বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং স্ক্লারশিপ পেতে যেসব বিষয় জানা দরকার

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা এবং স্কলারশিপ পেতে যেসব বিষয়ে জানা দরকার, সেসব বিষয় নিয়ে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বিদেশে যেতে আগ্রহী। ইউনেস্কোর ২০১৯ সালের এক হিসেব বলছে সে বছর এদেশ থেকে 50000 জন শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা নিতে দেশের বাইরে গেছেন।

তবে বিদেশে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেকের জন্যই শিক্ষার ব্যবহার একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আসার কথা হচ্ছে সেখানকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের জন্য রয়েছে নানা ক্যাটাগরি স্কলারশিপ। বিদেশের উচ্চশিক্ষা এবং স্কলারশিপ পেতে যেসব বিষয়ে জানা দরকার, সেসব বিষয় নিয়ে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব। চলুন তাহলে বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।

বিদেশে মাস্টার্স এবং স্কলারশিপের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা শুরু করা দরকার।যারা দেশের বাইরে কোন মাস্টারস প্রাইস কলারশিপ করতে চান।কিভাবে আপনি আপনার পরিকল্পনা শুরু করতে পারবেন সেই বিষয়গুলো জানতে হবে। অনেকের স্বপ্ন থাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে যাবে। সেখানে যাওয়ার আগে কিছু পরিকল্পনা করতে হয়।

সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আপনার টার্গেটকে সুনির্দিষ্ট করার চেষ্টা কর... এবং আপনার নির্বাচিত কোর্স স্কলারশিপ কে সর্ট লিস্ট করুন। এই পরিকল্পনা করার কাজটি আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলুন। এটি আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবেন ততই আপনাকে সাফল্য এনে দেবে।

বিদেশের উচ্চশিক্ষা এবং স্ক্লারশিপ পেতে যেসব বিষয় জানা আর দরকার, সে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো। সেসব বিষয়গুলো জেনে নেওয়া খুব প্রয়োজন। প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোঁজ নিয়ে, আপনাকে একটা লিস্ট তৈরি করতে হবে। আপনি কোন দেশে যেতে চান কোন দেশ আপনার পছন্দ সে সব বিষয়ে আপনাকে লিস্ট তৈরি করতে হবে।

আপনি যে করছে আবেদন করবেন তার সিজিপি কত লাগবে, আপনি কখন আবেদন করবেন সবকিছু একটি নির্দিষ্ট করে লিস্ট তৈরি করুন। বিদেশে যাওয়ার আগে আপনার পূর্ব পরিকল্পনা কেমন হবে সেই বিষয়গুলো তৈরি করে রাখুন।

উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রথম পাঁচটি পছন্দের দেশ হলো। যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়্‌ অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং কানাডা। এছাড়া পৃথিবীর অনেক দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে বৃদ্ধি প্রদান করে থাকে। যেমন হাংগিরি, চায়ন্‌ জাপান স্কলারশিপ এর মত রাষ্ট্রীয় বৃত্তির অনেকগুলো বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।

স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে আগ্রহী এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাংলাদেশে দিন দিন বাড়লেও, দক্ষিণ এশিয়ায় অন্য দেশে তুলনায় তা খুবই কম। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাব। এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলেও আপনি কোন এজেন্সির সাহায্য ছাড়াই নিজের চেষ্টায় একটি ভাল বৃদ্ধি পেতে চান পারেন।

এক এক দেশের বৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ধারণ এক এক রকম। তাই প্রথমে জেনে নিতে হবে কোন দেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য আপনি আবেদন করতে চান। এক্ষেত্রে আপনার একটি তথ্য কেন্দ্র হল বিভিন্ন দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

নানা দেশের বাংলাদেশের দূতাবাস গুলোর ওয়েবসাইটেও প্রতিবছরের বৃত্তির তথ্য দেওয়া থাকে। আপনি চাইলে সরাসরি ওইসব দূতাবাস এর সাথে যোগাযোগ করে তাদের রাষ্ট্রীয় বৃতিগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। আরেকটি বড় তথ্যভাণ্ডার হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট।

প্রত্যেকটি বৃত্তির জন্য আবেদন করা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তাই আগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে রাখুন। ওই সময় সীমার মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সহজ হয়। মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট ভাষাগত দক্ষতার অনেক দেশেই এসব ভাষাগত দক্ষতার, এবং ডকুমেন্টস এর নোটারি কাগজপত্র চাই। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে নোটারি দরকার হয় না।

যে দেশে যাবেন সে দেশের ভাষা জানা থাকলে আপনার বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আই এল বার ট্রফি এর মত পরীক্ষাগুলোর ভালো স্কোর থাকাটা একটা প্লাস পয়েন্ট। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো দেশে ওই দেশের ভাষা দক্ষতা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় ভালো সেক্টর থাকতে হবে। আগের পরীক্ষায় ভালো জিপি এ পেতে হবে এমন নয়। বাইরের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তাই নয় মোটামুটি।

যারা বৃত্তি পেয়েছেন তারা এই বিষয়টির ওপর ভালো জোর দিয়ে থাকেন। ভালো কোন জার্নালে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিজের লেখা ছাপানো কিংবা পড়াশোনা পাশাপাশি কোন গঠনমূলক কাজ করা। এগুলো বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রুপের সঙ্গে দেখেন। আপনি যে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আবেদন করছেন সে বিষয়ে সংক্রান্ত কোনো কাজের অভিজ্ঞতা, অথবা পাবলিকেশন এক্ষেত্রে আপনার বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পাবার জন্য স্টেটমেন্ট অফ পারপাস বা কেন আমি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই তা ব্যাখ্যা করে একটি চিঠি লিখতে হয়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা রীতি মধ্যে পেয়েছেন তারা এই চিঠি লেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সৃজনশীল হবার পরামর্শ দিচ্ছেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় লেখার সিম্পল এবং নির্দেশনা দেওয়া থাকে। হুবহু সিম্পল না লিখে নিজের পড়াশোনার ইতিহাস কাজের অভিজ্ঞতা অনুসারে আপনার স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলো গুছিয়ে রাখুন।

অনেক ক্ষেত্রে বিদেশে ভর্তির জন্য আগের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের রিকমেন্ডেশন লেটার দরকার হয়। এ লেটারটির ভাষা যদি আর ১০ জন আবেদনকারীর মত হয় তাহলে আপনার বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই যে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পড়েছেন তাকে যথেষ্ট সময় দিয়ে একটি ভালো রেকমেন্ডেশন লেটার লেখে নিন।

আপনার মত হাজার শিক্ষার্থী একই সঙ্গে একই বৃত্তির জন্য আবেদন করছে। তাই আবেদনের প্রতিটি ধাপে নিজের সৃজনশীল তাকে কাজে লাগান। আপনি যত ভালোভাবে আপনার কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয় আপনার সাবজেক্টের ফার্মিং এর পরিমাণ ও যারা পড়াচ্ছেন এইসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন ততই ভালোভাবে বৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। তাই ভালোভাবে সময় নিয়ে গুছিয়ে পরিকল্পনা করুন।

ভিত্তির আবেদন থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়া, এটি বেশি দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। তবে ধৈর্য ধরে ঠিক সময়ের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে আপনিও পেতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ। প্রিয় পাঠক আপনারা যদি সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন, এবং আপনাদের কোন

উপকারে আসে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন যদি কোন ভুল হয় কিংবা আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনারা কমেন্ট করবেন।