চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি
আমাদের ব্যস্ত জীবনে চুলের যত্ন নিতে সবাই ভুলে যায়। তবুও আমরা সবাই চাই চুল যেন সুন্দর ও সিল্কী হয়। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি? কি করলে আমাদের চুল সুস্থ সুন্দর থাকবে। আজ আপনাদের সাথে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। বিষয়টি জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ
পড়ুন।
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন বিভিন্ন ওষুধ বা প্রোটিনের দরকার হয়। তেমনি চুলকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন প্রোটিন বা উপাদানের প্রয়োজন হয়। কি করলে আপনার চুল সুন্দর ঘন কালো দেখাবে, সুস্থ্য সুন্দর চুল রাখার উপায় কি?
ভূমিকা
আমাদের শরীরের যেমন যত্ন করতে হয়, তেমনি চুলের কিছু যত্নের প্রয়োজন হয়। ঘন কাল সুস্থ্য সুন্দর চুল দেখতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু ঘন কাল চুল টিকিয়ে রাখতে আমরা কয়জন পারি? আমদের প্রয়োজন প্রতিদিন চুলের যত্ন নেওয়া। চুলের জন্য প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া, ও বিভিন্ন উপাদান চুলের জন্য ব্যবহার করা।
শরীরের জন্য যেমন পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন হয়, তেমনি চুলের জন্য কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এগুল প্রতিনিয়ত করতে হবে। আপনার চুল দেখতে যেমনই হোক না কেন, আপনি যদি সঠিক ভাবে চুলের যত্ন নেন, তাহলে দেখবেন আপনার চুল দেখতে অনেক সুন্দর ও সিল্কি হবে। শুধু কি বাইরে চুলকে সুন্দর দেখালে চলবে? ভেতর থেকেও চুলকে সুন্দর দেখা লাগবে।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি
ঘন, কাল,ও সিল্কি চুল সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চুল আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান অংশ। যেটা শরীরের বাকি অংশের তুলনায় চুল খোলা রাখা হয় চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চুলের অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। যেমন বিভিন্ন কারণে চুল নষ্ট হয়ে যায়। চুল ঝড়ে পরা, চুল ক্ষয় হয়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায় ইত্যাদি।
এই ধরনের সমস্যা গুলো আমদের প্রায় প্রতিদিনের হয়ে থাকে। সেই জন্য আমদের প্রয়োজন প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, সেলেনিয়াম, আয়রন, বায়ডিন, ভিটামিন সি, ডি, ই, এসিড ইত্যাদি। চুল ভালো রাখার জন্য চারটি খাবার এর সম্পর্কে আলোচনা করা হল।।
আয়োডিন যুক্ত খাবার- অনেক সময় দেখা যায় আমাদের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিকমত কাজ করে না। সেই জন্য চুল ঝরে যায় এবং ক্ষয় হয়ে যায়। থাইরয়েড গ্লান্ডকে ঠিক রাখে আয়োডিন যুক্ত খাবার। সামুদ্রিক মাছে আয়োডিন থাকে। এটি খেলে আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি কমে যাবে।
ডিম- ডিম একটি অনেক পুষ্টিকর খাবার এটি আমাদের শরীরে প্রোটিনের কাজ কাজ করে। প্রতিদিন যদি একটি করে ডিম খাওয়া হয়, তাহলে আমাদের অনেক উপকারে আসবে। যেমন চুল পরা বন্দধ হয়ে যাবে।
ডাল- ডাল প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে, সেই জন্য ডাল খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজে আসবে। ডাল আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন না পারলে কমপক্ষে তিন দিন সপ্তাহে রাখা ভালো হয়।
সবুজ শাকসবজি- সবুজসাক সবজি তে আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। সবুজ শাকসবজি খেলে আমাদের শরীর সুস্থ্য ভালো থাকবে তেমনি আমাদের চুল আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
চুলের জন্য প্রয়োজনীয় টিপস
চুলের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টিপস আলোচনা করা হল। আমরা চুলের জন্য অনেক কিছু করে থাকি। যেন চুলকে অনেক সুন্দর ও সিল্কি দেখায়। কীভাবে চুলের যত্ন নিবেন, কোন জিনিস চুলে ব্যবহার করবেন, আর কোন জিনিস চুলে দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন,আজকে সেই বিষয়গুলো আলোচনা করব।
চুলের যত্ন কীভাবে নিতে হয়, কোন জিনিস চুলে দিলে চুল ভালো হয়? সেই বিষয় গুল আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন। যেমন, আমলা, মেথি, মেহেদি, ডিম, ডাল, কেশরার পাতা, পেঁয়াজ ইত্যাদি ব্যবহার করলে চুল অনেক সুন্দর ও সিল্কি হয়।
আমলা- আমলা আমরা সাধারণত সবাই চেনা থাকি কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার হয়ত আমরা অনেকে জানিনা না। যে এই আমলা আমাদের কতটা উপকার হয় এবং কতটা কাজে আসে। আমলা নারিকেল তেলের সাথে ভিজিয়ে প্রতিদিন চুলে দিবেন। দেখবেন আপনার চুল মজবুত হয়ে উঠবে এবং আপনার পরা বন্দধ হয়ে যাবে। এছাড়া আমলা গুরা চুলে দিলেও ভালো হয়।
মেথি- আমলার মত মেথি একটি পরিচিত জিনিস। এর অনেক গুণ রয়েছে। মেথির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ফলিক এসিদ,নিয়াসিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি।মেথি মসলা হিসেবে যেমন খাওয়া যায়, তেমন এটি আমলার সাথে মিশিয়ে গুর করে চুলেও ব্যবহার করা যায়। এছাড়া এটি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেতে খেলেও অনেক উপকারে আসে।
কেশরাজ- আমরা অনেকে কেশরাজ কে কেশরা বলে চেনে থাকি। এছাড়া এটিকে কাল কেসিরিয়া বলেও জানি।এটি একটি উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। এর পাতা বেটে খেলে কৃমি ও কাশি ভালো হয়। কেশরার পাতা, আমলা, মেথি মিশিয়ে যদি প্রতি সপ্তাহে চুলে দেওয়া হয় তাহলে আপনার চুলে অন্য কিছু দেওয়া লাগবেনা।
ডিম-ডিম অনেক গুনে ভরপুর। ডিম সাধারণত প্রোটিনের কাজ করে। প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে অনেক উপকার আসবে। ডিমের সাথে যদি মেহেদি পাটায় ও ব্লেন্ডার মেশিনে গুর করে নিয়ে আপনি আপনার চুলে দিবেন, তাহলে আপনার চুল অনেক সিল্কি হবে ও সুন্দর হবে।
মেহেদি- মেহেদি কি কি কাজে আসে আমরা প্রায় সবাই জানি তবুও এর কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যেমন মেহেদি আমরা হাতে দেই ঠিক তেমনি আমদের চুলেও দেওয়া যাবে। মেহেদি, ডিম, মসুর ডাল, পেয়াজের রস এগুল মিশিয়ে আপনার চুলে দিবেন, দেখবেন আপনার চুল সুন্দর হয়েছে।
শ্যাম্পুর ব্যবহার- যেসব শ্যাম্পু আপনার চুল মৃস্রন ও উউজ্জলতার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়, সেই সব শ্যাম্পু দিতে পারেন।
লেবুর ব্যবহার- চুল স্যম্পু করে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে এক চা চামচ লেবুর রস ও পেয়াজের রস চুলে ভালো ভাবে ঘসে কয়েক মিনিট ধরে রাখলেন। কিছুক্ষন পর সেটা আবার পরিষ্কার করে নিয়ে চুল সুকিয়ে নিতে হবে।
মধুর ব্যবহার- আধা কাপ মধুর সাথে এক থেকে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে আপনার চুলে দিলেন। ৩০ মিনিট পর সেটি শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলিন, এটি চুলে প্রোটিনের কাজ করবে।
চুলকে সুরক্ষিত রাখুন- সবসময় আপনি চেষ্টা করবেন, আপনি আপনার চুলকে রোধ, বৃষ্টি থেকে দুরে রাখতে। সূর্যের করা রোধ তাপ, ধুলবালি ইত্যাদি আপনার চুলকে নষ্ট করে দিতে পারে। আস্তে আস্তে চুলে জমাট বাধতে শুরু করে এবং চুল পড়তে শুরু করে।
নিয়িমিত তেল ব্যবহার- আপনার চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার চুল অনেক ভাল থাকবে। তবে অতিরিক্ত তেল দেওয়া আপনার চুলের জন্য ঠিক হবেনা। কারন বেশি তেল দিলে ঘন ঘন শ্যাম্পু দিতে হবে আর চুল ক্ষয় হয়ে যাবে। তাই ঠিক মত তেল ব্যবহার করা উচিত।
ঠাণ্ডা পানির ব্যবহার- চুলে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন। গরম পানি দিলে চুল উঠে যাবে। তাই ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করাই ভাল।
অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরা একটি উপকারী উদ্ভিত। এর পাতার মধ্যে যে অংশটা আছে তাঁর মুল উপাদান হচ্ছে পানি। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সি ডেন্টস আছে যেটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকারে আসে। ছোট খাট কাটা পরা জায়ুগায় এটি দিলে ভালো হয়ে যায়। চুলে যদি নিয়িমিত ব্যবহার করা হয় তাহলে চুল অনেক সুন্দর দেখাবে।
লেখকের মন্তব্য
চুলকে সুস্থ্য সুন্দর ও প্রাণ বন্ত করতে আমরা সবাই চায়। ঘন কাল লম্বা চুল একটি মেয়েকে সুন্দর দেখায়। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি/ বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্য যদি দিতে পারি, আপনাদের যদি উপকারে আসে তাহলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url