OrdinaryITPostAd

ধৈর্য কি ও ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি

ধৈর্য কি ও ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি ? বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। মহান আল্লাহ্‌ মানুষকে সৃষ্টি করে তাঁদের জীবন ব্যবস্থা হিসাবে ইসলামকে মনোনীত করেছেন, যা একটি পরিপূর্ণ জীবন আদর্শ। ইসলামী জীবন আদর্শের প্রশংসিত চারিত্রিক গুণাবলীর অন্যতম হচ্ছে ধৈর্য।
ধৈর্য কি ও ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি

পেজ সূচিপত্রঃ


এটি গুরুত্বপূর্ণ মানবীয় গুণ যা মানুষকে আদর্শবান ও সবার কাছে প্রিয় করে তলে। এই পৃথিবীতে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে অধৈয হয়ে পরে কিন্তু কোন অবস্থায় মানুষের ভেঙ্গে পরা উচিত নয়। সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারন করে আল্লাহ্‌র ওপর ভরসা করতে হবে।

ধৈর্য কি ও ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি

যে সমস্ত বিষয়ে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) নিসিদ্ধ করেছেন সেগুল মনের জন্য যত আকর্ষণীয় হোক কেন। যত স্বাদেরই হোক না কেন, তা থেকে মনকে বিরত রাখা যাতে কোন ভাবেই মনকে সম্পাদন করা না হয়। কেননা প্রবৃতি মানুষকে নিসিদ্ধ কর্মে লিপ্ত করতে চায়। শয়তান নিসিদ্ধ কর্মকে মানুষের সামনে সুশোভিত করে তোলে।

মন্দ কাজের এই দুই সহচর মানুষকে অবাধ্য কাজের নির্দেশ করে এবং তাকে ঐ অবাধ্য কর্ম সাহসী ও স্পর্ধিত করে তোলে। আর ধৈর্য শক্তির কারণেই অবাধ্য কাজ পরিহার করে। কোন বিদ্বান বলেন, পুন্যকাজ, পুন্যবান, ও পাপাচারী উভয়ে সম্পাদন করতে পারে। কিন্তু পাপ ও অবাধ্য কাজ পরিত্যাগ করতে সক্ষম হয় না।

ধৈর্যশীল বলতে কী বোঝায়

ধৈয অর্থ সহনশীলতা সহ্য বা অপেক্ষা করার ক্ষমতা, ধীরতা প্রশান্তি ইত্যাদি। ধৈয এর আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে ছবর। হাদিসে ছবর বলতে কোন কোন প্রাণীকে আমৃত নিপীড়ন করা যা ইসলামের বিধি বিধানের বিপরীত। ছবর এর শাব্দিক অর্থ বিরত থাকা।ছবর হল বিবেক বা শরীআতের দাবী অনুযায়ী নফসকে আবদ্ধ করা।

সংশ্লিস্থ বিসয়ের ভিন্নতার কারণে এ অর্থ ভিন্ন হয়। সুতরাং এটা যদি বিপদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে এর নাম কেবল ছবর। আর যদি শত্রুর মোকাবিলার ক্ষেত্রে হয়, তাহলে এর নাম সুজাআহ। এবং নিসিদ্ধ বস্তু পরিহারের ক্ষেত্রে হলে নাম হবে ইফফাহ।এটি উত্তম চরিত্রের অন্যতম গুণ যা অধিকারিকে অসুন্দর ও অশোভন কাজ থেকে বিরত রাখে।

ধৈর্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা কি

মানব জীবনে ছবর তথা ধৈযের গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক। এর কারণে সমাজে একজন মানুষ নন্দিত হয়। সকলের প্রিয়ভাজন হয়ে থাকে। আর এর অভাবে মানুষ হয়ে ওঠে নিন্দিত ও অপমানিত। মানবীয় এই গুনটি মানুষকে যথার্থ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। তাই সবার উচিত এই গুণ অর্জন করা।
আল্লাহ্‌র সৃষ্টি তিন শ্রেনীর প্রাণীর মধ্যে কেবল মানুষই ধৈয ধারন করতে পারে। কেননা জীবজন্তু সামগ্রিক ভাবে কেবল তাঁদের ইচ্ছা ও মানসিক তাড়নার দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। অপরদিকে ফেরেশতা গন আল্লাহ্‌র প্রতি গভীর আনুগত্যে নিয়োজিত। সুতরাং বাসনা তাদেরকে পরাভূত করতে পারেনা।

কাজেই তা দমন করার জন্য ছবর অবলম্বনের প্রয়োজনও হয়না। পক্ষান্তরে মানুষের মাঝে দুটি তাড়না পরস্পর সংগ্রামে লিপ্ত। তাঁর একটি প্রবৃত্তি অপরটি ধর্মীয় অনুভুতি। প্রথমটি শয়তানের দ্বারা আর অপরটি ফেরেশতা কর্তৃক উদ্দীপ্ত, মুলত ধৈর্য হচ্ছে প্রবৃত্তির তাড়না দমন করে ধর্মীয় আবেগকে গ্রহণ করা।

ধৈর্য কত প্রকার ও কি কি

ছবার বা ধৈর্য প্রধানত ৪ প্রকার
  • ধর্মমত সম্পর্কিত জটিল বিষয়ে সহিঞ্চু সাধনা।
  • বাধ্য হয়ে কিংবা আইনানুগ অনুমোদন সাপেক্ষে কোন কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারন করা।
  • নিসিদ্ধ কাজকর্ম হতে দৃঢ়ভাবে আত্মসংযম।
  • আপতিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে অবিচল থাকা।
আল্লাহ্‌ তাআলা ও তাঁর রাসুল (সাঃ) যে সমস্ত কাজের হুকুম করেছেন সেগুলোর অনুবর্তিতা মনের ভেতর যত কঠিন হোক না কেন, তাতে মনকে স্থির রাখা। যাতে সে পূর্ণ আনুগত্য করতে সমর্থ হয়। কেননা বান্দার ধৈর্য ধারণ এবং প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই ব্যতিরেকে আদিষ্ট ও নির্দেশিত বিষয় পালন করা সম্ভব হয় না।

ধৈর্যধারণের পরীক্ষা কি

মূলত আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে। এসব পরীক্ষা গ্রহণের অনেক কারণ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন, বিভিন্নভাবে অসুখ-বিসুখ বিপদ আপদ ইত্যাদি ভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। মুমিনের উচিত বিপদের মুহূর্তে প্রতিদানের কথা স্মরণ করা। 

কারণ সুখের সময় সুখ অর্জন করা যায় না বরং প্রত্যেকটি পরবর্তী ফলের জন্য নগদ শ্রম দিতে হয়।ইহকালের কষ্টের সিঁড়ি পেরিয়ে পরকালের উত্তম অসাধারণ করতে হয়।যেগুলো জানলে মানুষের ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। দুনিয়াতে মর্যাদা বৃদ্ধি আল্লাহ তার বান্দাদের পরীক্ষা করে যখন তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ লাভ করে তখন তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কীভাবে বিপদে ধৈর্যধারণ করা হয়

বিপদে ধৈর্যধারণ করা এবং অধৈর্য না হওয়া দুঃখ কষ্ট ও সুখ শান্তিকে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আগত মনে করে মন মস্তিককে সেজন্য অধৈর্য করে না তোলা। কেননা বিপদের ওপরে মানুষের কোন এখতিয়ার নেই। হাফেয ইবনু কাছির (রহঃ) স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে,, ধৈরযের উপরিউক্ত তিনটি প্রকার উল্লেখ করেছেন
ছবরের উক্ত তিনটি প্রকারের প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।

মুলত ধৈর্য ধারণ কারি সে সকল মানুষকে বলা হয়, যারা উপরিউক্ত তিন প্রকার ছবর অবলম্বন করে। ক্ষেত্র বিবেচনায় ধৈর্য দুই প্রকার, (ক) দৈহিক বা শারীরিক (খ) এর প্রত্যেকটি আবার দুই প্রকার, সুতরাং 

ছবর ৪ প্রকার 

দৈহিক ঐচ্ছিক- কঠিন জটিল ও কষ্টদায়ক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি।

দৈহিক বাধ্যতামূলক-যেমন প্রহারের ব্যথায় ধৈর্যধারণ। কেননা যখন কেউ প্রহিত হয় তখন তাঁর ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া আর কিছু থাকে না। তেমনি রোগ ব্যধি শীত গ্রীষ্ম প্রভৃতি ধৈর্যধারণ করা।

আত্মিক ঐচ্ছিক- এমন কাজে ধৈর্য ধারণ করা যা সরিয়াত ও বিবেকের দৃষ্টিতে শোভনীয় নয়। যেমন গান বাজনা শোনা থেকে আত্মিক ধৈর্যধারণ।

আত্মিক বাধ্যতামূলক- প্রিয় ব্যক্তি বা বস্তু হারানর ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ। এমন অবস্থায় উভয়ের মাঝে অন্তরায় তৈরি হয়ে যায়। ফলে মনে বিরহ ব্যথা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়ে যায়।

বিপদে ধৈর্য ধারণের শর্ত কি

বিপদে ধৈর্য ধারণের কিছু শর্ত রয়েছে যেমন, প্রাথমিক অবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এবং যদি কোন বিপদে পড়া যায় তাহলে একথা বলা উচিত যে, হে আল্লাহ আমার বিপদে আমাকে প্রতিদান দাও এবং আমাকেএর চেয়ে উত্তম প্রতিনিধি দাও।তাহলে আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম প্রতিনিধি দান করেনকেবল মৃত্যু কালে নয় বরং সকল প্রকার বিপদে এ ধরনের কথা বলা ঠিক।
উত্তম রূপে ধৈর্য ধারণ করা।বিপদে কোন অভিযোগ ও দুঃখ প্রকাশ ছাড়া সহ্য ধারণ করতে হয়।আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কাছে অভিযোগ করে কোন লাভ নেই। কারণ মানুষ তার কোন প্রতিকার করার ক্ষমতা রাখে না।পক্ষান্তরেএটা আল্লাহর নির্ধারিত বিষয় সন্তুষ্ট না থাকা নামান্তর মাত্র। 

এটা আল্লাহর নির্ধারিত বিষয় সন্তুষ্ট না থাকার কারণে আল্লাহ সংবাদ জানানো পরামর্শ গ্রহণ ও চিকিৎসার জন্য কেবল মানুষের নিকটে ব্যক্ত করা যায়।

ধৈর্যের ফলাফল কি

ধৈর্যের অনেক উপকারিতা ও শুভ ফল অর্জন করা যায়।যা মুমিন জীবনে সকল প্রকার কল্যাণ ও সফলতা বয়ে আনে।এসব ফলাফলের মধ্যে কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো।কোন লোক সন্তান হারিয়ে ধৈর্য্য ধারণ করলে তার বিনিময়ে আল্লাহ তাকে জান্নাত এবং একটি ঘর দান করবেন। যার নাম হবে বাইতুল হামদ বা প্রশংসার ঘর। 

যেমন রাসুল (সা:) বলেন, যখন বান্দার কোন সন্তান মারা যায় আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বলেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তান কেড়ে নিয়ে এসেছো? তারা বলে হ্যাঁ। তোমরা আমার বান্দার কলিজার টুকরো ছিনিয়ে এনেছো? তারা বলে হ্যাঁ। অতঃপর তিনি জিজ্ঞাস করেন, আমার বান্দা কি বলেছে? 

তারা বলে আপনার প্রশংসা করেছে এবং বলেছে আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরি কর এবং তার নাম দাও বাইতুল হামদ বা প্রশংসার ঘর।

ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি

ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, এখানে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হবে যা ধৈর্যশীলতা অর্জন করতে সাহায্য করবে। মানুষ যখন জানবে যে পার্থিব জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং পৃথিবী সুখ শান্তি ভোগ বিলাসের স্থান নয়, বরং এটা পরীক্ষা কষ্ট ভোগের জায়গা, তখন সে ধৈর্য ধারণ করতে সচেষ্ট হবে।
ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি


আল্লাহ্‌ মানুষকে জীবন দান করেছেন, তাকে অস্তিত্ব থেকে অস্তিস্ত দিয়েছেন, তাকে গোপন ও প্রকাশ্যর নেয়ামত সমূহ দিয়ে ভ্রিয়ে দিয়েছেন। এভাবে বান্দা নিজেকে চিনতে পারলে সে আল্লাহ্‌র উপর আস্থা রাখতে সচেষ্ট হয়।সবসময় বিশ্বাস রাখতে হয় যে কষ্টের পরে সুখ আসে। অভাবের পরে সচ্ছলতা আসে, কারন, 

আল্লাহ্‌ এইসবের ওয়াদা করেছেন এবং তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেননা। আল্লাহ্‌ তাআলা স্বীয় ধৈর্যশীল বান্দাদের থেকে দুঃখ কষ্ট লাঘবের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-তিনি অসচ্ছলতার পর সচ্ছলতা, অশান্তির পর শান্তির ওয়াদা করেছেন। 
শেষ পরিণতি ও পরকালে ফলাফল উত্তম হওয়ার প্রতিশ্রুতি। মানব জীবনের মুল লক্ষ্য হচ্ছে পরকাল।
ছুতে যাওয়া বা হাত ছাড়া হওয়া জিনিসের উত্তম প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি।প্রত্যেক মুসলমানদের এই কথা জানা উচিত যে, আল্লাহ্‌ প্রত্যেকের ভাগ্যে যা নির্ধারণ করেছেন তা বাস্তবায়িত হবে।তা রোধের কোন উপায় নেই। 

এই গুনটির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য সহকারী সম্পাদক ড.মুহাম্মদ কাবীরুল ইসলাম ধৈর্য গুরুত্ব ও তাৎপর্য বইটি প্রণয়ন করেছেন।

হারাম বর্জনে ধৈর্যধারণের উপায় কি

হারাম বর্জনে ধৈর্যধারণের উপায় হল পাপাচার ও গোনাগারের কাছ থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তায়ালা পাপাচার বান্দাদের জন্য হারাম করেছেন এবং সেগুলি থেকে নিষেধ করেছেন তাকে নিচুতা থেকে রক্ষা করার জন্য। যেমন ভাবে স্নেহশীল পিতা সন্তানের প্রতি অপত্য স্নেহ তাকে ক্ষতিকর কাছ থেকে বাধা দেন। 

জ্ঞানী ব্যক্তি মাত্রই খারাপ কাজ পর্যন্ত সচেষ্ট হন তার সাথে স্বাস্থ্যের বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকা। আল্লাহকে লজ্জা করা, , যখন বান্দা জানবে যে আল্লাহ তাকে দেখছেন তার কথা শুনছেন। তখন সে আল্লাহকে লজ্জা করবে এবং তার অসন্তোষ মূলক কাজকর্ম থেকে পরিহার করবে। আল্লাহর নিয়ামত রহমতের প্রতি লক্ষ্য করা।

বান্দা যখন কোন পাপাচারে লিপ্ত হয় তখন ওই পরিমাণ নিয়ামত তার থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে সে তওবা করলে এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করলে নিয়ামত তার দিকে ফিরে আসে। কিংবা অনুরোধ নেয়ামত সে লাভ করে। । কিন্তু সে পাপাচারের থাকলে এবং অবিরাম করতে থাকলে একটা একটা নিয়ামত চলে যেতে থাকে এক সময় তার থেকে সমস্ত নেয়ামত দূরে চলে যায়।

লেখকের মন্তব্য

ধৈর্য কি ও ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি? আল্লাহ মানুষকে বিপদ দিয়েই পরীক্ষা করে থাকেন আর এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম পুরস্কার লাভ করা যায়। বিপদে আপদে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে ভেঙ্গে না পড়ে প্রসন্ন বিপদ বরণ করে নিয়ে অবিচলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করাই হচ্ছে ধৈর্য।

আল্লার আনুগত পাপ পরিহার ও বিপদে সহনশীলতা অবলম্বন করা প্রকৃত ধৈর্যশীলের পরিচায়ক। তাকদীরের পূর্বনির্ধারিত বিষয়কে নির্দ্বিধায় কোন আপত্তি অভিযোগ ছাড়াই মেনে নিতে পারলে প্রকৃত ধৈর্যশীল হওয়া যায়।বিষয়টি সঠিক ভাবে আলোচনা করা হল। 

ধৈর্য শীলতা অবলম্বনে ফযিলত হচ্ছে আল্লাহ্‌র সন্তস লাভ, এবং এর মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতে প্রবেশ করা। যাই হোক, লেখাটি যদি আপনাদের ভালো তাহলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url