ত্বক ও চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার কি
ত্বক ও চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার কি ? এই বিষয়টি আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। আজ আপনাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বিষয়টি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সাধারণত চুলের যত্নে নিমপাতা অতুলনীয়। কোন ব্রণ মেছতা দাগ ইত্যাদি হলে দুশ্চিন্তার কারণ হয়। এই নিয়ে আমরা অনেকেই ডক্টরের কাছে যাই চিকিৎসা নিতে বিভিন্ন ওষুধ খায় কত কিছু না প্রসাধনে ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা জানি না নিমপাতা আমাদের ত্বকের যত্নে ও চুলের যত্নে কতটা উপকারী চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
ত্বক ও চুলের যত্নে পাতার ব্যবহার কি
আমাদের ত্বক অতি কোমলিও একটি জিনিস, এবং চুল অনেকেরই পছন্দ। যদি এই চুল ঘন কালো লম্বা না হয়, তাহলে কেউ তা দেখতে পছন্দ করবে না। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ নিমপাতা দিয়ে ত্বক ও চুল সুন্দর করে তোলে। মুখে যদি কারো ব্রণ হয়ে থাকে তাহলে নিম পাতা ও হলুদ মিশিয়ে মুখে দিলে ত্বক সুন্দর হয় ও মুখে কোন ব্রণ বের হয় না।
অনেকের মাথায় চুলকানি হয়, খুকশি হয়, নিম পাতার রস মাথায় যদি প্রতিদিন দেওয়া হয় তাহলে মাথায় চুলকানি হবে না চুল শক্ত ভালো হবে এবং চুল গজাবে। চুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মুখে লাগালে সেই সাথে নিমপাতা দিতে হবে এতে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। একটু কম দিতে হবে নিম পাতা বেশি দিতে হবে।এছারা বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে যেমন,
মুখ ও দাতের যত্ন
নিমের অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্তি-অক্সিডেন্ট মুখ ও দাতের যত্ন খুব গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।আমরা সাবাই জানি নিমের দাল দিয়ে দাত মাজলে দাতের গোঁড়া মজবুত হয়। এছারা দাতের মারি দিয়ে যদি রক্ত পরে তাহলে সেতি পড়া থেকে ভাল হয়ে যায়। মুখে কোন দুরগন্ধ থাকলে নিম গাছের ডাল দিয়ে দাত মাজলে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
কাটাছেড়া
শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে,বা পুড়ে গেলে সেই জায়গায় নিম পাতার রস দিলে ওই জায়গা ভাল হয়ে যায়। এছারা নিম পাতা যদি পিশে কোন ক্ষত স্থানে অথবা কেটে গেলে সেই জাইগায় দিলে ক্ষত স্থান বা কেটে জাওয়া রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও লিভারের সমস্যা
নিম পাতা কস্থকাঠিন্য বা লিভাবের মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এর সাথে নিম পাতার রস পরিশোধন করতে সাহায্য করে থাকে। এটি খেলে শরীর থেকে কোন ক্ষতিকারক ও বিসাক্ত উপাদান থাকে তাহলে সেটিও বের করতে সাহায্য করে।
চর্মরোগ ভাল করে
শরীরে যদি চর্ম রোগ থাকে তাহলে সেটি করে। চর্মরোগ সাধারণত বর্ষা কালে হয়ে থাকে। এটি হলে নিতা পাতা পিশে শরীরে লাগালে চর্ম রোগ সেরে যায়। ১০ গ্রাম নিমের ছাল এবং নিমের বীজ নিম সাথে পিশে পেস্ট তৈরি করুন। যেখানে সংক্রমণ হয়েছে সেখানে লাগান। বিভিন্ন দাদ, চুলকানি একজিমা ইত্যাদি হলে নিম পাতা ব্যবহার করলে সেরে যায়।
ত্বকের যত্নে নিমপাতার ব্যবহার কি
আমরা সবাই জানি নিমপাতা আমাদের কতটা উপকারে আসে। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ নিম পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছে। ত্বক ভালো রাখতে নিমপাতায় যথেষ্ট। নিম পাতা আপনার ত্বকের বিভিন্ন জীবাণু দূর করে দেয় এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে।
সবাই এই বিষয়টি জানে না নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। এই বিষয়গুলো সবারই জানা প্রয়োজন। নিমপাতা সারা বছরই ব্যবহার করা যায়। সাধারণত ত্বকের যত্নে নিম পাতা অতুলনীয়। নিম পাতা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক ত্বককে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।
চা চামচ নিমপাতার ঘুরার সঙ্গে এক টেবিল চামচ বেসন পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর আপনার ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তার কিছুক্ষণ পর সেটি ধুয়ে ভালো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিম পাতার গুড়া ও অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় এটি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
নিম পাতার প্লিনজার কি
নিমপাতা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, সে যেন এটি অতি সহজেই নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
নিম পাতা ব্যবহারের ফলে ত্বককে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করে দেয়এন্টিনিম পাতা ব্যবহারের উপকার কি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
ব্রণ ব্ল্যাকহেডসের মত অনেক সমস্যা দূর করতে এটি অনেক কার্যকারী ভূমিকা রাখে। সেই সাথে ত্বককে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন লোমের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ময়লা খুব সহজে পরিষ্কার করে দেয়। ক্লিনজার তৈরির জন্য বেশ কয়েকটি নিমপাতা নিতে হবে, তারপর একটি ভালো পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে।
সেখানে নিমপাতার দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গরম পানি সবুজ না হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত পানি ফুটিয়ে নিতে হবে এরপর পানি ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করে একটি পরিষ্কার বোতলের সংরক্ষণ করতে হবে। এবং এটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পরিষ্কার কোন তুলার সাহায্যে আপনার গলায় ও মুখে মেখে নিন কিংবা লাগিয়ে দেন এতে আপনার ত্বক সুন্দর হবে।
নিম পাতার ফেসপ্যাক কি
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় হোক কেন নিম পাতা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকে বা আপনার কোন শরীরে অংশে হত বা জ্বালাপোড়া হলে কিংবা চুলকানি হলে আপনি নিমপাতা ব্যবহার করুন। এটি আপনার অনেক কাজে আসে।এছাড়াও আপনার শরীরের কোথাও কিংবা তাকে ইনফেকশন হলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন।
আবার রুক্ষ ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতেও সাহায্য করে নিম পাতা। নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য প্রথমে পাতা শুকনো করে গুড়ো করে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ শুকনো নিমপাতার গুড়া এবং 2 টেবিল চামচ চন্দন পাউডার মিশিয়ে নিন। আবার তার সঙ্গে মেশানো সামান্য পানিও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল।
এগুলো সবকিছু নিয়ে একসাথে মেশাতে হয়।এরপর আপনি ফেস প্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে থাকুন। এছাড়া মুখে ফেসপ্যাক দিয়ে বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে মুখ ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে তারপর তোয়ালা দিয়ে মুছে নিতে হবে। তারপর আপনার ত্বক দেখবেন অনেক সুন্দর হয়ে উঠে
রূপচর্চায় নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার ব্যবহার রূপচর্চার জন্য অন্যতম। স্বাস্থ্যগত ও গুণাগুণের পাশাপাশি নিমপাতা চুলের যত্ন অপরিহার্য। নিম পাতা এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ভাইরাল উপাদান থাকায় ত্বকের বিভিন্ন ইনফেকশন সারাতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। নিম পাতা নরম হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করে নিয়ে পানি ছেকে গোসল করে নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় রোযা রাখার উপায় কি
প্রতিদিন নিম পাতার পানি গরম করে গোসল করলে ত্বকে কোন ইনফেকশন হবে না। আপনার শরীরের বিভিন্ন ইনফেকশন চুলকানি সবকিছু দূর হয়ে যাবে। সাধারণত তাকে শিবাকাশ গ্রন্থিতে অতিরিক্ত ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। নিম পাতা ব্যবহার করলে ব্রণ ভালো হয়ে যায়।
আপনি যদি আপনার মুখে তৈলাক্ত ভাব কমাতে চান, তাহলে শসা মিমের ফেসপ্যাক অথবা নিমটক দইয়ের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
টোনার হিসেবে ব্যবহার
নিম পাতা প্রতিদিন ব্যবহার করলে মুখের দাগ সেরে যাবে। এছাড়াও মুখের কালচে ভাবো কমিয়ে দিবে। গরম পানিতে নিমপাতা সেদ্ধ করে ছেকে নিয়ে ওই পানে ত্বককে মাখিয়ে নিতে হবে এতে তো সুন্দর করতে সাহায্য করে।
আপনি যদি নিমপাতা সিদ্ধ করে ছেকে নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখেন এবং সেই পানি প্রতি রাতে মুখে লাগান। এছাড়া এর সাথে সামান্য কিছু গোলাপজল মিশিয়ে নিন এতে করে আপনার তো খুব সুন্দর হয়ে উঠবে।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে নিম পাতা
নিম পাতা ব্যবহার ত্বককে নরম ও কোমল করে ত্বকে সুস্থ করে রাখে। সামান্য পরিমাণ নিমপাতা গুঁড়ো এবং কয়েক ফোটা জলপাই তেল সাথে দিন। এবং এটি আপনার সম্পূর্ণ মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন অথবা দুই দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে আপনার তো খুব সুন্দর হয়ে উঠবে।
কালো দাগ দূর করে
নিম পাতার ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর করে দেয়। নিম পাতা আপনার শরীরের লোমকূপের ভেতর থেকে বিভিন্ন জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। সাধারণত আপনার মুখের কালো দাগ ও শরীরের রোম কূপের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিম পাতা গুঁড়ো সঙ্গে কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করে একসাথে মেশান, এবং এর সাথে মধু দুধ ও টক দই মেশান। সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার ব্যবহার করলে আপনার ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়ে উঠবে। এছাড়া আপনার শুধু ব্ল্যাকহেডের সমস্যা থাকলে ওই আক্রান্ত স্থানে নিম তেল মালিশ করুন।
চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার কি
নিম পাতায় রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিভাইরাস উপাদান। সেজন্য নিম পাতা আমাদের শরীরে বিভিন্ন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিম গাছের ডাল পাতা থেকে ফলে রয়েছে অনেক গুণ যা ব্যবহারে আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও অনেক উপকার। চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার অন্যতম।
নিমপাতা ব্যবহার করলে চুল শক্ত ও মজবুত হয় এবং মাথার খুব শীষ সমস্যার সমাধান করে দেয়। নিম পাতার হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিলে এবং সেটি চুলে ব্যবহার করলে আপনার চুল সুন্দর হবে। শীতকালে ত্বক শুষ্ক থাকার কারনে মাথায় অনেক খুকশি হয় তাই নিমপাতা ব্যবহার করলে খুশি ভালো হয়ে যায়। পাশাপাশি চুল রুগ্ন হয়ে যায় এবং খুব বেশি পরিমাণে চুল পড়তে থাকে।
অযত্ন আবহাওয়া ও দোসরনের কারণেও কিন্তু বিভিন্ন সমস্যাহয় চুলের যত্ন না নেওয়ার কারণে প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর ভরসা রাখা যায়। চুলের যত্নে কিছু প্রাকৃতিক হেয়ার ব্যাগ ব্যবহার করা যায় যেমন নিম পাতার হেয়ার ব্যাগ বানিয়ে আপনি চুলের ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলের অনেক সমস্যা সমাধান করে দেয়।
এছাড়া নিম তেলে অনেক ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি এসিড রুগ্ন চুলের খারাপ অবস্থা ভালো করতে সাহায্য করে। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। যেটি চুলের জেলেরা ফিরিয়ে দেয়। চুল বড় করতে ও চুলের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
এছাড়া চুলকে ময়েশ্চারাইস এবং ডিপ কন্ডিশনিং করে তোলে। ইস ক্যাল্পের কোন ফাংগাল ইনফেকশন শাড়িতে সাহায্য করে থাকে। খুব খুশকির সমস্যা ও সমাধান করে থাকে। যেমন নিমের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান। ব্রাজিলিয়ান জার্নাল অফ মাইক্রোবায়োলজি পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা তেও এটি উল্লেখ করা হয়েছে ।
নিম পাতার হেয়ার প্যাক
নিম পাতার হেয়ার ব্যাগ তৈরি কিভাবে করা যায়। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। চলুন তাহলে বিষয়টি জেনে নেয়া যাক। সামান্য দশটা থেকে বিশ টার মত নিমপাতা নিতে হবে সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে এবং শুকিয়ে নিতে হবে।
তারপর নিম পাতা গুঁড়ো করে পাউডার তৈরি করে এর সাথে অলিভ অয়েল তেল মেশাতে হবে। এবং এ দুটি খুব ভালো ঘন করে মিশিয়ে নিতে হয় তারপর সেটি পেস্ট করে আপনার চুলে এবং স্কেল পেয়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সেটি শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এক ঘন্টার রাখলেই চলবে। শ্যাম্পু করার পর আপনার কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না।
খুশকি দূর করে
নিমপাতা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে সাধারণত স্কেলপের শুষ্কতা খুশকির আরেকটি কারণ।, এছাড়া চুলের অযত্নের কারনে ও সমস্যা হতে পারে।, নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অয় অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যেটি সব সমস্যা দূর করে তোলে।নিম তেল কোন ক্যারিয়ার অয়েল এর সাথে মিশিয়ে স্কেলপে মালিশ করুন।
অযত্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার বিভিন্ন চুলের স্টাইল ও বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনের চুলে ব্যবহার করার কারণে চুল খারাপ হতে থাকে এমনকি অনেকের মাথায় টাকও পড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তাহলে হিয়ার ফলে কলও থাকে মজবুত এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে নিম তেলের ব্যবহার।
নিমপাতা টক দই মেথির ও পেস্ট
মেথি ২ টেবিল চামচ মিমের পাতা চল্লিশটি টক দই দুই দুই কাপ লেবুর রস এক টেবিল চামচ। এই উপকরণটি আপনার চুলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।মেথি পানিতে তিন ঘন্টা ভিজানোর পর নিমের পাতা মিশিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে তারপর এই ব্লেন্ড করা পেস্ট এর সাথে টক দই মেশানো ও লেবুর রস দিতে হবে।
02আরও পড়ুনঃ চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার উপায় কি
প্রথমে চুলের তেল দিতে হবে তারপর একঘন্টা পর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
চুল পড়া বন্ধ করে
নিম পাতা চুল পড়া বন্ধ করে। নিম পাতা মাথার রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। ফলে মাথার চুল পড়া বন্ধ করে দেয়।এছারা এটি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। নিম পাতা অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল বিশিষ্টের কারনে স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকে অবদান রাখে। চুলের ত্বকের মড়া চামড়া, বায়ু দূষণ, রোদের ক্ষতিকর আলোর
কারণে চুল নষ্ট হয়ে যায়। সেই জন্য নিম পাতা ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হয়।
লেখকের মন্তব্য
ত্বক ও চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার কি? এই বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়া হয়েছে।, আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এবং যদি কোন উপকারে এসে থাকে, তাহলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url