ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কারণ ও তার প্রতিকার কি
আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কারণ ও তার প্রতিকার কি সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আজকের আলোচনায় জানতে পারবেন ডেঙ্গু জ্বর কি কিভাবে হয়? এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কি করতে হবে? এই বিষয়গুলো জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে আপনি আরও যেসব বিষয়ে জানতে পারবেন সেগুলো হলো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি? এ জ্বর হওয়ার কারণ কি? এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে কিভাবে তা প্রতিরোধ করতে হবে? চলুন বিষয়টি আলোচনা করা যাক।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কারণ ও তার প্রতিকার কি
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ঘটে সময় এবং অঞ্চল বিশেষে এই রোগ মহামারীর আকার ও ধারণ করে।বিনা চিকিৎসায় ভুল চিকিৎসায় এবং দেরিতে চিকিৎসার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের কোন লক্ষণ দেখা যায় না তবে সঠিক চিকিৎসায়
তারা ভাল হয়ে যেতে পারে।ডেঙ্গু জ্বর একটি মশা বাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ। বেশিরভাগ সময় ডেঙ্গুজরে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোন লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় না শুধু অল্প কিছু সময় রোগের প্রভাব দেখা যায়। যদি কোন এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয় শুধুমাত্র ওই মশার কামড়েই কেবল
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইস্ত্রি এডিস মশার ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে।একজন সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিতে এই ভাইরাস ছড়ায়। সামান্য জ্বর থেকে প্রচন্ড জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ডেনজার সাধারণত চার প্রকার এই রোগ দেখা দিলে মানুষ মৃত্যুর সম্ভাবনা
হতে পারে। সাধারণত তিন থেকে 15 দিনের মধ্যেই ভাইরাস বহন করে।এডিস মশার কামড়ে যেকোন
মানুষেরই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিবে। এজন্য ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ সকল মানুষেরই চেনা উচিত।
ডেঙ্গু জ্বর কি
ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে ব্রেড বোন ফিবার নামেও এটি পরিচিত। এ ছাড়া এটি একটি ভেক্টর বাহিত রোগ যা মহিলা এডিস মশার সংক্রমিত ভাবে তার কামড়ে ছড়িয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর একই ভাইরাসের den-1 থেকে den- 4 ভিন্ন স্ট্রেনের কারণে হতে পারে। ডেঙ্গুর শুরু হয় জ্বর থেকে এছাড়া এর মারাত্মক
প্রকাশের মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার যেটা মৃত্যু ঘটাতে পারে। ডেঙ্গু রোগীদের অধিকাংশ ৭৫থেকে 90% উপসর্গহীন এমনকি জড়ো হয় না যখন যারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এর মানে হলো যে যখন অনেক লোক প্রথমবার ডেঙ্গুর উপসর্গ অনুভব করবে এটি ইতি মধ্যে হবে
দ্বিতীয়তম আক্রমণ।ডেঙ্গু জ্বর কি এটি সাধারণত একটি মশা বাহিত ভাইরাল রোগ। এবং ডেঙ্গু জ্বরের উচ্চারণ ড্যান-জি। ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে থাকে প্রতি বছর প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন যার মধ্যে রোগের কারণ রয়েছে 96 মিলিয়ন। শহরের এলাকা বাসীদের আবাসনের কাছাকাছি বিভিন্ন অঞ্চলগুলিকে যথাক্রমে
আরও পড়ুনঃ অটিজম কি ও এর লক্ষণ গুলো কি
লাল হলুদ এবং সবুজ এলাকায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা ডেঙ্গু জ্বরের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি প্রতিনিধিত্ব করে। ডেঙ্গুজ্বর সিংগাপুর এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপক প্রভাবিত হয়েছে। সংক্রমনের বাহক এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের ব্যাপকতা এড্রেস মশার সংখ্যার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর কোথায় হয়
সাধারণত গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বর একটি অত্যন্ত সাধারণ ভেক্টর বাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু দেখা যায় তবে ভারতবর্ষে প্রধানত এবং বর্ষা এই দুইটি সময় ডেঙ্গু জ্বরের বৃদ্ধি পায়।
সাধারণত ডেঙ্গু সংক্রমণের হার বেশি থাকে মার্চ এবং জুন মাস পর্যন্ত এপ্রিল মাসে এটির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে জুন জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু জ্বরের সংখ্যা সাধারণত বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। এছাড়ায় ইউরোপ ও আমেরিকা দক্ষিণ অংশেও এই ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে পড়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ডেঙ্গু বোঝা এবং রোগের জন্য প্রস্তুতির জন্য একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বায়ন এর প্রভাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে লক্ষ্য করা হয়েছে যে এডিস মশার পরিসর ও প্রসারিত এবং ছড়িয়ে পড়েছে। ডঃলি-ওয়ান বলেন, এর ফলে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটে চলেছে।গ্রীষ্মের মাসগুলোতে ইতালি ভূমধ্যসাগরীয় দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের ডেঙ্গুর
রিপোর্ট দেখা গেছে। সাধারণত ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ অংশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ ঘটে। সময় এবং অঞ্চল বিশেষে এই রোগ মহামারী আকার ধারণ করে। অনেকে ভুল চিকিৎসা এবং দেরিতে চিকিৎসার জন্য অনেক রোগের
বা মানুষের মৃত্যু হয়। এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। দিন্গর হলো একটি মশা বাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ।এটি হলে সামান্য জ্বর থেকে প্রচন্ড জ্বরের রুম ধারণ করে। যার কারনে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন মাথা ব্যথা বমি হওয়া প্রসব যন্ত্রণা করার রক্তশূন্যতা হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু মশার বংশবৃদ্ধি কোথায়
একটি এডিস মশা ৪০০ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। এবং অ্যাজ মশা তার ডিম পাড়ার জন্য পানি খুঁজতে থাকে। তবে সাধারণভাবে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি এসব মশা থাকে। অ্যাডিস মশা পরিষ্কার এবং স্থির জলে বংশবৃদ্ধি করতে পছন্দ করে। যেটা প্রত্যেকের বাড়িতেই সহজে পাওয়া যায়। অ্যাডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য সিঙ্গাপুরের বিসেন্ট মুদ্রার মত পরিষ্কার পানি যথেষ্ট।
ডেঙ্গু রোগ ছড়ায় কিভাবে
ডেঙ্গু রোগ বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে থাকে যেমন। ডেঙ্গু সাধারণত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সরাসরি ছড়াতে পারে না। তবে যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি তারা মশাকে সংক্রামিত করতে পারে। যে মশা ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত খায় এবং ওই মশা অন্য কোন একটি ব্যক্তিকে কামড়ালে তার মধ্যে সেই ভাইরাস
ছড়িয়ে যায়। সে থেকে ডেঙ্গু জ্বর হয়। 6 থেকে 15 দিন পরে সেই ভাইরাসটি মশার লালা গ্রন্থিতে পরিপক্ক হয় ও মশা যখন আবার কামড় দেয় এবং খাওয়ায় তখন পরবর্তী শিকারের কাছে পাঠানো হয়। ভাইরাস গুলি মানুষের রক্তে যখন সঞ্চালিত হয় সে সাথে সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এই ভাইরাস নিয়ে মানুষ এক জায়গা
থেকে অন্য জায়গায় যায় তখন সে সংক্রমণ বহন করে। বলা হয় যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জাপানি দখলদারিতে মশার বৃদ্ধি এবং সংক্রমণের জন্য একটি পথ সরবরাহ করা হয়েছিল। যেখানে সিংগাপুর এলাকায় ভাইরাসকে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মশারা সেনাবাহিনী কে অনুসরণ করে এবং মশার বংশবিধির জন্য পানি ও খাবার রয়েছিল।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি
সাধারণত শরীরে যে সমস্ত পরিবর্তন দেখলে বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে সেগুলো হল। শরীরে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হওয়া। শরীরের যেই স্থানে হাড়ের সংযোগ থাকে সেখানে ব্যথা হয়।মাথায় অসম্ভব রকমের ব্যথা হয় বা মাথার পেছনের দিকে ব্যথা হয়।পিঠে ব্যথা হয় যাকে ব্রেক বন ফিভার বলা
হয়। চোখের কানে ব্যথা,কোমরে ব্যথা এবং মাংসপেশিতে ব্যথা হয়।চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য জ্বর আসে আর চলেও যায়। কিন্তু দুইদিন পর আবার চলে আসে। গায়ে ঘামাচির মত লাল বর্ণের কিছু একটা বের হয়। রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে বিশেষ করে মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় রক্তক্ষরণ হয়।আবার বন্ধ হতে
চায় না। প্রেসার কমে যায় রুহি ও রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। খাবারের অরুচি থাকে বমিও হয় পেটে ব্যথা হয় দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। ইত্যাদি সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দেয় ডেঙ্গু জ্বর হলে।ডেঙ্গু রোগের বিবরণ দিতে গিয়ে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
আরও পড়ুনঃ চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কি
ভাইরোলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার বলেন যে, এই মশা কামড়ানোর পরে রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণগুলি যদি দেখা দিতে শুরু করে। আর এই সময়কে বলা হয় ইনকিউবেশন পেরিয়ড রোগের এই রোগ সনাক্ত করার জন্য এন্টিজেন করা হয়।
যাদের ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকি রয়েছে
যাদের ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকি রয়েছে তারা হচ্ছে অল্প বয়সী শিশু এবং যাদের কখনো ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়নি। অল্পবয়স্ক শিশুদের প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় ডেঙ্গু সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। এই সমস্যার মধ্যে যেগুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে হেমো
রেজিক ফিভার ডিএইচএফ যেটা পরে রক্তক্ষরণ করে শখ এমন কি মৃত্যুর ঝুঁকিও হতে পারে। এই সংক্রমণটি ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম Dss নামে পরিচিত লাভ করে। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকল মানুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম এবং দুর্বল যাদের দ্বিতীয় ডেঙ্গু সংক্রমণ রয়েছে তাদের
ডিএইচএফ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি হয়। প্রফেসর এসকর্ট হালস্টেড ডেঙ্গু গবেষণার ক্ষেত্রে একজন নেত্রী স্থানীয় ব্যক্তি এবং তিনি এই ধারণাটি প্রচার করেছিলেন যে, প্রথম সংক্রমণ দ্বিতীয় সংক্রমণ মানুষের শরীরকে আরো বেশি খারাপ করতে পারে।
কোন সময় ডেঙ্গু পরীক্ষা করা দরকার
সাধারণত আপনার যদি জ্বর হয় এবং আপনি কোন এলাকা থেকে নিজ বাসায় ফিরে আসেন তাহলে আপনি আপনার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে নিন। এছাড়া আপনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে আপনি কোন ক্লিনিক বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আপনার যদি জ্বর মাথা ব্যথা এবং
শরীরের কোন পেশির ব্যথা অনুভব করে সে ক্ষেত্রেও আপনি পরীক্ষা করে নিতে পারেন। আপনার হালকা অসুস্থতা যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস সংক্রমণের মতো প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। এছাড়াও একটি মানুষের স্বাভাবিক জ্বর তিন দিনের বেশি থাকলে রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হয়।
ডেঙ্গুর কোন ভ্যাকসিন আছে কি
সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত, ২০১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্যাকসিন Dengvaxia ১২ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সকল মানুষদের ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য দেয়া হবে। এবং পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ভ্যাকসিদ্ধ ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে শহর শতাংশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রাণঘাতী মারাত্মক
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর রয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছেন, যে দেশগুলি জাতীয় ভ্যাকসিন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য Dengvaxia ব্যবহার করা হয়েছে ,সেটি যদি ৫০% নিচে নামে তাহলে সিঙ্গাপুরের ভ্যাকসিন এর কার্যক্ষমতা অনেকটা কমে যাবে। তবে যারা ডেঙ্গু ভ্যাকসিন (Dengvaxia) দিবেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দিবেন।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণ কি
এই রূপ যেমন জটিল তেমনি কঠিন বটে। একজন মানুষ তার সমগ্র জীবনে মোট চারবার এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্রথমবার আক্রান্ত হওয়ার পরে যখন সে সুস্থ হয়। তখন তার শরীরে এক ধরনের এন্টিবডি তৈরি হয়। যদি সেই ব্যক্তি পরবর্তীতে আবার আক্রান্ত হয়।তবে দেন টু ভাইরাসের সাথে সে
এন্টি বডি একটা রিএকশন তৈরি হয়। আর এর ফলে শরীরে প্লাটিলের জন্য খুবই মারাত্মক। ডেঙ্গুর জীবন ও মানুষের শরীরে রক্তনালী গুলি ক্ষতিগ্রস্ত করে যার কারণে রক্তনালিতে ছিদ্র তৈরি হয়। রক্তর বাহে প্লট তৈরির কোষ গুলির প্ল্যাট প্লেট সংখ্যা কমে যেতে থাকে। এর জন্য মানুষের শরীরে শখ লাগা
আপনার ভালো লাগবে এমন আরও পোস্টের তালিকাঃ
শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত দেখা যায়। হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত যদি তা না করা যায় তাহলে সে রোগের মৃত্যু ঝুঁকি হতে পারে।
ডেঙ্গুর উপসর্গগুলি কি
- প্রচন্ডভাবে পেট ব্যথা করা
- ঘনঘন বমি হওয়া
- নাক দিয়ে রক্ত পড়া
- ঘনঘন পায়খানা হওয়া
- তাকে নিজের রক্তক্ষরণ হওয়া
- দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া
- ক্লান্তি ও বিরক্তিকর এবং অস্থিরতা দেখা দেওয়া
ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার কি
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে একমাত্র প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ওষুধ বা কোন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। এটি এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ তাই রোগীর উচিত হবে। তরল খাবার খাওয়া, ডাবের পানি খাওয়া, ওআরএস খাওয়ার,লেবুর শরবত খাওয়া, চিনির শরবত খাওয়া, ফলের রস বা জুস খাওয়া,
বাড়িতে থাকতে হবে। বিশ্রামে থাকতে হবে প্লাটিলেটর কোন প্রয়োজন নেই ।বেশি সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে রোগীকে আইসিইউতে নেওয়া উচিত। কোন রকম সিনটম না দিয়েও এটা মহামারীর রূপ ধারণ করে। তাই এই রোগ হয়েছে কিনা বোঝা যায় না। তবে এই রোগের সিমটমগুলি দেখা দিলে সন্দেহ
হলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই রোগ নির্ধারণের জন্য সাধারণ মানুষ বাজার থেকে এনএস১ কিট কিনে নিজেই পরীক্ষা করে নিতে পারবে।ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর আসে তাই জ্বরের মাত্রার ওপরে নির্ভর করে 6 থেকে 8 ঘন্টা পর পর প্যারিসটামল জাতীয় কোন ওষুধ ব্যবহার
করতে পারবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে চারটি করে ওষুধ নিতে পারবেন। এর বেশি নিলে সেই রোগীর বা মানুষের লিভারের সমস্যা এছাড়াও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে অতিরিক্ত কোন ভারী কাজ করা যাবে না এবং বসে থাকাও যাবেনা এই রোগ
হলে বাসার বাইরে যাওয়া যাবে না যাওয়াই ভালো ডেঙ্গু জ্বর একটি ছোঁয়াচে রোগ নয় । ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে কিংবা একই বিছানায় ঘুমালে এবং তার ব্যবহার করা কোন জিনিসপত্র ব্যবহার করলে তার সাথে আক্রান্ত রোগে ডেঙ্গু রোগ হওয়ার কোন সুযোগ নেই অথবা ডেঙ্গুর রোগ বা জ্বর হবে না।
ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার কি
- যেহেতু ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত রোগ তাই মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচাতে হলে আপনি এবং আপনার পরিবারকে বাঁচান।
- ডেঙ্গু মশা সাধারণত নোংরা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই আপনার বাড়ির চারপাশ বিশেষ করে ড্রেনে ময়লা আবর্জনা রাখবেন না সেটা পরিষ্কার করে ফেলবেন।
- গাছের টব ফুলদানি বাথরুম ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন যেন জমে থাকা পানিতে মশা বংশবিস্তার করতে না পারে
- রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন
- মশা নিধনের জন্য কয়েল বা অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করুন
- ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে মশা বিশেষ করে ভোট থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকে এ সময় বেশি সতর্কতা অবলম্বন করুন
লেখক এর মন্তব্য
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ঘটে সময় এবং অঞ্চল বিশেষে এই রোগ মহামারীর আকার ও ধারণ করে।বিনা চিকিৎসায় ভুল চিকিৎসায় এবং দেরিতে চিকিৎসার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যায়।ডেঙ্গু একটি সাধারন অসুখ কিন্তু একে অবহেলা করলে মানুষের মৃত্যু হতে
পারে। ডেঙ্গু সাধারণত শহর অঞ্চলেই বেশি হয়ে থাকে। তাই শহরের সব মানুষকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে বিশেষ করে যাদের ডেঙ্গু হয়েছে তাদের বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।দ্বিতীয় ডেঙ্গু সংক্রমণ অনেক বেশি মারাত্মক হয় সচেতন থাকুন সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন।। আমার লেখা যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে যদি আপনারা কোন উপকৃত হন তাহলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করে সাথে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url