OrdinaryITPostAd

শিশুদের ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি

শিশুদের ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি? আজ আপনাদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। সারা বিশ্বে দেখা গেছে ১৫ বছর বয়সের নিচে শিশুদের ডায়াবেটিস হচ্ছে। নতুনভাবে সতর হাজার শিশুর ডায়াবেটিস হচ্ছে। এই শহত্তর হাজার শিশুদের একটা বড় অংশ থাকছে উপমহাদেশে। 
শিশুদের ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি


আমরা ভালো করে জানি যে বাংলাদেশ সাউথইস্ট এশিয়াতে আছে। 
আমরা অনেকেই মনে করে থাকি ডায়াবেটিস শুধু বড়দেরই হয়, শিশুদের হয় না এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা ডায়বেটিস রোগীর ছোট বড় সবারই হয়ে থাকে। ৭০ হাজার শিশুর যে ডায়াবেটিস হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডায়াবেটিস টাইপ ওয়ান।

ভূমিকা

ডায়াবেটিস আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অসুখ। যেটি হলে সারা জীবন আমাদের ওষুধ খেতে হয়। অনেক বাবা মা আছেন যারা মেনে নিতে পারেন না যে, তাদের শিশু ডায়াবেটিস হয়েছে। যখন কোন শিশুর ডায়াবেটিস হয় তখন সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকে তার বাবা মার। কারণ তারা বোঝেনা তাদের শিশুটি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়েছে।

যদিও রোগটি বিপদজনক তবুও এ রোগের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। বাবা মাকে বুঝতে হবে শিশুর এই অসুখ হলে তার জীবনে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। তাই তাদের ধৈর্যের সাথে লড়াই করে মেনে নিতে হবে। যেমন ইনসুলিন দেওয়া ব্যায়াম করা খাদ্যের পরিবর্তন করা ইত্যাদি।

শিশুদের ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি

আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব সেটা হল শিশুদের ডায়াবেটিস হলে করণীয় কি। আসলে ডায়াবেটিস কি কিভাবে এটি হয়, শিশুদের ডায়াবেটিস কিভাবে নির্ণয় করা যায় এসব কিছুই আলোচ্য বিষয়। সহজ ভাবে ডায়াবেটিস বলতে বোঝায় আমাদের শরীরে পেটের ওপরের অংশের বাম পাশে

থাকে, একটি গ্রন্থি যার নাম হচ্ছে অগ্নাশয়। পাতার মতো একটি গ্রন্থির যেখান থেকে একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এখন কম বেশি আমরা সবাই এই হরমোনের নাম জানি যার নাম হচ্ছে ইনসুলিন। ডায়াবেটিস তখনই হয় যখন এই ইনসুলিন নামের হরমোনের সমস্যা হয়।

সমস্যাটি এমন হতে পারে কোন কারণে অগ্ন্যাশয় থেকে মিশ্রিত হচ্ছে না। অথবা ইনসুলিন থেকে মিশ্রিত হচ্ছে। কিন্তু ইনসুলিন যেখানে কাজ করবে সেখানে ইনসুলিন যে কাজ করতে পারছে না।

ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ

ডায়াবেটিস সাধারণত দুই প্রকার এক টাইপ ওয়ান দুই টাইপ টু। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে টাইপ ওয়ান বেশি হয়ে থাকে। অবশ্য এটি যে কোন বয়সের মানুষেরই হতে পারে। বিশেষ বড় ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ডায়াবেটিস হতে পারে। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত এমন বয়সের বাচ্চাদের টাইপ টু হয়ে থাকে।

টাইপ ওয়ান যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে ওই সমস্ত বাচ্চাদের অগ্নাশয়। ওই সমস্ত পোস্টগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে ওখান থেকে কোন ইনসুলিন আর মিশ্রিত হয় না। আর টাইপ টু এর ক্ষেত্রে যেটা হয়, ইনসুলিন মিশ্রি তো ঠিকই হয় কিন্তু ইনসুলিন যেখানে কাজ করার সেখানে কাজ করতে পারেনা।

ডায়াবেটিস কিভাবে হয়

আমরা সাধারণত যে খাবারগুলো খাই সেগুলো হয়তো ঠিক মত হজম হতে পারে না। ডায়াবেটিসের সাথে শর্করা জাতীয় খাবারের সম্পর্ক বেশি। শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত রুটি আলোর বিস্কুট নুডুলস পাস্তা ইত্যাদি। এই সকল খাবার যখন খাওয়া হয় তখন হজম হওয়ার পর গ্লুকোজে পরিণত হয়। ও রক্তে গ্লুকোজ এ পরিণত হয়। 

ইনসুলিনের কাজ হচ্ছে রক্তে যে গ্লুকোজ থাকছে ওই সমস্ত কোষ গুলো যেমন, মাংসপেশী অথবা লিভারের যে কোষগুলো গ্লুকস কে নিয়ে যাওয়া, এবং এগুলোকে ব্যবহার করা ও শক্তি উৎপন্ন করা হয়। যখন কোন ইনসুলিন থাকছে না তখন গ্লুকোজ ব্যবহার করা হচ্ছে না। যার ফলে গ্লুকোজের মাত্রা রক্তে বেড়েই যাচ্ছে। একসময় হাইপার গ্লাইসেমিয়া হচ্ছে যেটাকে বলা হয় ডায়াবেটিস।

ডায়াবেটিসের উপসর্গ কি

বিভিন্নভাবে ডাইবেটিসের উপসর্গ পাওয়া যায়। আপনারা মা-বাবা কিভাবে বুঝবেন যে আপনার শিশু ডায়াবেটিস হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যখন কোন শিশুর ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো দেখা যাচ্ছে। যখন কোন শিশু ঘন ঘন প্রসব করছে, এবং অনেক সময় মায়েরা বলে রাত্রে প্রসবের পরিমাণটা বেশি বেড়ে যাচ্ছে।

সেই সাথে শিশুর ঘনঘন খুদা লাগে, এবং খুব বেশি পিপাসা লাগে ও অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব করে। শিশুরা যখন কোন খেলাধুলা করে বা কোন কাজ করে তখন বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। এবং শিশুর ওজন আস্তে আস্তে কমে যায়। এছাড়াও অনেক শিশু দেখা যায় মোটা হয়ে যায়।

এগুলো হলে বোঝা যায় যে শিশুর ডায়াবেটিসহ সম্ভাবনা আছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় শিশুর পেটে ব্যথা করে এবং শরীরে পানি পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া অনেক সময় শিশুর খিচুড়ি ও হতে পারে। এই উপসর্গ গুলো দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে যে তার ডাইবেটিস হয়েছে।

ডায়াবেটিসের প্রতিকার কি

ডায়াবেটিস রোগটা অনেক ভয়ঙ্কর হতে পারে। তবে এর কিছু নিয়ম গুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস কে কন্ট্রোলে আনা যায়। যখন কোন শিশু ডায়াবেটিস হয় তখন তার ব্লাড সুগার দেখতে হয়। তার পরিমাণ কি সেটা মেপে নিতে হয়। তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়, এবং খাবারে পরিবর্তন আনতে হবে।

শিশুদের যেহেতু টাইপ ওয়ান বেশি হয় সে ক্ষেত্রে তাকে ইনসুলিন দিতে হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুদের কিভাবে ইনসুলিন দিতে হয় সেটা জেনে নিতে হয়। ভুল ইনসুলিন দিলে সমস্যা হয়ে যায়। শিশুর ওজন অনুযায়ী ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হয়। এবং সে মাত্রায় তাকে ইনসুলিন দেওয়া যায়।

ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখার প্রধান বিষয় সেটা ইনসুলিন দোষ কিভাবে মেইনটেইন করতে হবে। তার পাশাপাশি খাদ্যের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। এবং এর ব্যালেন্স ঘটে রোগের সাথে মিশে যাবে তখন বোঝা যাবে এটি কন্ট্রোলে থাকবে। পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে। তবে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

ডায়াবেটিসের খাদ্য তালিকা

শিশু যখন ডায়াবেটিস হয় তখন তার খাদ্যে তালিকা আলাদা করে নিতে হয়। খাদ্যের পরিমাণ কেমন হবে সেটা বাবা মাকে সময় নিয়ে তাদের শিশুকে বোঝাতে হবে। সে কি ধরনের খাবার খাবে কেমন খাবার খাবে সেগুলো তার বাবা মাকে নির্ধারণ করে দিতে হবে।

খাবারের সাধারণত শর্করা থাকে ৫০ ভাগ, আমি সে পরিমাণ থাকে ১৫ ভাগ, এবং চর্বি পরিমাণ থাকে 30 ভাগ। এখানে বুঝতে হবে যে কোন জাতীয় সরকারের খাবার খাওয়া তার জন্য ভালো হবে। যেমন ভাত গো মা টা কেক ওটস পাস্তা ইত্যাদি খাবার তার জন্য ভালো হব

যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে, বাবা মা অথবা আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি বংশগত দিক থেকেও ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে এ ডায়াবেটিস জাতীয় বাচ্চাদের সতর্ক রাখা ভালো। যেন তারা ঠিক মতো খেলাধুলা করে বা ব্যায়াম করে। তাদের ওজন কমে ঠিক মত ওজন বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক শিশুদের ডায়াবেটিস হলে করনীয় কি বিষয়টা যদি সঠিকভাবে জানতে পারেন, এবং এর সঠিক তথ্য গুলো যদি আপনাদের এতটুকু উপকার লেগে থাকে, এই তথ্যগুলো যদি আপনাদের কোন কাজেও লেগে থাকে বা আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url