নাকের এলার্জি দূর করার উপায় কি
নাকের এলার্জি দূর করার উপায় কি? নাকের এলার্জি হলে কি ধরনের সমস্যা তৈরি করে? নাক কান গলার এলার্জি নেই এমন মানুষ খুব কমই আছে। এলার্জি খুব সাধারন একটি সমস্যা।ছোট-বড় প্রায় সব ধরনের মানুষের এই সমস্যা হয়ে থাকে।
প্রিয় পাঠক আজ আপনাদের সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।কীভাবে নাকের এলারজি দূর করা যায়। কেন এই সমস্যা গুলো হয়। চলুন তাহলে বিষয়টি আলচনা করা যাক।
ভূমিকা
সাধারণত এলার্জিকে ডাক্তারের ভাষায় বলা হয় রাইনাইটিস। দেখা যায় প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে যে কোন একজন মানুষ নাকের এলার্জির সমস্যায় ভোগে। নাকের এলার্জি বলতে আমরা সাধারণত কি বুঝি? এটি আমাদের মধ্যে কি সমস্যা তৈরি করে? এবং কি করলে নাকের এলার্জির সমস্যা দূর হয়।
আমাদের প্রথমে সেই বিষয়গুলো জানতে হবে। যাতে করে আমরা এলার্জি সমস্যা থেকে রেহাই পায়। বিভিন্ন কারণে বিভিন্নভাবে মানুষের এই সমস্যা হয়ে থাকে। কেন এই সমস্যাগুলো হয় আমাদের সেই বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন।
নাকের এলার্জি দূর করার উপায় কি
কিভাবে নাকের এলার্জি দূর করা যায়। কেন এবং কি খেলে আপনার এলার্জির সমস্যা বেশি হয় সে জিনিসটা আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে। যেমন বেগুন খেলে এলার্জি হয় আপনি বেগুন খাওয়া বাদ দিলেন কিংবা কোন ময়লায় আপনার এলার্জি বেশি হলো সেটা থেকে আপনি সাবধান হোন।
অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা হলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে পারেন। যেসব জিনিসে আপনার বেশি এলার্জি হয় সেগুলো থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে।
নাকের এলার্জি হওয়ার লক্ষণ কি
নাকের এলার্জি হলে কি ধরনের সমস্যা তৈরি করে? কেন কিভাবে হয় এর লক্ষণ কি? এই বিষয়গুলো আগে আপনার জানার প্রয়োজন। যেমন নাকের মধ্যে থেকে সবসময় পানি পড়তে থাকে, এতে করে আপনার নাক বন্ধ হয়ে। হাঁচি কাশি হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় পনেরো থেকে কুড়ি টার মত টানা হাঁচি হয়।
এছাড়াও অনেক সময় চোখ লাল হয়ে থাকে,চোখ চুলকায় চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে, এবং চোখের চারপাশে কালো দাগ হয়ে যায়। নাকের ভেতর সুড়সুড়ি অনুভূত হয়, ও নাক চুলকায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার কানও চুলকায়। সাধারণত নাকের এলার্জি হলে এইসব সমস্যা দেখা দেয়।
মাক্স ব্যবহার
বাইরের ধুলোবালি কারণে আপনার এলার্জি খুব বেশি হতে পারে। সেজন্য আপনি যখন বাইরে যাবেন তখন মাক্স ব্যবহার করেন। দেখবেন আপনার এলার্জি সমস্যা থাকবে না। এছাড়া ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজে আপনি মাক্স ব্যবহার করেন। এতে করে আপনি এলার্জির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারেন।
এলার্জি জাতীয় খাবার
যে সমস্ত খাবার খেলে আপনার এলার্জি টা বেশি হয়, সেই সমস্ত খাবারের অভ্যাস থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে। আপনাকে আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে কোন কোন খাবার খেলে আপনার এলার্জি সমস্যা তৈরি হয়। সেই খাবার বাদ দিয়ে আপনাকে অন্য খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
যেমন বেগুন, মিষ্টি কুমড়া,পুঁইশাক, গরুর মাংস ইত্যাদি জাতীয় খাবার আপনার খুব প্রিয়, অথচ দেখা গেল এই খাবার গুলোতে আপনার এলার্জি বেশি হলো। এক্ষেত্রে এসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে বাদ দিতে হবে।
ধুলোবালি
বিভিন্ন ধুলোবালি থেকে এলার্জির সমস্যা হয়। ধুলাবালি থেকে আপনার এলার্জির সাথে না হয় সেজন্য আপনি আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। বিছানার কাপড়, অথবা ঘর পরিষ্কার করার সময়, ধুলো আপনার নাকের মধ্যে যাতে না যায় সেজন্য আপনি মাক্স ব্যবহার করেন। ঘরের কার্পেট অথবা পাপোশ পরিষ্কার করার সময় আপনার নাকে রুমাল অথবা মাক্স ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে আপনার এলার্জির সমস্যা কমবে।
ঠান্ডা জনিত সমস্যা
ঠান্ডা জনিত কারণে এলার্জি সমস্যা হয়। যেমন অতিরিক্ত শীতে অথবা বৃষ্টি পানিতে ভিজে বিভিন্নভাবে ঠান্ডা লাগে। শীতের বাইরে গেলে ঠান্ডা লাগে অথবা বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লেগে যায়। এ থেকে আপনার এলার্জি সমস্যা হয়। টাইম বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত শীত কিংবা ঠান্ডায় বের না হওয়া উচিত। এসব সাবধানতা যদি আপনি অবলম্বন করতে পারেন, তাহলে আপনি এলার্জি সমস্যা থেকে ভালো থাকতে পারেন।
পোষা প্রাণী
অনেক সময় দেখা যায় যে যারা বাসায় পোষা প্রাণী রাখে। সেখান থেকেও এলার্জির সমস্যা হয়। আপনি যখন আপনার পোষা প্রাণীর যত্ন নিবেন, এবং তাকে যখন পরিষ্কার করবেন, সেই সময় আপনি অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করবেন। এবং আপনার হাতের গ্লোপস ব্যবহার করুন।
এতে আপনি এলার্জির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। অথবা আপনার পোষা প্রাণীকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বেঁধে রাখতে পারেন, এতে করে আপনি আপনার এলার্জি থেকে দূরে থাকতে পারেন।
মোল্ড বা ছত্রাক
আপনার বাসা যদি সেটসেতা থাকে সেটা থেকে ছত্রাক হতে পারে। ছত্রাক থেকে ছোট ছোট কণার নিঃসরণ হয় সেটাতে আপনার এলার্জি হতে পারে। সেটা থাকলে সরিয়ে ফেলবেন। ছত্রাক জাতের না হয় সে জন্য আপনার ঘরে বাতাস চলাচল করার ব্যাবস্থা করুন। এছাড়া ঘরের ভেতরের কাপড় সুকাবেনানা। আপনার ঘরের ভিতরে কোন গাছ যদি থাকে সেই গাছটা সরিয়ে ফলুন।
পরাগ রেণু
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বাতাসে ভেসে বেড়ানো পরাগ রেনু ধরন বদলায়। এবং সংখ্যা বাড়ে কমে। আর সেই সাথে আপনার এলার্জির তীব্রতাও কমতে পারে ও বাড়তে পারে। বছরের একটা সময় দেখা যায় অনেকের চোখ নাক কান চুলকানো শুরু করে।
চোখ নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে, মাথা ব্যথা করে, অনেকের হাঁচি-কাশি ভালো হতেই চায় না। এমনটা হলে পরাগ রেনু আপনার শত্রু মনে করেন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আপনার কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। যাতে পরাগরেণু দূর হয়ে যায়।
লেখকের মন্তব্য
নাকের এলারজি দূর করার উপাই কি? কীভাবে আপনার নাকের এলারজি সমস্যা দূর করবেন এই বিষয় গুলো জেনে আপনি যদি এতটুকু উপকৃত হন, এবং আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার লেখা সার্থক বলে মনে হবে।আপনারা যদি লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করেন তাহলে আমি লেখতে ও বিভিন্ন বিষয়ে আপনাদের তথ্য দিতে উৎসাহ পাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url