২০২৪ এর খরার দুর্যোগ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস
নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ কি পারবে খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে? ২০২৪ এর খরার দুর্যোগ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস কেমন হবে? আজকের এই আঁটিকেলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বিষয়টি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ শুধু তারাই জানে এই কষ্টের কথায় আসা যাক। ২০২৪ সালে খরা দুর্যোগে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের যে গরমের দুর্ভোগ আসবে। সে গরমে দুর্ভোগে কি করে সে বাইরে না ঘরের ভিতরে কষ্টের মধ্যে যে থাকবে।
২০২৪ এর খরার দুর্যোগ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস
আমরা নিম্ন মধ্যবিত্তরা জন্মের পর থেকেই জন্মের ঘর থেকেই আমরা যুদ্ধ করে আসি। না আছে আমাদের বড় বড় কোন ইচ্ছা না আছে গরিবের মত বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা।গরিবের মত আমরা কারো কাছে চাইতেও যেতে পারি, না বড় লোকের মত আমাদের কোন ইচ্ছাও পূরণ হয় না, যার কারণে আমরা মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তরা থেকে যায় অন্তরার আড়ালে।
আমরা নিম্ন মধ্যবিত্তরা আমাদের জীবনে ইটভাটায় পোড়া মাটির মতো, নিজের মনটাকে ওর শরীরটাকে ও জীবনটাকে এমন ভাবে শক্ত করে নেই যে স্বয়ং ইট বা পাথর দিয়েও তা ভাঙ্গা সহজ নয়। কিন্তু যখন আমরা নিজেরাই নিজেদের পরিবারের মানুষদের কাছে পরাজিত হয়ে যায়। তখন পৃথিবীটাই আমাদের কাছে হয়ে যায় একটা অন্ধকার আচ্ছন্ন।
রুমের মতো আমরা আমাদের ইনকামের অনেক কষ্টের টাকা দিয়ে আমাদের মাস কোন মতে পার করি। এবং সেই টাকা দিয়ে আমরা আমাদের বাবা, মা ,ভাই, বোন ,ছেলে, মেয়ে ,স্ত্রী ,সন্তান তাদের দৈনিক চাহিদা ও মাসিক চাহিদা ও পূরণ করে থাকে।
আমরা না পারি উপরে উঠতে আর না পারি নিচে নামতে। কারণ একজনকে ভালো মতো তার ঠিকমতো ইচ্ছা পূরণ করতে গেলে বাকি সবার ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায় ।
নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস
২০২৪ এর খরা দুর্যোগ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের না বিশ্বাস হয়ে যাবে। অতিরিক্ত খরার কারণ খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্ট হয়ে যাবে। মূলত খরার প্রধান কারণ হচ্ছে দেরিতে বৃষ্টি হওয়া অথবা মৌসুমী বৃষ্টি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া। প্রতি বছর বর্ষার সময় যে পরিমাণে পানি ভূ গর্ভস্থে জমা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ পানি মানুষ খরচ করে ফেলছে।
আরও পড়ুনঃ ধৈর্য কি ও ধৈর্যশীলতা অর্জনের উপায় কি
ফলে খরার সৃষ্টি হয় এতে করে মানুষের পানির অভাব হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে যার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। এতে করে শুকিয়ে যাচ্ছে নদী নালাখাল বিল পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা জমিতে ফসল ফলাতে পারছে না। তাদের পরিবারে বিভিন্ন অভাব দেখা দেয়।
খরা কি
সাধারণত খরা বলতে বঝায় পানি সরবরাহের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতির একটি ঘটনা যেটি কোন বায়ুমণ্ডলীয় বা গড় বৃষ্টিপাতের নিচে ভু পৃষ্টের জল বা ভুগর্ভস্থ জল হতে পারে। এবং এটি এক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। সাধারণত এটি যে অঞ্চলে ক্ষতি হয় সেই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র বিভিন্ন ফসলের ওপর অনেক প্রভাব ফেলতে পারে।
এবং বিভিন্ন অর্থনীতিক ভাবে ক্ষতি হতে পারে। এছারা সাধারন মানুষের জীবনধারণ করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।
খরা কত প্রকার
কোন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে যদি স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় কম বৃষ্টি হয় তাহলে সেখানে খরা বলা যায়।খরার বিভিন্ন প্রকার হোলঃ
চরম খরা- কোন অঞ্চলে যদি ১৫ দিন ধরে একিভাবে ০.২ মিমি এর থেকে কম বৃষ্টি হয় তাহলে তাকে চরম খরা বলে থাকে।
আংশিক খরা- কোন অঞ্চলে যদি একিভাবে ২৯ দিন ধরে প্রতিদিন ০.২ মিমি এর থেকে কম বৃষ্টি হয় তাহলে সেটাকে আংশিক খরা বলা হয়।
আবহিক খরা- কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি নির্দিষ্ট কালে বৃষ্টির পরিমান যদি সেই জায়গার দীর্ঘ সময় গড়বৃষ্টির থেকে ৭৫% কম হয় তখন তাকে আবহিক খরা বলে।
জলজখরা- সাধারণত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে নদীবাহিত জলের পরিমাণ স্বাভাবিক থেকে অনেকটা কমে যায়।যার কারণে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জল সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন তাকে জলজ খরা বলা হয়।
কৃষিজ খরা- বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে এবং আবহাওয়া ও শুষ্ক থাকে তাই জমিতে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয় না তখন তাকে কৃষিজ খরা বলে।
আর্থ সামাজিক খরা- জলের পরিমানে অস্বাভাবিক হ্রাস আর্থ সামাজিক কাজে বাধা পড়লে তাকে আরথসামাজিক খরা বলে। পানির অভাবে দিন মুজুরি যারা তারা ঠিক মত কাজ করতে পারেনা এতে করে বেকারত্ব, পরিবারে অভাব বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
খরা কখন হয়
খরা দূর্যোগ হয় যখন বৃষ্টিপাতের মাত্রা এবং আবহাওয়ার অবস্থা, স্বাভাবিক হয়, ও জলের চাহিদা সরবরাহের মধ্যে সন্তুুলনীয় স্থাপন করা হয়। খরা দুর্যোগের জন্য কত দিন বা মাস লাগবে তা নির্ভর করে খরার ধরন, তীব্রতা অবস্থান এবং প্রতিকার উপায়ের ওপর কিছু খরা বছর ধরে চলতে পারে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি একটি দীর্ঘস্থায়ী খরা প্রায় ৫৫০০ বছর ধরে চলে আসছে। সাধারণত জল সঞ্চয় করা জল ব্যবস্থাপনা করা জলপূর্ণ ব্যবহার করা সহনশীল ফসল চাষ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকার জনসাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
খরার কারণ কি
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে অন্যতম। দেশের প্রকৃতিতে খরার কারণে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। যার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে অনেক চাষিরা, তাদের জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় করার কারণে ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। অতিরিক্ত খরার কারন হচ্ছে গাছপালা কেটে ফেলা, বেশি পরিমানে পানি সেচ দেওয়া, অতিরিক্ত কৃষি কাজের ব্যবহার।
আরও পড়ুনঃ শিশুর বাড়তি খাবারের গুরুত্ব কি
অন্যভাবে জল ধরে রাখার ক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ায় হোল খরার অন্যতম কারণ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকে। মাটির পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে মানুষ জায়গা পরিবর্তন করে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। নদীর উজানে অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ নির্মাণ, ইত্যাদি কারণে খরা হয়ে থাকে।
খরার কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো কি
হাওয়ার কারণে সৃষ্ট সমস্যা গুলো যেমন, ফসলের উৎপাদন কমে যায় ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়
পানির অভাব হয় এবং জলবায়ু উত্তপ্ত হয়,খালবিল নদী-নালা,পুকুর ও গর্ভস্থ জল স্তর শুকিয়ে যায়
গবাদি পশুর মৃত্যু ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় ।অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাতাস পরিবেশ দূষিত হয়।
মানব স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে মানুষের পানির খুব কষ্ট হয়। পুকুরের পানি, নল কুপের পানি শুকিয়ে যায় যার কারণে পানি খেতে পাওয়া যায়না। অতিরিক্ত খরার কারণে শ্রমিক যারা তারা কাজ করতে পারেনা ফলে তাদের পরিবারে খাবার এর কষ্ট হয়। বাজারে খাবার এর দাম হয়ার কারণে কিনে খেতে পারেনা।
খরা মকাবেলায় করণীয় কি
খরা মোকামিলায় আমাদের প্রয়োজন অনেক বেশি করে গাছ লাগানো। কারণ গাছের শিকড় মাটিকে একসাথে ধরে রাখতে সাহায্য। করবে এর সাথে মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং সঠিকভাবে বাতাস প্রবাহিত হবে যাতে করে বৃষ্টি পেতে সাহায্য করে। গাছ লাগানোর জন্য সকল মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে যাতে করে তারা মাটির গুণগত মান উন্নয়নের জন্য এগিয়ে আসতে পারে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে নতুন মডেল নিয়ে এসেছে। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই এটি নজরে এনেছেন এ ব্যাপারে আরও সচেতনতা বাড়ানো দরকার। একই সাথে আমাদের প্রয়োজন জলবায়ুর সহিংসু প্রযুক্তির। সেদিকে আমাদের যাওয়া দরকার। খরা-নিরেশনে যেটা বেশি প্রয়োজন সেটা হলো পানির দক্ষ ব্যবহার করা।
কারণ কি শীতে সেজের অনেক প্রয়োজন হবে। আমাদের জানতে হবে কিভাবে এ কাজটি করলে পরিবেশের কম ক্ষতি করবে যেটা পরিচালনা করা যায়। সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া দরকার। যেমন উপরিস্থ পানি সেচের ব্যবহার করতে পারি। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কার্বন-নিরেশন যেভাবেই হোক না কেন কমিয়ে আনতে হবে।
কারণ এটা যদি কমিয়ে আনা না যায় তাহলে .২০৬০ সালে এর সর্বোচ্চ বা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। বিজ্ঞানীরা আরো ধারণা করেন যে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতা অনেক কমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন ঘন ঘন দেখা যায়। সাধারণত কৃষি কাজের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের অনেক বেশি করে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
খরা প্রবণ অঞ্চল
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বেশিরভাগ খরাজ ঝুঁকিতে থাকে পঞ্চগড়,রাজশাহী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এছাড়াও খুলনা বিভাগের মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ মাগুরা এবং ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলাতেও রয়েছে।
খরা সাথে সাথে বন্যা ঝুঁকিতেও রয়েছে অনেকটা অঞ্চল যেমন সিরাজগঞ্জ নাটোর বগুড়া পাবনা কুষ্টিয়ার রাজশাহী। আবার খরার সাথে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য জেলাগুলো হলো রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান। প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছে প্রাকৃতিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।
এছাড়াও খরার পাশাপাশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতেও রয়েছে তিনটি জেলা। বাংলাদেশের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে একটি ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও মেঘনা নদীর মোহনা। ১৯৯২ ও ১৯৯৮ সাল এর বন্যার সময় দেশের অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে।
১৯১৭ সালের বন্যায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল 24 জেলার ৩ লাখ হেক্টরও বেশি জমি। যার ফলে দেখা গেছে বাংলাদেশের প্রাই 64 জেলার ই প্রতিটি কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিতে রয়েছে।
লেখক এর মন্তব্য
২০১৪ এর খরা দুর্যোগ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস। দীর্ঘ সময় ধরে শুষ্ক আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে খরা হয়। যার কারণে খেটে খাওয়া মানুষদের জীবনধারণ করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। করার সময় বিভিন্ন অঞ্চল তথ্য হয়ে ওঠে এবং নদী-নালা খাল বিল শুকিয়ে যায় যার কারণে পানির অভাব ঘটে।
ভূগর্ভস্থর পানি নিচে নেমে যাওয়ার কারণে মাটির আদ্র তাই ঘাটতি দেখা দেয় যার ফলে ফসল শুকিয়ে শস্য বিপর্যয় ঘটে এবং গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এছাড়াও চাষাবাদ ও পশু পালনে বিভিন্ন সমস্যা হয়ে যায়। প্রাচীন কাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষের ওপর বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব পড়ে আসছে।
এইসব খরার মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। আমার দেয়া তথ্যগুলো যদি আপনাদের উপকারে আসে তাহলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url