নিম তেলের উপকারিতা ও পাতার গুণাগুণ কি
নিম গাছ আমাদের অতি পরিচিত একটি গাছ।কিন্তু এটা আমরা সবাই জানি না, নিম তেলের উপকারিতা ও পাতার গুণাগুণ কি? এই নিম তেল ও পাতা আমাদের কি কি উপকারে আসে। সেই বিষয় নিয়ে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বিষয়টি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তিক্ত স্বাদের এই নিম ফল আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে, সাধারণত ত্বকের বিভিন্ন যত্নে নিম টেন এন্টিঅক্সিডেন্ট সহজে বার্ধকের ছাপ পড়তে দেয় না। সমৃদ্ধ তাই এটি সহজে আমাদের ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং সংকোচন প্রসারণ করতে সাহায্য করে।
নিম তেলের উপকারিতা ও পাতার গুণাগুণ কি
নিম তেলের উপকারিতা ও পাতার গুণাগুণ কি?নিম তেল আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। আমাদের শরীর ও চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে মিমের ফল থেকে তৈরি হয় নিম তেল। সাবান চুলে তেল হ্যান্ডওয়াশ ইত্যাদি নিমের তেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়া গায়ে মেখে ঘুমালে মশা কামড়ায়
না। নারিকেল তেলের সঙ্গে শরীরে মালিশ করলেও বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়ে থাকে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, ও চুল সুন্দর ও সিল্কি হয়।নিম তেল ছোট বড় সব ধরনের মানুষই ব্যবহার করতে পারবে। তাই নিম তেল আমাদের ঘরে রাখা দরকার। নিম তেলের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সবারে জানা
প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে এমন অনেক আছে যারা নিম তেলের ব্যবহার কি নিম তেলের উপকার কি ও পাতার গুনাগুন কি এই বিষয়গুলো কেউ জানে না।
নিম তেল ও পাতার গুণাগুণ কি
নিম তেল ও পাতার গুণাগুণ কি? পাতার গুনাগুন আমাদের সবার জানা প্রয়োজন। কেননা নিম তেল আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে আসে। মিমের ফল থেকে নিম তেল তৈরি হয়। এছাড়া নিম তেল থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয় যেমন সাবান হ্যান্ড ওয়াশ শ্যাম্পু ইত্যাদি তৈরি হয়। নিম তেল একটি বিশুদ্ধ
খাঁটি তেল। এতেলের গুণাগুণ অপরিসীম। নিম তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ও ত্বক ভালো থাকবে।
যেমন লেনোলিগ অলীক স্টিয়ারিক এসিড যা মাথা টক এবং চুলকে পুষ্ট করে। খুশকির প্রাথমিক কারণ ক্যানডিডা এবং মেলা সেজিয়া নামে পরিচিত ছত্রাক। ছত্রাক রোধে বৈশিষ্ট্যের কারণে নিম তেলের
ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়। নিম তেল খোসকির ফলে প্রদাহ চুলকানি এবং চালা থেকে মুক্তি দেয়। যাদের মাথায় অনেক খুশকি রয়েছে তারা নিম তেল ব্যবহার করলে খুশি ভালো হয়ে যায়। নিম তেল ও পাতা আমাদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য ক...
নিম তেলের উপকারিতা কি
নিমের ফল থেকে নিম তেল তৈরি হয়। নিম তেল একটি খাঁটি বিশুদ্ধ তেল। এই তেলের কোন রকম সমস্যা থাকে না। নিম তেল সাধারণত অনেক তেতো হয়ে থাকে। নিম তেলের উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। এই তেল আমাদের শরীরের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান করে থাকে। নিম তেল শরীরে মালিশ করলে ব্যথা ভালো হয়ে যায় এবং ত্বক ভালো থাকে।নিম তেলের উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
ত্বকের যত্নে নিম তেলের ব্যবহার
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে এই নিম তেল। নিম তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে সহজে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। নিম তেল ফেটে এসিডের সমৃদ্ধ যার কারণে এই তেলটি সহজে ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং সংকরন প্রসারণ সহজ হয়ে যায়। প্রতিদিন নিম তেল যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বকের বলে রেখা ও বার্ধক্য জনিত সব ধরনের দাগ দূর করা সম্ভব হয়।
নিম তেলে অ্যাসপিরিন জাতীয় উপাদান রয়েছে যার কারণে মুখে ব্রণ হওয়া থেকে ব্যাকটেরিয়া গুলোকে সহজেই ধ্বংস করে দেয়। ত্বকের লাল ভাব ও ব্রণের ক্ষত থেকে ব্যথা হলে নিম তেল ভালো করে দেয়। নিম তেল ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখে ও একদিনে প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে থাকে।
যদিও বংশগত কারণে কারো একজিমা হয় তাহলে নিম তেল দিলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। তকে যদি ছোট ছোট লালচে দাগ থাকে তাও নিম তেল ব্যবহার করলে সেটা দূর হয়ে যায়।
চুলের যত্নে নিম তেলের ব্যবহার
চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে এই নিম তেল। নিম তেল যদি নিয়মিত ব্যবহার করা হয় তাহলে মাথার কোনো খুশী থাকবে না। চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার সময় যদি কয়েক ফোঁটা নিম তেল দেওয়া হয় তাহলে আপনার চুল ভালো থাকবে। এছাড়া চুলে যদি উকুন থাকে নিম তেল দিলে আপনার মাথার ও কোন ভালো হয়ে যাবে।
নিয়মিত চুলে নিমের তেল ব্যবহার করলে চুল ওঠা বন্ধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিম তেল এর সাথে শ্যাম্পু মিশিয়ে দিলে খুব সেই ভালো হয়ে যায়। বিভিন্ন চর্মরোগ হলে নিম তেল ব্যবহার করলে চর্মরোগ ভালো হয়ে যায়।
নিম তেল ব্যাকটেরিয়া নাশ করে
নিম তেল ব্যাকটেরিয়া নাশ করে এটি আমরা অনেকেই জানিনা। ফায়ার ব্লাইড একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ, যেটা গাছের পাতা পুড়ে ঝলসে যায়। এটি এড়াতে নিম তেল ব্যবহার করা দরকারি। বিভিন্ন কাটা ছেঁড়া জায়গায় নিম তেল ব্যবহার করা যায়। নিম তেল বিভিন্নভাবে ব্যাকটেরিয়া বাস করে থাকে।
নিমাটোড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
নিম তেল নিমাটোড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বা সুতা কৃমি মাটিতে পাওয়া একটি পরাজীবী যা ফসলের মূল থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে ধীরে ধীরে উদ্ভিদকে ধ্বংস করতে থাকে। এটি দূর করতে জমি তৈরি করার সময় নিমের পিঠা ব্যবহার করুন বা রোপনের পর গাছ গোড়ায় নিমের তেল ব্যবহার করুন।
পরিবেশের জন্য নিরাপদ
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক এর ব্যবহার মাটি বায়ু ও জল দূষণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে নিম গাছ। যদিও নিমের তেল থেকে তৈরি হওয়া কীটনাশক আমাদের পরিবেশের উপর বিশেষ কোন প্রভাব ফেলে না। তবুও অতি সহজে এটি জৈবিকভাবে নিয়োজিত হয়ে মাটিতে মিশে যায়।
নিম পাতার গুনাগুন কি
নিম পাতার গুনাগুন কি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হলো। নিমপাতা আমাদের অনেক কাজে আসে। নিম পাতা খেলে আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমাদের ক্লান্তি দূর করে কমাতে কাশি ভালো হয়, শরীরের কোন জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হলে সেটি ভালো করতে সাহায্য করে।
ইউটিআই বা মূত্রনালের সংক্রমণ ঘটায় এবং কৃমি সমস্যা দূর করে। যদি কারো বমি বমি ভাব হয় পাতা খেলে বমি ভাব সেরে যায়। নিম পাতা খেলে শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়।
নিম পাতার ব্যবহার কি
নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে, কুষ্ঠ, চোখের রোগ, রক্তাক্ত নাক, পেট খারাপ খিদে কমে যাওয়া, রক্তনালীর রোগ, জ্বর, আলসার, ডায়াবেটিস মারের সমস্যা বিভিন্ন সমাধানের সাহায্য করে। এছাড়া নিম গাছের ছাল ম্যালেরিয়া পেট এবং আলসার চর্মরোগ ব্যথা এবং জ্বর ভালো করতে সাহায্য করে।
নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম কি
ভালো ফল পেতে হলে নিমপাতার কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। এতে করে আপনার শরীরের সমস্যা দূর করবে এছাড়া কৃমি রোগ হলে সেটির সাথে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পাঁচটি গোল মরিচ ও দশটি নিমপাতা পাঠাতে পিছে ছেলে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। চর্ম রোগের জন্য এই নিমপাতা প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করে। এছাড়া চোখের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে নিম পাতা সাহায্য করে।
গোসলের ক্ষেত্রে নিমপাতা
নিমপাতা দিয়ে গোসল করলে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চর্মরোগ ঠেকাতে নিমপাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য করে ভূমিকা রাখে। আয়ুর্বেদের শুরু থেকেই নিমপাতা পানিতে গোসল করার নিয়ম রীতি রয়েছে। নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে আমাদের জ্বর সারতে ভালো করে। নিমপাতা আমাদের শরীরের কমন ফ্লু কিংবা ঠান্ডা লাগা থেকে করে। এছাড়া দেহের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে নিম পাতা।
ত্বকের ক্ষেত্রে নিম পাতা
ত্বকের ক্ষেত্রে নিম পাতার গুনাগুন অনেক বেশি। সাধারণত ত্বকের চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়্ গরম ত্বক থেকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে, এটি সাধারণ চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের হাত থেকে খুব সহজেই এটি মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এবং ত্বকে সুরক্ষিত রাখে।
নিম পাতার অপকারিতা কি
নিম পাতার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। যদি কোন গর্ভবতী নিম পাতার রস খায় তাহলে তার সমস্যা হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের নিমের সঙ্গে যোগাযোগ সক্রিয়া। এটির শরীরের শুক্রাণু কোষ প্রত্যাখ্যান করে এবং গর্ভবতী ভ্রূণকে নষ্ট করে দেয়। শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয় এর কিছু পদার্থ শিশুদের মধ্যে শিনোমের উপসর্গের কারণ হতে পারে।
অহেতুক ক্লান্তির কারণ হতে পারে। যাদের অল্পতেই ক্লান্তি আসে এবং দুর্বলতা হয়, তাদের জন্য নিমপাতা কোন উপকারে আসবে না। নিমপাতা বা নিমের তৈরি কোন উপকরণই এই ধরনের মানুষের কোন কাজে আসবে না। বরং আরো অসুস্থতা বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভাবনা থাকে।
লেখকের মন্তব্য
নিম পাতা আমাদের সাধারণত চির পরিচিত একটি গাছ। এ গাছ আমাদের অনেক উপকারে আসে গাছ আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। সেই সাথে নিম গাছের পাতা ও নিমের ফল থেকে তৈরি নিমের তেল, আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে। নিম তেলের উপকারিতা ও পাতার গুণাগুণ কি? এই বিষয়ে আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে আপনারা যদি কোন উপকৃত হন, তাহলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url