OrdinaryITPostAd

অটিজম কি ও এর লক্ষণ গুলো কি

অটিজম কি ও লক্ষণ গুলো কি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সবার ধারণা দরকার। আমরা অনেকেই জানিনা অটিজম বিসয়টিকি? অটিজম এক ধরনের রোগ নাকি এটি কোন মানসিক সমস্যা? আজ এই বিষয়টি আপনাদের সাথে আলোচনা করব. আসলে অটিজম এক ধরনের সমস্যা যে প্রাই মানুষের হয়।
অটিজম কি ও এর লক্ষণ গুলো কি


সাধারণত ডাক্তারের ভাষায় অটিজম হচ্ছে এক ধরনের নিউরো ডেভলপমেন্ট ডিজঅর্ডার। অন্যান্য নিউরো ডেভলপমেন্ট ডিসঅর্ডারের মতো অটিজম রোগের ও বিভিন্ন ঘাটতি দেখা যায়। চলুন তাহলে বিষয়গুলো আলোচনা করা যাক।

ভূমিকা

ছোট ছোট শিশু জন্মের পর এই পৃথিবীর বুকে, আলো বাতাসে সুন্দরভাবে হেসে খেলে বড় হয়ে ওঠে। আর এটাই হচ্ছে স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় কি নরমাল চিত্র দেখা যায়? আসলেই চিত্রগুলো সাধারণভাবে দেখা যায় না। অটিজম রোগটি কিছু কিছু বাচ্চাদের মধ্যে নিয়ে আসে এক ভয়াবহ অন্ধকার।

অটিজমে আক্রান্ত শিশুগুলো পৃথিবীর আলো বাতাসে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। অথবা এ পৃথিবীর বুকে কি কি ধরনের নিয়ামত আছে সেগুলো তারা ঠিকমতো উপভোগ করতে পারে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার পরিবারের সদস্যরা।

অটিজম কি

অটিজম একটি ভয়াবহ মারাত্মক রোগ। এ রোগের কারণে শিশুরা ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না। আর পাঁচটা স্বাভাবিক বাচ্চাদের তুলনায় তারা মূলত আলাদা হয়ে থাকে। এইসব বাচ্চাদের পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ সম্পর্কে আলাদা ভিন্নমত পোষণ করে। আবার অনেক মা আছে তাদের শিশুদের ঠিকমতো বুঝতে পারে না। যে সকল শিশুদের অটিজম রোগে আক্রান্ত।

দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি। তার শিশুর কি হয়েছে কি সমস্যা হয়েছে কি ধরনের অসুখ হয়েছে কি করলে ভালো হবে এ ধরনের সমস্যা তারা বুঝতে পারে না। আর তাই সঠিক সময়ে তাদের উচিত বাচ্চাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া। বাংলাদেশ প্রায় দুই থেকে 8% শিশু অটিজম রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সাধারণত শিশুরা শিশু-কিশোররা তিন ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

সামাজিক স্থাপনে বাঁধা

কোন কোন ব্যক্তির প্রতি আগ্রহ না থাকা, কে কি বলছে কে কি করছে তাদের প্রতি কোন খেয়াল না থাকা, অন্যের আচরণ বা কথা বুঝতে না পারা ইত্যাদি।
যোগাযোগ স্থাপনে বাধা

মুখে কথা বলতে না পারা, কথা বলতে না পারলে অতিরিক্ত রাগ হয়ে যায়। জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেলা ইশারা ইঙ্গিত করতে না। কোন জিনিস না পেলে যে বেশি করা। একা একা থাকতে পছন্দ করা।
আচরণের ভিন্নতা

একই কাজ বারবার করা, একই খেলা বারবার খেলা, অন্যের সাথে যোগাযোগ ও আচরণের সীমাবদ্ধতা হলো এমন শিশুর বৈশিষ্ট্য। বারবার হাত নড়াচড়া করা। ভাষার ব্যবহার রপ্ত করার পর আবার ভাষা ভুলে যায়।

অটিজমের লক্ষণ গুলো কি

অটিজম মাসে বিকাশ জনিত সমস্যা। অথবা ব্রেনের ডেভলপ জনিত সমস্যা। অটিজমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের চোখে চোখ রেখে তাকায় না। তারা একই জিনিস বেশি পছন্দ করে এবং তাদের কোন জিনিসের পরিবর্তন পছন্দ করে না। অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা বা কথা বলা পছন্দ করে না।

আবার অনেক অটিজম আছে যারা অন্য কোন মানুষের ছোঁয়া বা স্পর্শ নিতে পছন্দ করে না।
তারা অন্য মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে না অনেক সময় দেখা যায় তারা নিজের সমবয়সী বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করতে পছন্দ করেনা। তারা একা থাকতে বেশি পছন্দ করে অন্যদের সাথে কথা বলা পছন্দ করে না।

তাদের কথা বলার খুব আস্তে এবং অন্য শিশুদের তুলনায় তারা খুব কম কথা বলে। অনেক সময় দেখা যায় শিশুরা তিন বছর বয়সেও কথা বলতে পারে না। এই লক্ষণগুলো দেখে বোঝা যায় সেই শিশুর অটিজম রোগে আক্রান্ত।

অটিজমের প্রাথমিক লক্ষন

  • বারো মাস বয়সের মধ্যে আস্তে আস্তে কথা বলা
  • 16 মাসের মধ্যে কোন শব্দ বলতে না পারা
  • 24 মাস বয়সের মধ্যে দুই বা ততোধিক শব্দ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করা।
  • ভাষার ব্যবহার রক্ত করতে না পারা ও ভুলে যাওয়া।
  • বয়স উপযোগী সামাজিক আচরণ করতে না পারা।
  • অটিজমের সাধারণ লক্ষণ
  • শিশুর ভাষা শীতে সমস্যা হয়
  • এক বছরের মধ্যে দাদা,বাবু উচ্চারণ করতে না পারা
  • দুই বছরের মধ্যে অর্থপূর্ণ দুটি শব্দ বলতে না পারা।
  • নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেয়া।
  • হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া এবং রেগে যায়।
অন্যের বলা কথা বারবার বলা। শব্দ আলো বাতাস স্পর্শ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রতিক্রিয়া করা।
বিভিন্ন পরিস্থিতি বুঝতে না পারা। অন্যদের কথা সহজে বুঝতে না পারা।

অটিজম হলে করণীয় কি

কিছু কিছু বাচ্চা আছে যারা শুধু কানে শোনে না। যারা শুধুমাত্র কানে শুনে এই সমস্ত বাচ্চাদের দেখা, দুই বা তিন বছরের হয়। অনুবাদ ওদের দেখা যায় যখন তারা খেলাধুলা করে তখন তাদের খিদে পায়, তখন তারা হাত দিয়ে বোঝায় তাদের খিদে পেয়েছে। অথবা শরীর বা হাতের অঙ্গভঙ্গি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়।

অপরপক্ষে অটিজম শিশু যারা তারা তাদের যখন খিদে পায়, তারা বলতেও পারে না এবং তাদের কোন অঙ্গভঙ্গি দিয়ে প্রকাশ করতে পারে না। এ সমস্ত অশোক মায়েরা মেনে নিতে পারে না এবং তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এইভাবে কোন মেয়ের ভেঙে পড়া উচিত নয়। এ সময় তাদের বাচ্চাদের উচিত শিশুদের ঠিকমতো বোঝা।

এবং চিকিৎসকের কাছে যে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। অটিজম সোয়াসে কিংবা কোন জন্মগত রোগ নয়। এ সময় শিশুর সাথে সময় দেন, শিশুকে খেলতে দেন,অন্যান্য শিশুদের সাথে শিশুকেমিশতে দেন। তার সাথে কথা বলুন তাকে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যান এবং তার মনের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন।

শিশুর প্রতিটি ইঙ্গিত ইশারা সবকিছু শিশুকে শেখাতে এবং বোঝাতে চেষ্টা করুন। পরিবারের সকলের সেই শিশুকে সাহায্য করুন। যদিও অটিজম রোগের কোন যুগান্তকারী ওষুধ নেই বা কোনো চিকিৎসাও নেই। অথবা এটি বিশেষভাবে চিকিৎসা করা যায়, কোন বিশেষ স্কুলে অটিজম শিশুদের নিয়ে যারা বিশেষভাবে কাজ করে তাদের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।

অটিজমের চিকিৎসা কি

সাধারণভাবে অটিজমের কোন চিকিৎসা ও নেই। তবে বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এর কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় অটিস্টিক বাচ্চাদের চিকিৎসায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এবং এতে দ্রুত নির্ণয় করা সম্ভব হয়। এই চিকিৎসা এমন একটি চিকিৎসা যা পেডিয়াট্রিক।

বিশেষজ্ঞ নিউরো বিশেষজ্ঞ অকুপেশন থেরাপিস্ট স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি এবং ক্ষেত্রবিশেষে ফিজিওথেরাপিস্ট এর সাহায্যে প্রতিরোধ অটিস্টিক বাচ্চাদের জন্য আলাদাভাবে ডিজাইন করা হয়। এ সমস্ত শিশুদের জন্য এখন বাংলাদেশের আছে। যেখানে তাদের বিশেষভাবে শেখানো হয়। তবে এটা নির্ভর করবে তার অকুপেশন থেরাপিস্ট এর পরামর্শের উপর।

তিনি বাচ্চাদের সক্ষমতা বোধের সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিবেন। কোন স্কুল তার জন্য ভালো হবে কি করলে ভালো হবে কি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক অটিস্টিক শিশুর কিছু মানসিক সমস্যা রয়েছে, যেমন মনোযোগের সমসাম মনের অবস্থার পরিবর্তন হওয়া, ঘুমের সমস্যা হয়। কোন কোন সময় দেখা যায় তারা তাকিয়ে থেকে ঘুমায়।

এদের কোন মিরাকেল চিকিৎসা নেই। এদের মূল চিকিৎসা হচ্ছে পরিবার আত্মীয়-স্বজন শিক্ষক এবং অন্যান্য সহপাঠীদের সাহায্যে তাদের জীবন আনন্দময় হয়ে যায়।

লেখকের মন্তব্য

অটিজম হচ্ছে শিশুর মস্তিষ্কের ব্রিটিশ জনিত সমস্যার যেখানে শিশুদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ
সামাজিক আচরণ ইত্যাদি বেশ সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। প্রিয় পাঠক আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।





 লক্ষণগুলো প্রকাশ করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url