হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায়।
প্রিয় পাঠক আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায় আমাদের মধ্যে প্রায় মানুষ আছে যারা হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে। এই সকল মানুষের জন্য আমরা কিছু ঘরো টিপস আলোচনা করব। বিষয়গুলো জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এই রোগের প্রতিকার নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা করব। কিভাবে মানুষের উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে সহজ ভাষায় বলা তা যায়। কারণ এই রোগ সম্পর্কে আমরা যত ভালোভাবে জানবো এবং সেটা নিয়ন্ত্রণ করা ততটাই সহজ হবে। আমাদের শরীরের রক্ত নালীগুলো ঠিক রাবারের মত দেখতে তাই প্রয়োজনে প্রসারিত ও সংকুচিত হতে পারে।
ভূমিকা
আমাদের প্রথমে জানতে হবে হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ কিভাবে হয়। এর সমাধান কি। কি করলে এটি থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়। আমাদের শরীরের রক্তনালী থেকে যেগুলো সংকুচিত ও প্রসারিত হয় থাকে এই রক্তনালীর যখন শক্তি হয়ে থাকে যায় তখন প্রয়োজন মত প্রসারিত হতে পারে না। তখন রক্ত চলাচলে বাধা বেড়ে যায় দেখা দেয় ব্লাড প্রেসার এর মত অসুখ।
এছাড়ো প্রেসার বাড়ানোর আগে অনেক কারণ আ... আপনারা এতক্ষণ জানলেন যে হাই ব্লাড প্রেসার কিভাবে সৃষ্টি হয়। হাই ব্লাড প্রেসার বাড়লে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উচ্চ রক্তচাপের কারণে বা রক্তনালী গুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে সেই কারণে হয়ে থাকতে পারে ফলে রক্তনালী দেয়াল পাতলা হয়ে সেটা বেলুনের মতো ফুলে যায়।
তখন সে রক্তনালিকা হঠাৎ করে ছিড়ে যেতে পারে তখন মানুষের ব্রেনে মারাত্মকভাবে রক্তক্ষরণ দেখা যায় এবং মানুষ মারা যেতে পারে তাহলে রক্তনালীতে চর্বি জমে থাকা। সুস্থ স্বাভাবিক রক্তনালী তার গায়ের চর্বি জমতে দেয় না তবে উচ্চ রক্ত ছাড়া রক্তনালীকে ক্ষতি করতে থাকে।
তখন রক্তনালীর গায়ে চর্বি কোলেস্টেরল ও ক্যালসিয়াম জমতে পারে আস্তে আস্তে চর্বি জমাট বড় হয় ফলে রক্তনালী সরু হয় কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় চর্বির গায়ে এসে রক্ত জমাট বাঁধে এক পর্যায়ে রক্তনালীর মুখ পুরোটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে তখন রক্ত আর সামনে এগোতে পারে না এটি একটি মারাত্মক ঘটনা আপনার ব্রেন শুনেছেন এটা হচ্ছে সেই ঘটনা ।
আপনার ব্রেন স্ট্রোক ও হার্ট ব্লকের কারণে শুনেছেন এটা হচ্ছে সেই ঘটনা। ব্রেনের রক্তনালী বন্ধ হলে কি স্ট্রোক হয় তখন ব্রেনের কি অংশ রক্ত পায় না ফলে কোষগুলো মরে যায় একইভাবে হার্টের রক্তনালী বন্ধ হলে হার্ট অ্যাটাক হয় এছাড়া হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন হার্ট দুর্বল হয়ে যাওয়া কিডনি ক্রমে অকেজ হয়ে যাওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি সমস্যা দেখা দেয় ইত্যাদি।
হাই ব্লাড প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি
সাধারণত মনে করি যে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ একটি মারাত্মক রোগ। যে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ একটি মারাত্মক রোগ । যদি আমরা এর নিয়ম ও প্রতিকার গুলো ঠিকঠাক ভাবে মেনে চলি তাহলে ভয়ের কোন দিক নেই এই অসুখ কিছুই না।
তবে ভয়ঙ্কর হচ্ছে এর নীরবতা। কারণ হাই ব্লাড প্রেসার যখন শরীরে দেখা দেয় তখন সাধারণভাবে কোন ব্যথা বা অসুবিধা করবে না। তাই আমরা বেশিরভাগ মানুষই এটাকে গ্রাহ্য করি না সেই সুযোগে হাই প্রেসার আস্তে আস্তে শরীরের ক্ষতিগুলো করতে থাকে।
একসময় হঠাৎ দেখা দেয় মারাত্মক ব্যাধি সাধারণত ১২০/ ৮০ এটি নরমাল। এখন হাই ব্লাড প্রেসার এর উপরেরটা হচ্ছে ১২০ এবং নিচেরটা হচ্ছে ৮০। এর মধ্যে নিচেরটা ৮০ যদি কমে হয়ে যায় এবং উপরেরটা ১২০ এর উপরে হয়ে যায় তাহলে রোগীর সমস্যা হতে পারে।
এবং শরীরে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করতে পারে প্রেসার... আমরা যেহেতু হাই ব্লাড প্রেসার রোগীর কথা বলছি সেহেতু আমরা ১২০ এর উপরেরটাই কথা বলব। ১২০ এর উপরে যদি ১৪০৬০ বা ১৮০ বা ২০০ এর উপরে চলে যায় তাহলে হাই ব্লাড প্রেসার রোগীর।
এক্ষেত্র ১৪৪ এর উপরে চলে গেলে বিভিন্ন বয়স অনুসারে তা মানুষের শরীরে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে। এবং এতে করে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলে অনেক সময় বসে যায় বা অসুস্থ হয়ে শুয়ে যায়। এবং হাই ব্লাড প্রেসার রোগের খাওয়া-দাওয়ার নিয়ম অনুসারে করা লাগে এবং খাওয়া-দাওয়াতেও তাদের মানা বাছা অনেক কিছুই থা... আশা করি আপনার বুঝতে পেরেছেন।
যে হাই ব্লাড প্রেসার কে কখনো হালকাভাবে নিয়েও যাবেনা। এছাড়া লবণ কম করে খেতে দিতে হবে।
কোন ধরনের খাবার খেতে দিতে হবেঃ খাবারের তালিকায় লবণ খাওয়া যাবেনা, যদি খেতে ইচ্ছা করে তাহলে ভাজা লবণ দিতে হবে।
আপনি কতটুকু লবণ খাচ্ছেন তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে দিনের চা চামচ লবণ পরিমাণে পৌনে এক চামচ লবণের কম লবণ খাবেন। সয়া সস ইস্ট বিট লবন টেস্টিং সল্ট এগুলোতে বেশি পরিমাণে লবণ থাকে। রান্নায় তাই এসবের বদলে অন্য কিছু দেওয়ার চেষ্টা করুন,
যেটা খেলে আপনার ব্লাড প্রেসার কম হয়। বাজার থেকে কেনা খাবার রাস্তার পাশে টঙের দোকানের খাবার, হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টের খাবার এগুলো যতটা পারবেন এড়িয়ে চলবেন। এর কারণ এসব খাবারের কতটুকু লবণ দেয়া আছে সেগুলো কি আপনি জানেন সেটা আপনি জানেন না।
তাই বাইরে খাবার থেকে আপনি বিরত থাকুন। বিশেষ করে রাস্তায় পড়ি সিঙ্গারা চপ নুডুলস চিপস এগুলো খাবার থেকে বিরত থাকুন । তেল চর্বি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা তাহলে হাই ব্লাড প্রেসার আরো বেশি হয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কি করবেন
সাধারণত উজ্জ্বল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম করাটা স্বাভাবিক, ব্যায়াম করলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, ব্যায়াম করলে পাঁচ থেকে সাত শতাংশ রক্তচাপ কমে যায়, এর সাথে আপনার খাদ্যের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে, তাহলে আপনার রক্তে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
অতিরিক্ত টেনশনে হাই ব্লাড প্রেসার হয়ে থাকে সুতরাং টেনশন থেকে দূরে থাকুন। ঘুম না হওয়ার কারণে ও হাই ব্লাড প্রেসার হয়ে থাকে তাই আপনি নিয়ম মত প্রতিদিন পর্যন্ত পরিমাণে ঘুমান।
লেখকের মন্তব্য
হাই ব্লাড প্রেশার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি এই বিসয় সম্পর্কে আপনারা জেনেছেন। কিভাবে মানুষের হাই ব্লাড প্রেশার হয়, এবং কি খেলে এটি কমানো যাই। প্রিয় পাঠক আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কোন উপকারে আসে তাহলে শেয়ার অথবা কমেন্ট করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url