OrdinaryITPostAd

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স কি

জীবাণু সংক্রামন মকাবেলার ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিক বায়োটিক রেসিস্টেন্স কি বিষয়টি জানব। শেষ কবে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কি ওষুধ খেয়েছেন নাকি কোন এক ফার্মেসী থেকে রোগের উপসর্গ বলে ওষুধ খেয়েছেন?
অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স কি


আপনারা অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স কি বিষয়টি অনেকেই হয়ত জানেনা। এটি কীভাবে আমাদের শরীরকে ক্ষতি করে, কি করলে এর প্রতিকার পাওয়া যায়,আজ আপনাদের সাথে সেই বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিষয়টি।

ভূমিকা

এমন কি হিয়েছে আপনাদের অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েও কোন রোগ ভালো হচ্ছেনা।এটা কি হয়েছে যে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শেষ করেও আপনার রোগ ভালো হচ্ছেনা। যদি আপনার রোগ ভালো না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে, আপনার অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স হয়েছে। বা আপনার মাঝে রেসিস্টেন্স
হয়েছে।

আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন যায়গায় ইনফেকশন হয়ে থাকে। এই ইনফেকশন ভালো করার জন্য আমরা কেউ কেউ ডাক্তার এর কাছ থাকে, আবার কেউ, কোন ফার্মেসী থেকে, কেউ নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে থাকে।আমাদের বিভিন্ন কারণে শরীরীরে যে ইনফেকশন হয়। তাঁর জন্য আমরা ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খায়, কিন্তু ডাক্তার যে কয়দিন খেতে বলে কোন মানুষ

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স কি

অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পরেও যদি ব্যাকটেরিয়া না মরে যদি আরও শক্তিশালী না হয়
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে নতুন এক অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স এটি এমনই ঝুঁকি যে চিকিৎসকরা বলছেন অদূর ভবিষ্যতে সামান্য হাঁচি কাশি ও মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি হতে পারে এই অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি হতে পারে

এই অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স কি কেন কিভাবে ক্ষতি করবে সেসব নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি আজকের বিষয়। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে জানবো এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রসঙ্গে পুরোটা জানানোর চেষ্টা করবো।

ডাক্তার খোরশেদ সামাদক্লাসিফাইড স্পেশালিস্ট বাংলাদেশ আর্মস ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ
আমাদের শরীরে প্রায় অনুজীব ঢুকে নিঃশ্বাসের সাথে বাতাসের সাথে বিভিন্ন খাবারের সাথে তো এটাকে মেরে ফেলা দরকার তাহলে কোন যদি ইনফেকশন হয় বা অনুজীব ঢুকে থাকে তারপরে আমরা যে ওষুধ দিয়ে থাকি বা অনুজীব দিয়ে থাকি তাকে আমরা এন্টিবায়োটিক বলে থাকি।

যে এন্টিবায়োটিক টা অনুজীব গুলোকে ধ্বংস করে আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং ভালো রাখবে। কখনো কখনো আমরা দেখি এন্টিবায়োটিক তার কাজ করতে না। অর্থাৎ রেসিসটেন্স এটা কিন্তু খুব ভয়ঙ্কর অবস্থা যে এন্টিবায়োটিক দেওয়ার পরও তার শরীরে কোন কাজ করছে না। এতে করে কি হচ্ছে সেই শরীরের অণুজীবগুলো এন্টিবায়োটিকের সাথে লড়াই করে। 

বড় ধরনের আরো বেশি ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এতে করে রোগীর শরীর আরো বেশি খারাপ হয়ে যাবে যাতে করে পেশেন্টের এন্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এই যে শরীরে কাজ করতে না পারা ওষুধ দেওয়া সত্ত্বেও এই অবস্থাকে আমরা এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলে থাকি।

এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স কেন এবং কিভাবে হয়।

এন্টিবায়োটিকের একটি সুনির্দিষ্ট কোর্স আছে কোন কারণে রোগী ডাক্তারের কাছে না গিয়ে নিজের থেকে যদি ডাক্তারি করে বা কারো পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক নিজের থেকে খেয়ে থাকে, বা নিজেই নিজের চিকিৎসা করলো, এভাবে এন্টিবায়োটিক যথাইচ্ছা ব্যবহার করাতে বা যা ইচ্ছা তাই ভাবে ব্যবহার করাতে এন্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না বা এন্টিবায়োটিক তার নিজের মত কাজ করতে পারে না কোর্স কমপ্লিট না হওয়ার কারণে বা যা ইচ্ছা তাই ভাবে ব্যবহার করার কারণে।

অ্যান্টিবায়োটিক যেভাবে কাজ করার কথা ছিল ওই এন্টিবায়োটিকের আর কাজ করছে না ফলে যেকোনো ধরনের অসুখ থেকে জটিল করে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে চিকিৎসকরা জ্ঞাতসারে খুব পরিকল্পনা করে সুনির্দিষ্ট সময় সাপেক্ষে একটি এন্টিবায়োটিক কোর্স দিয়ে থাকে কিন্তু কখনো কখনো চিকিৎসক জানতে নাও পারতে পারেন যে এই রুগী যে অনুজীব দ্বারা আক্রান্ত সেটি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স অর্থাৎ অনুজীব গুলির পর আর কাজ ফলের চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ আর কাজ করছে না।
এটি কাজ করবে না ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী যথাযথ ভাবে সেবন করা সত্ত্বেও ইপ্সিত ফলাফল যদি না পেয়ে থাকি তাহলে আমরা ধরেই নি যে ওই রোগীটির পূর্ণ অনুজীব গুলো থেকেই গিয়েছে তা ভালো হয়নি। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না ফলে চিকিৎসকের দেওয়া

ঔষধ মেনিনজাইটিস বা এন কে ফ্লাই টিকে ফ্লাইটইস মস্তিষ্কে নেওয়ার মতো সংবেদনশীল অর্গান এর কাজ করে না ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তখন স্ফীত কাঙ্খিত ফলাফল না পেলে আমরা ধরেই নিজের রুকি এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স হয়েছে বা কাঙ্খিত ফলাফলে ব্যর্থ হয়েছে।

এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স হলে ক্ষতি কি

পেশেন্টের চিকিৎসক সময় তার শরীরে কিছু কাটাকাটির বিষয় থাকে তখন পেশেন্টের পেশেন্টের শরীরে কাটাকাটির পরে কাটার জায়গায় কিছু একটা অনুজীব ঢোকার আশঙ্কা থেকে যায়। সেটাকে বা সে জায়গায় অনুজীব ঢুকতে না পারে সে জন্য এন্টিবায়োটিক এক বা একাধিক দেওয়া হয়। এখন খোদা না করে সে পেশেন্ট যদি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থাকে তাহলে সে রোগী অন্য জায়গায় দিয়ে বা

সেই রোগের অন্য জায়গা দিয়ে অনুজীব ঢুকে যাবে বা ব্যাকটেরিয়া ঢুকে যাবে। ব্যাকটেরিয়া ঢুকে সে জায়গায় ইনফেকশন করে দেবে। এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন রোগীর জন্য কখনোই এন্টিবায়োটিক ছাড়া কোন রোগীর অপারেশন করা যায় না। তাহলে যদি রোগী এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স হয় তাহলে যেকোনো ইনফেকশন এমনকি মৃত্যু ঝুঁকি পর্যন্ত থাকতে পারে বা হতে পারে।

এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স প্রতিরোধে পরামর্শ কি 

এটা একটা সাধারণ ছোট একটি ঔষধ এন্টিবায়োটিক ওষুধ মাত্র তিন বা পাঁচ দিন দিলে ভালো হয়ে যেতে পারতো কিন্তু আমরা দেখতে পারছি এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স হয়ে যাওয়ার কারণে মুখের একটি ঘা বা ইনফেকশন বা চোখের ইনফেকশন অথবা কানের ইনফেকশন এগুলো তো ভালই হবে না

বরং এগুলিতে ইনফেকশন হয়ে এমনকি ফুসফুসে গিয়েও বা রক্তের সাথে মিশে গিয়ে হার্ডকেও ইনফেকশন করতে পারে ওপরে হৃদপিন্ডে গিয়ে এন্ডকার্টিসিস করে নিতে পারে এবং এখান থেকে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদের জন্য আমার একটা রিচমন্ডদেশন আছে যে ষষ্ঠ শ্রেণি হতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি পাঠ্যবইয়ে একপাতা করে

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সম্বন্ধে সাধারণ দেয়া তাহলে এন্টিবায়োটিক এর সুফল ব্যবহার পেতে পারি এবং এন্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স মুক্তি পেতে পারি চিকিৎসক তার ক্লিনিক্যাল জাজমেন্ট দিয়ে অনুমান করতে পারে যে এই রোগীটি এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স তখন চিকিৎসক তার ক্লিনিক্যাল জাজমেন্ট দিয়ে সে অনুমান করতে পারে

সে এই পেশেন্টের এন্টিবায়োটিক রেসিসস্ট্যান্স তখন তিনি কালচারাল অ্যাক্টিভিটি করতে পারেন এ তে রেসিস্টেন্স বা বি তে রেসিসটেন্স কিন্তু সি তে না তাহলে তাকে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা হতে পারে । রুগীকে সি নামক এন্টিবায়োটিক দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী তে ভালো করা যেতে পারে।

সতর্কবানী

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা ঠিক হবে না বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকের এছাড়া মাত্রা অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার ও অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে রোগীর ক্ষতি হতে পারে, সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় ও নিয়ম অনুসারে এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করতে বলছেন চিকিৎসকগণ।

চিকিৎসকগণ যেভাবে এন্টিবায়োটিকের সুব্যবহার বলে দিচ্ছেন সেই অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া ভাইরাস জনিত সর্দি জ্বর কাশি জনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে উচিত এতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

লেখকের মন্তব্য

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স কি বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয় সঠিক তথ্য পেয়েছেন? যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার লেখাটা স্বার্থক বলে মনে হবে। যদি আপনাদের কোন উপকার বা কাজে লেগে থাকে তাহলে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার কর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url