসুম গরম পানি ও এক চিমটি লবন মিশিয়ে ড্রপের মত করে ছোট বড় সকলেই কয়েক ফোটা করে দিতে পারেন।

এতে আপনার নাক বন্ধ হওয়া থেকে বেঁচে যাবেন। এছাড়া গরম পানিতে মেনথলের দানা মিশিয়ে আপনি ভাপ নিতে পারেন।যাতে করে আপনার নাক বন্ধ হওয়া ভালো হতে পারে। যদি আপনাদের বেশি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

নাক বন্ধ হওয়ার সমাধান কি

নাক বন্ধ হলে আমাদের অনেক খারাপ লাগে,বিভিন্ন কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়, শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় অনেকের।আমাদের ঘরেই প্রাথমিক চিকিৎসা নাক বন্ধ হওয়ার সমাধান করা যায়। যেমন,
লবণ ও পানির ব্যবহার-হালকা কুসুম গরম পানির সাথে এক চিমটি লবণ দিয়ে মিশিয়ে কয়েক ফোটা পানি ড্রপের সাহায্যে নাকে দিন।

দিনে ৪থেকে ৫ বার করে। এতে আপনার নাকের ভেতর যত ময়লা ,সরদি,অ কফ যাতিয় কিছু থাকলে সেটা সাথে সাথে দূর করতে সাহায্য করবে।

কাচা রসুন- আমাদের খুব উপকারে আসে। বিভিন্ন খাবারের সাথে খেয়ে, অথবা কাঁচা রসুন খেলে আমাদের নাকের সমস্যা দূর করতে পারে, এছারাও রসুন হালকা ভেজে চাল ভাজার সাথে মরিচ মিশিয়ে খেলেও নাক থেকে সর্দি বের হয়ে যায়। রসুনের স্যুপ করেও অনেকেও খেতে পারেন যদিও অনেকের অভ্যাস থাকে না।

পেয়াজ- পেঁয়াজ একটি ভালো জিনিস যেটা আমাদের অনেক কাজে আসে। অনেক সময় মেয়েরা রান্নার কাজে এটা কেটে থাকে।এই পেয়েজের একটা ঝাঁঝাল ভাব থাকে যার ঘ্রান নিলে এটা নিঃশ্বাস নিতে সাহায্য করে থাকে। বেশি না ৩ থেকে ৪ মিনিট এই পেয়াজের ঘ্রান নিন দেখবেন আপনার নাক বন্ধ খুলে গেছে।

লেবু- লেবু আমারা সবাই চেনে থাকি এবং এটাও জানি যে লেবু একটি উপকারী ফল, ও এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেনট।এছারাও লেবুতে আছে ভিটামিন সি। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস,তেজ পাতা,দারুচিনি মিশিয়ে পানি গরম করে ভাপ নিন। আপনার নাক বন্ধ হওয়া ঠিক হয়ে যাবে।

তুলসী পাতা- তুলসী পাতা খুব উপকারী একটা জিনিস যেটা আমাদের কাজে আসে। আমাদের অনেক রোগ থেকে এটী ভালো করে দেয়। মধু লেবুর রস এবং তুলসি পাতা এক সাথে মিশিয়ে খেলে নাক বন্ধ ঠিক হয়, এছারাও সর্দি কাশি ভালো থাকলে ভালো হয়ে যায়।

আদা- আদাতে প্রদাহ বিরোধী উপাদান যার কারণে আদা মানুষের সর্দি কাশি জ্বর ও নাক বন্ধ হওয়া দূর করে দেয়। কাঁচা আদা খেয়ে এই সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। চায়ের সাথে আদা মিশিয়ে খেলেও ভালো হয়, এটা অবশ্য সবাই জানেন। নতুন করে র কি বলব।

তেজপাতা- তেজপাতা এমন একটি জিনিস যেটা আমাদের শরীরে ঠাণ্ডা কমাতে সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে আমাদের নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। চায়ের সাথে তেজ পাতা দিয়ে চা খেলে ঠিক হয়ে যাবে ঠাণ্ডা লাগা যত সমস্যা।

ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া- সর্দি জ্বর হলে মানুষ চিকিৎসকের কাচে যান তাঁর আগে কিছু ঘরয়া চিকিৎসা করুন। জেমন,চালের সাথে রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ভেজে নিয়ে সরিষা তেল দিয়ে খাবেন,আপনার জ্বর নাক বন্ধ সব দূর হয়ে যাবে। লিখতে গিয়ে তো আমারই জিভে জল চলে আসছে।দুক্ষিত এটা বলার জন্য।

মেনথল- মেনথল নাকের সমস্যা দূর করার একটি ভালো জিনিস। হালকা গরম পানিতে ৩ ফোটা মেনথল মিশিয়ে একটি তয়ালে বা গামছা দিয়ে ঢাকুন এবং এতে বেশি বেশি করে ভাপ নিন। আপনার নাক বন্ধ হওয়া দূর হয়ে গেছে।

উচু হয়ে শোয়া- শীত কালে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি হওয়ার কারণে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে। তাই যাতে করে আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট না হয় সেই জন্য উচু বালিশে মাথা রেখে শোয়া ভালো। এতে করে মিউকাস অল্প তৈরি হয়ে থাকে।

কিভাবে সারানো যায় 

সাধারনণত চিকিৎসকরা বলেন নাক বন্ধ হলে অ্যান্তিহিস্তামিন খেলে আপনার জন্য ভালো হতে পারে। এছাড়া নাকের জন্য প্রায় মানুষ স্যালাইন ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও পানি দিয়ে বার বার নাক ধুলেও নাক বন্ধ ভালো হয়ে যায়।

প্রতিদিন নাক পরিষ্কার করার অভ্যাস করতে হবে যেন, নাকে কোন সমস্যা না হয়। ভালো ভাবে সাইনাসনালি পরিষ্কার করতে হবে, ন্যাসাল ড্রপ দিতে হবে। এছাড়া অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল দেয়য়া ভালো। এসবের পাসে ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়া ভালো কাজে আসবে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার-আমাদের ভালো রাখার জন্য ভিনেগার খুব ভালো কাজে আসে। সর্দি জ্বর কিংবা গলা ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর সাথে মধু মিশিয়ে খাবেন।আতে করে আপনাকে অনেকটা সুস্থ্য লাগবে।

কাঁচা হলুদ-সর্দির সমস্যা থেকে দুরে রাখতে পারে কাঁচা হলুদ। পরিমাণ মত দুধ ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে, কিছুতা ঠাণ্ডা করে হালকা গরম অবস্তায় খেতে হবে। এটি আপনার শরীরের ভেতরের ইনফেকশন ভালো করতে সাহায্য করতে পারে।

ডিসপোজেবল মাস্ক-অনেক সময় এলারজির কারণে সর্দি হয়ে থাকে। মাস্ক ব্যবহার করলে বাইরের ধুল বালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের এলারজি আছে বিশেষ করে তাঁদের ভালো হয় মাক্স ব্যবহার করলে। এটি সবার উপকারে আসে। করোনা ভাইরাস সহ আরও বিভিন্ন ভাইরাস থেকে বাচা যাই।

গরম ভাপ-সর্দির কারণে নাক বন্ধ হলে সহজ উপাদান হচ্ছে গরম ভাপ। পানির সাথে আদা, তেজপাতা, নিয়ে ফুটিয়ে তয়ালা বা গামছা দিয়ে দিয়ে মাথা ঢেকে তাতে গরম পানির ভাপ নিতে হবে,এতে আপনাকে অনেকটা ভালো লাগবে।

কালোজিরা-সর্দি ও জ্বর হলে কালোজিরা খেলে ভালো হয়। কালোজিরা বেটে তাঁর সাথে কাঁচা সরিষার তেল মিশিয়ে ভাত দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি আমাদের খুব ভালো উপকারে আসে। এছাড়াও কালোজিরা ভিবিন্ন রোগের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

গরম পানি ব্যবহার-শীত কালে সাধারণত গরম পানি ব্যবহার করা অনেক ভালো। বিশেষ করে ছোট শিশুদের জন্য হালকা গরম পানি দিয়ে গসল করালে তাঁদের কোন সমস্যা হয় না। গরম পানি খেলে,এছাড়া হালকা গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন নাক পরিষ্কার করলে কোন সমস্যা হয়না।
গবেষণা বলেন, এই নিয়ম অনুসরণ করলে আপনার উপকার আসতে পারে।

  • স্যালাইন ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করা
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা
  • গরম চা এবং স্যুপ খাওয়া
  • হালকা কুসুম গরম পানিতে গসল করা
  • নাক ঝেরে ফেলে ও সর্দি আটকে না রাখা
আপনার নাক যদি অন্যান্য কারণে বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি বা আপনারা যাতে সুস্থ্য থাকেন এবং ভালো থাকেন এটাই আমার কামনা।

নাকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার কি

সাধারণত মানুষের বিভিন্নভাবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে থাকে। যেমন পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে, টিউমার বা কোন ইনফেকশন থেকে, উচ্চ উচ্চ রক্তচাপ, বিভিন্ন নেশার কারণে, এলার্জি ইত্যাদি কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব কারণ থেকে রক্ত পড়ার পাশাপাশি নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ অন্যরকম হতে পারে।
নাকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার কি


যেমন নাকের ঝিল্লি শুকনো হয়ে গেলে নাক ফেটে গেলে এবং নাক থেকে কোন আবরণ সৃষ্টি হলে সাধারণত নাক থেকে রক্ত পড়ে থাকে। নাকে যদি কোন রক্ত জমে থাকে জমে থাকা কারণে কোন ওষুধ খেলে সেটি গোলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। অনেকের বয়স হয়ে গেলেও নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে।

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ কি

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার অনেক কারণ রয়েছে বিভিন্নভাবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে যেমন, আঘাত পেয়ে, কোন অপারেশনের কারণে, সর্দি, সাইনোসাইটিস, এছাড়া নাকের ইনফেকশন গত কারণেও হয়ে থাকে যেমন, নাকে টিউমার থাকলে, নাকে হার বাড়ার কারণ্‌ নাকের পর্দা ছিদ্র হয়ে গেলে, কারো কারো জন্মগত কারণেও এ সমস্যা হয়ে থাকে। 



ছোট বাচ্চাদের নখে লাগলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া সম্ভবনা থাকে। অনেকের হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, ক্যান্সার হলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, ব্রেন টিউমার থাকলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ থেকে নাক দিয়ে রক্ত পড়া সম্ভব না থাকে। 

অন্যান্য কারণসমূহ

  • বিভিন্ন কারণে আঘাত পেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে
  • নাকের কোন অপারেশন হলে
  • নাকে কোন সর্দি বা সাইনোসাইটিস ইত্যাদি সমস্যা হওয়ার কারণে
  • নাকের যদি কোন ইনফেকশন থাকে
  • নাকের যদি টিউমার থাকে
  • নাকের হাড় বাকা থাকলে
  • নাকের ভেতরের পর্দা যদি ছিড়ে যায়
  • ইত্যাদি কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। 

নাকে রক্ত পড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা কি

নাক দিয়ে যদি হঠাৎ রক্ত পড়ে তাহলে সামনের দিকে ঝুঁকে বসে থাকতে হবে। তারপর দুই আঙ্গুল দিয়ে নাকে দুই ছিদ্র শক্ত করে চেপে ধরতে হবে। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ওই ব্যক্তির কপালে এবং নাকে বরফ দিয়ে চেপে ধরতে হবে। আহা যদি খুব বেশি রক্ত পড়ে তাহলে ওই ব্যক্তিকে রক্ত দান করতে হবে। দুজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

চিকিৎসকরা নাকের এন্ডোসকপি করবে এবং রক্তপাতের কারণ কি সেটা জানা যাবে। এছাড়াও অন্যান্য শারীরিক কারণে নাকে রক্ত পড়তে পারে এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। নাক কান গলার রোগে কখনো অবহেলা করা যাবে না।

আপনার নাক দিয়ে রক্ত পড়ে এতে আপনার শরীরে রক্ত কমে যায়। তাই আপনি আপনার রক্তের গ্রুপ জেনে নিন যাতে অন্যের কাছ থেকে রক্ত নিতে পারে। নাকের রক্ত পড়লে নাকে হাত দিবেনা। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ভয় না পেয়ে এর দ্রুত সমাধান বের করুন। 

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার প্রতিকার কি

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার প্রতিকার কি বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে শোয়া যাবে না। কারণ এই রক্ত ফুসফুসে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যদিও রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় তবু দুই থেকে তিন ঘন্টার রক্ত পরিষ্কার করবেন না। সামনের দিকে ঝুঁকে মাথা হৃদপিন্ডের নিচে লেভেলে আনবেন না। কারণ এটি করলে রক্ত হবার পড়তে শুরু করবে।

মৌসুমে নাক বেশি শুকিয়ে গেলে সেখানে ক্রিম যেমন ভেসলিন কিংবা মেরিল এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। পড়া বন্ধ করতে হবে যেটা আপনি বাসাতে চেষ্টা করতে পারেন প্রাথমিকভাবে যেমন। নাকে এই হার বরাবর কিন্তু বরফ দিয়ে চেপে ধরুন।

নাকে হার বরাবর বরফ দিয়ে চেপে ধরতে হবে তাহলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া কমবে। নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ না হলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে যান। এবং কোন কারণে সাথে চিকিৎসা মিলবে না আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

এবং তারপরে ভালো পরীক্ষা যেটা বললাম বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে, সাধারণত যাদের ব্লাড প্রেসার হয়, আগের দিন তারার প্রেসারের ওষুধ খেলো না যেদিন তাদের নাক দিয়ে রক্ত পড়বে, অথবা পরের দিন আগের দিনের ডোজটা খেয়ে নিতে হবে।

এবং ব্লাড প্রেসার রোগীদের ব্লাড প্রেসার টা চেক করে নিতে হবে। তারপরে ঐ রোগের যদি রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়, চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কেন রক্ত পড়া শুরু হলো সে কারণটি জেনে নিয়ে ওষুধ নিতে হবে।

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঘরোয়া সমাধান কি

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে প্রথমে সোজা হয়ে বসতে হবে। তারপর মাথাটা সামনের দিকে এগিয়ে আনতে হবে। এর কারণ হচ্ছে রক্ত যেন পেটের ভেতর গলা দিয়ে না যেতে পারে। যদি রক্ত পেটে চলে যায় তাহলে আপনার বমি বমি ভাব হওয়া সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আপনার পেটে বদহজম বা কোন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এছাড়া রক্ত যদি গলা দিয়ে চলে যায় তাহলে আপনার ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যার হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এইজন্য আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যেন আপনার গলা বা পেটের ভেতরে রক্ত চলে না যায়। রক্ত পড়লে দুই আঙ্গুল দিয়ে নাক চেপে ধরতে হবে। 

৫ থেকে ১০ মিনিট নাক চেপে ধরতে হবে। পাঁচ থেকে দশ মিনিট না চেপে ধরলে সাধারণত রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নাক দিয়ে রক্ত পড়লে মুখের ভিতরে ঠান্ডা পানি নিয়ে আপনি গড়গড়া করতে পারেন। অথবা বরফ জাতীয় খাবার খেতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

নাক রক্ত বন্ধ হলে করণীয় কি এবং নাকে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার কি? শীত কালীন সময়ে সব চেয়ে বেশি দেখা যায় সর্দি, জ্বর, কাশি বিভিন্ন সমস্যা। এছাড়া সর্দির কারণে অনেকের নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা টা বেশি হয়ে থাকে। নাক বন্ধ হলে করনীয় কি এই বিষয়ে আপনাদের সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি।

আমার এই তথ্য আপনাদের কাছে কতটুকু কাজে আসল এবং আপনাদের কতটা উপকারে আসল এই বিষয়ে আমাকে জানালে, আমার লেখা সার্থক বলে মনে হবে। এছাড়া যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে লাইক কমেন্ট, শেয়ার করেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url