কেমন হবে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি
আল্লাহ্ তাআলা মানব জাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাঁদের জন্য সৃষ্টি করেছেন জান্নাত ও জাহান্নাম। মানুষের মৃত্যুর পরই সেখানে হবে তাঁদের স্থান।কেমন হবে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি? আপনাদের সাথে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
জান্নাত ও জাহান্নাম এই দুটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা দরকার।এটি বিস্তারিত জানতে হলে আমার লেখা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কেমন হবে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি
মানুষ এক আল্লাহ্র দাসত্ব করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবেনা। সার্বিক জীবন একমাত্র অহির বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করবে রাসুল(সাঃ) এর আদর্শকেই একমাত্র আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করবে। আল্লাহ্ তাআলা তাঁর এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে মানব জাতির জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন।
আল্লাহ্ তাআলা তাঁর আনুগত্যশীল বান্দাদের সন্মানিত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন জান্নাত। আর অমান্যকারিদের জন্য জাহান্নাম। সৎকর্মশীল হলে জান্নাত, অসৎকর্মশীল হলে জাহান্নাম তাঁদের বাসস্থান হবে। জান্নাতের সুখ যেমন মানুষের কল্পনার বাইরে। জাহান্নামের শাস্তিও তেমনি মানুষের নিকট অকল্পনীয়।
ইহলৌকিক জীবনে মানুষ যাতে আল্লাহ্র অনুগত হয় এবং পরলৌকিক জীবনে জাহান্নামের বিভীষিকাময় কঠিন আযাব থেকে পরিত্রাণ পেয়ে জান্নাত লাভ করতে সক্ষম হয়, তাঁর জন্য ইসলামী শরিয়াত বিশেষ দুটি বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা করেছেন।(ক)জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব (খ) জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামত।
জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামত ভোগ করতে যেমন সৎকর্মের প্রয়োজন তেমনি জাহান্নামের ভয়াবহ আযাবের ভয় বুকে রেখে অসৎকর্ম অবশ্যই বর্জনীয়। দুঃখের বিষয় হল, বর্তমান বিশ্বের মানুষ যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে জাহান্নামের ভয়াবহ আযাবের কথা ভুলে এমন অপকর্ম নেই যাতে মানুষ লিপ্ত হচ্ছেনা।
তাই মানুষকে পাপের স্রোত থেকে বাচিয়ে পুণ্যের স্রোতে ভাসানোর লক্ষ্যই কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব মানুষের শাস্তির স্বরূপ তুলে ধরা হল।
জাহান্নামের বর্ণনা কি
আল্লাহ্ তাআলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদ শেষে প্রত্যেক মানুষ তাঁর বারজাখি জীবন পদার্পণ করবে। তারপর হয় সে জান্নাতের সুখ ভোগ করবে, আর না হয় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে।
তারপর সংঘটিত হবে কেয়ামত, যেদিন আসমান জমিনের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে কেবল মাত্র আল্লাহ্র চেহেরা ছাড়া। সেদিন সবাইকে বস্ত্রহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে। পরিস্থিথি এত কঠিন হবে যে, কেউ কারো দিকে তাকানোর সুযোগ পাবেনা। শুরু হবে দুনায়াবি জীবনের সকল কৃতকর্মের হিসাবনিকাশ।
জাহান্নামের আযাব কেমন হবে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেন যখন লাশ কবরে রাখা হয় তখন আত্মা তার দেহে ফেরত দেওয়া হয়। তারপর তার কাছে দুইজন ফেরেশতা আসে এবং তাকে উঠিয়ে বসান। তাকে জিজ্ঞাসা করেন তোমার রব কে, তোমার দিন কি, এবং জিজ্ঞাসা করেন তোমাদের মধ্যে জেনেই প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে? উত্তরের সে বলে হায় হায় আমি জানিনা।
এমন এক সময় আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ডেকে বলেন সে মিথ্যা বলছে তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দাও এবং জাহান্নামের দরজা খুলে দাও। তখন তার দিকে জাহান্নামের গরম হওয়া আসতে থাকবে। এবং এবং তার কবর এতো সংকীর্ণ হয়ে যাবে যে তার একদিকের পাঁজরের হাড়ো অপর দিকে ঢুকে যাবে।
এ সময় তার কাছে একটি কুৎসিত চেহারা বিশিষ্ট নোংরা বেশি দুর্গন্ধযুক্ত লোক এসে বলবে তোমাকে দুঃখিত করবে এটা এমন জিনিসের সুসংবাদ গ্রহণ করো। এই দিন সম্পর্কে তোমাকে পৃথিবীতে ওয়াদা দেয়া হয়েছিল।
জাহান্নামের সর্বনিম্ন শাস্তি কেমন হবে
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কেয়ামতের দিন ওই ব্যক্তির সব থেকে নিম্ন আজব হবে যার দু পায়ের তলায় দুটি প্রজ্জ্বলিত আঙ্গার রাখা হবে। এতে তার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। । তিনি আরো বলেন জাহান্নামিদের মধ্যে সবথেকে নিম্ন স্তরের শাস্তি ঐ ব্যক্তির হবে যাকে আগুনের ফিতা সহ দুখানা জুতা পড়ানো হবে এতে তার মগজ এমনভাবে ফুটতে থাকবে।
যেমন ভাবে তা আমার পাত্র ফুটতে থাকে। সে ধারণা করবে তার চেয়ে কঠিন আজাব আর কেউ ভোগ করছে না, অথচ সেটি হবে সর্ব নিম্ন শাস্তি। আল্লাহ বলেন, কিয়ামতের দিন সবচেয়ে সহজ আযাবের জাহান্নামীকে বলবেন, যদি তোমার কাছে পৃথিবীর কিছু থাকতো তাহলে তুমি কি তার বিনিময়ে পরিত্রাণ পেতে চাইতে?
সে বলবে হ্যাঁ। তখন আল্লাহ বলবেন আমি তোমার নিকট এর থেকে সহজ জিনিস চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি তা অস্বীকার করেছ।
জাহান্নামের আগুন
যারা কাফির জাহান্নামে চিরস্থায়ী অধিবাসী তাদের পাপ যেমন তাদেরকে বেষ্টন করে আছে, তেমনি জাহান্নামের আগুন তাদেরকে বেষ্টন করে থাকবে। সেখান থেকে তাদের পালানোর কোন পথে থাকবে না। আল্লাহ বলেন যারা পাপকর্ম করে এবং যাদের পাপ রাশি তাদেরকে পরিবেশ টোন করে তারাই অগ্নিবাসী।
সেখানে তারা চিরস্থায়ী থাকবে। তাদের শয্যা হবে জাহান্নামের এবং তাদের উপরের আচ্ছাদন হবে জাহান্নামের। আল্লাহতালা, জাহান্নামিদেরকে তাদের গলায় লোহার শিকল দিয়ে এমন ভাবে বেঁধে রাখবেন যেখান থেকে পালানোর কোন সুযোগই থাকবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন, , আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি শৃংখল বেরি ও লেলিহান অগ্নি আর আছে এমন খাদ্য যা গলায় আটকে যাবে এবং ভয়ংকর শাস্তি হবে।
হাশরের মাঠের বিবরণ
বিচার দিবসে আল্লাহ্ তাআলা মানুষকে যে ময়দানে সমবেত করবেন এবং দুনিয়ায় অর্জিত সকল কৃতকর্মের হিসাব নিকাশ গ্রহণ করবেন তা কি ধরনের হতে পারে সে সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে, সাহল ইবনু সাদ(রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল(সাঃ) বলেছেন,
কিয়ামত এর দিন মানুষকে সাদা ধবধবে রুটির মত জমিনের উপর একত্রিত করা হবে।তাঁর মধ্যে পরিচয়ের কোন পতাকা থাকবেনা।
কিভাবে জাহান্নামীদের সমবেত করা হবে
আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের দুনিয়াবি জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের হিসাব নিকাশের সেই বিভীষিকা কঠিন দিনে হাশরের ময়দানে সকলকে অন্দধ মুক, বধির ও বস্ত্রহীন করা হবে। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তাঁর জীবিকা হবে সংকীণ এবং আমি তাকে কিয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উথিত করব।
সে বলবে হে আমার প্রতিপালক কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন?অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন। তিনি বলেন, এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার আয়াত সমূহ এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে।আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হবে। আমি কিয়ামতের দিন তাদেরকে সমবেত করব, তাঁদের মুখে ভর দিয়ে চলা অন্ধ বোবা,ও বধির অবস্থায়। তাঁদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম।
হাশরের দিন সূর্যের অবস্থান ও মানুষের অবস্থা
পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল। চৈত্র মাসে দিনের মধ্যভাগে এতো দুরে অবস্থিত সূর্যের নিচে মানুষের অবস্থান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ যেদিন সূর্য অবস্থান করবে মানুষের মাথার মাত্র এক মাইল উপরে তখন মানুষের অবস্থা কি হতে পারে তাঁর কিছু হাদিসে বর্ণিত করা হল।
মেকদাদ ইবনু আসয়াদ(রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুল(সাঃ) কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সূর্যকে মানুষের এত নিকটে আনা হবে যে মানুষ ও সূর্যের মধ্যে কেবল এক মাইলের ব্যবধা থাকবে। মুসলিম ইবনু আমর বলেন, মাইল বলতে রাস্তার দূরত্ব না যে কঠিন দ্বারা চোখে সুরমা লাগানো হয়।তাকে বুঝানো হয়েছে টা আমি জানিনা
রাসূল (সাঃ) বলেন মানুষ সেদিন নিজ নিজ আমল অনুপাতে ঘামে থাকবে। তাঁদের মধ্যে কারও ঘাম হবে টাখনু পর্যন্ত কারও হাঁটু পর্যন্ত কারও কমর পর্যন্ত এবং কারও মুখ পর্যন্ত পৌঁছাবে।
হাশরের মাঠে শুধু আল্লাহ্র ছায়া থাকবে
হাশরের মাঠে যখন মানুষের মাথার অতি সন্নিকটে সূর্য অবস্থান করবে, তখন আল্লাহ্র ছায়া ছাড়া কন ছায়া থাকবেনা। আর সে ছায়ায় আল্লাহ্র নির্ধারিত বান্দারায় কেবল স্থান পাবে। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রাহ(রাঃ) হতে বরনিত,তিনি ব্লেন,রাসুল(সাঃ)বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ বলবেন,
আমার আনুগতের জন্য আপসে বন্ধত স্থাপন কারীরা আজ কোথায়?তাদেরকে আজ আমি নিজ ছায়া প্রদান করব। যেদিন আমার ছায়া ছাড়া কোন ছায়া থাকবেনা। সেদিন আল্লাহ্ সাত ব্যক্তিকে নিজ ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন। ন্যায়নিষ্ঠাবান, আল্লাহ্র ইবাদতে গড়ে ওঠা যুবক, ঐ ব্যক্তি যার অন্তর সব সময় মসজিদের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে,
তাঁর মন সর্বদা মসজিদে যাওয়ার জন্য ব্যকুল থাকে, এমন দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি চিত্তে একে অপরকে ভালবাসে। এমন ব্যক্তি যাকে কোন সুন্দরী, মর্যাদা বতী নারী ব্যভিচার এরজন্য আহবান করলে সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি। যে ব্যক্তি গোপনে দান করে, এবং যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহ্কে স্মরণ করে।
সেদিন সবাইকে জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে
হাশরের ময়দানে যেদিন আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দার হিসাব গ্রহণ করবেন, সেদিন জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে। আল্লাহ্ বলেন, ইহা সংগত নয়, পৃথিবীকে যখন চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে এবংযখন তোমর প্রতিপালক উপস্থিত হবেন, ও সারিবদ্ধ ভাবে ফেরেশতা গনও উপস্থিত হবেন।
আর সেদিন জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে এবং সেদিন মানুষ উপলদ্ধি করবে, তখন এই উপলদ্ধি কি আর কাজে আসবে? সে বলবে হায় যদি আমি আমার এ জীবনের অগ্রিম কিছু পেতাম।
কিভাবে আল্লাহ্ তার বান্দাদের হিসাব নিবে
আল্লাহ্ মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন ভালো ও মন্দ কর্মের প্রতিফল। নির্ধারিত করেছেন, ভালো কর্মের প্রতিদান স্বরূপ জান্নাত ও মন্দ কর্মের প্রতিফল স্বরূপ জাহান্নাম। সে দুনিয়াতে কি ধরনের কাজ সম্পাদন করেছে তাঁর জন্য কিয়ামতের দিন হিসাবে ব্যবস্থা রেখেছে।
সুতরাং আমি অবশ্যই তাদেরকে জিজ্ঞেস করব যাদের নিকট রাসুল প্রেরিত হয়েছিল, এবং অবশ্যই আমি প্রেরিতদেরকে জিজ্ঞেস করব। আমি অবশ্যই সজ্ঞানে তাঁদের নিকট অবস্থা বননা করব। বস্তুত আমি উপস্থিত ছিলাম না।
সেদিন পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে
কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ্ তাআলা যখন তাঁর বান্দাদারকে সমবেত করবেন, তখন তাদেরকে পাঁচটি বিষয়ে প্রস্ন করা হবে, উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত কেউ দুই পা নড়াতে পারবেনা। রাসুল (সাঃ) বলেন, কিয়ামতের দিন পাঁচটি জিনিস সম্পর্কে প্রশ্ন করার আগে আদম সন্তানের পদদ্বয় তাঁর রবের নিকট থেকে সরাতে পারবেনা।
প্রশ্ন করা হবে তাঁর বয়স সম্পর্কে, সে কিভাবে তা অতিবাহিত করেছে। তাঁর যবন কাল সম্পর্কে সে কিভাবে তা খরচ করেছে, তাঁর সম্পদ কিভাবে উপার্জন করেছে, এবং কোন খাতে ব্যয় করেছে, তাঁর অর্জিত ইলম অনুযায়ী আমল করেছে কিনা?
জাহান্নামের অস্তিত্ব কি
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর আনুগত্য শীল বান্দাদের জন্য জান্নাত ও অবাধ্য বান্দাদের জন্য জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন। যা বর্তমানে বিদ্যমান এবং কখনই তা ধ্বংস হবেনা। তিনি মানুষ ও জীন জাতি সৃষ্টি করার পূর্বে জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন।
সৃষ্টি করেছেন তাঁর অধিবাসী, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তাঁর সামনে সকাল ও সন্ধায় তাঁর অবস্থান স্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতি হয়, তবে জান্নাতির মধ্যে দেখানো হয়। আর যদি জাহান্নামি হয় তাহেল, তাকে জাহান্নামীদের স্থল কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তোমাকে পুন্রুথিত করবে।
লেখকের মন্তব্য
আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাদের সার্বিক জীবন পরিচালনার যাবতীয় বিধি-বিধান ওহি মারফত জানিয়ে দিয়েছেন। আর তা বাস্তবায়নের জন্য যুগে যুগে নবী রাসূলকে প্রেরণ করেছেন। তারা আল্লাহর বিধানকে সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।সকলকেই একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে।
এবং পরকালে তাঁর কৃতকর্মের প্রতিদান স্বরূপ জান্নাত ও জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে। সেখানে মানুষ চিরস্থায়ী বসবাস করবে, কখনই মৃত্যু বরণ করবেনা। সুতরাং পরকালীন জীবনই স্থায়ি জীবন।
কেমন হবে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি?আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url