খেজুর কত প্রকার কি কি ভালো খেজুর চেনার উপায় কি
বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খেজুর উৎপন্ন হয়ে থাকে। তবে ভালো মানের খেজুর সব দেশে পাওয়া যায় না। খেজুর কত প্রকার ও কি কি ভালো খেজুর চেনার উপায় কি? এই বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা করব। বিষয়টি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
১৪৫০ হিজরী আগে নবীজি নূরে মোহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনি উনার সাহাবী ও উম্মতদের জন্য খেজুর হালাল করে যান।এটি একটি ফল জাতীয় খাবার এবং দৈনন্দিন খাবার হিসেবেও এটি নেওয়া যেতে পারে।
খেজুর কত প্রকার কি কি ভালো খেজুর চেনার উপায় কি
আসুন এবার দেখা যাক খেজুর কত প্রকার কি কি ভালো খেজুর চেনার উপায় কি? মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সহ আরো পৃথিবীর অনেক দেশেই খেজুর পাওয়া যায়। দেশ আবহাওয়া মাটি এসব বিভিন্ন ক্ষেত্রে খেজুরের নাম ও নামকরণ ও স্বাদ এবং এটা দেখতে এবং রকম সবকিছুই ভিন্নতা রয়েছে। আসুন এবার দেখা যাক কোন কোন দেশে কি কি প্রকারের খেজুর পাওয়া যায়।
ইরাক থেকে কমপক্ষে ৩০ হাজার জাতের খেজুর বিক্রি করা হয় ব্যবসা ব্যবসায়ীরা ধারণা করেছেন। এইসবের মধ্যে কম দাম হওয়ার কারণে সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে, ইরাক থেকে আসছে জাহেরী খেজুর। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে খেজুরের আমদানি বাড়ছে রোজাতে।
আমাদের বাংলাদেশে বিশেষ করে রোজাতে খেজুরের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই ভালো খেজুর চেনার উপায় কি এ বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার। এছাড়া খেজুর কত প্রকার কি কি তাও জানা দরকার।
খেজুর কত প্রকার ও কি কি
দেশ মাটি এবং আবহাওয়া ভেদে খেজুর বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। আসল জেনে নিন খেজুর কত প্রকার কি কি? ফলের বাজারে খেজুর কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন দাম এবং নামের কারণে খেজুরের মান ও দ্বন্ধে পড়ে যায়। অনেকেই দেশের বিভিন্ন ফলের বাজারে এক জাত থেকে অন্য জাতের খেজুরের দামের পার্থক্য হয়ে থাকে।
ঢাকায় সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গিয়ে দেখা যায়। একই রকম খেজুরের একই মান দামের ভিন্নতা রয়েছে ইরাকের জনপ্রিয় জাহিদি খেজুর ছাড়াও সৌদি আরবের সাফাওই, কালমী, মাবরুম,মাশরুম,আম্বার ও আজওয়া সৌদি আরবের বিক্রি হচ্ছে।আমিরাতের লুলু বাবরি দাব্বাস ও নাগাল ইরান ওর জর্ডানের মরিয়ম খেজুর ভালো বিক্রি হচ্ছিল।
এছাড়াওসুক্কারি,শালাবি,ডেইরি, অয়ান্নাহ, সেফরি, খুদরি, ইত্যাদি খেজুর পাওয়া যায়।ইরাকি খেজুরগুলো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা করে। এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা করে যদি কেউ খেজুরের কার্টুন কিনে তাহলে তাকে পাইকারি দামে দেওয়া হয়।
কোন কোন দেশে খেজুর পাওয়া যায়
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খেজুর পাওয়া যায়। দেশগুলোর নাম হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, ওমান এবং আরব আমিরাতেও পাওয়া যায়। উত্তর আফ্রিকার মিশর,তিউনিসিয়া আলজেরিয়া এবং মরক্কো, উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া,এরিজোনা
এবং দক্ষিণ ফ্লোরিডা,এশিয়ার পাকিস্তান এবং ভারতের কিছু অংশ পাওয়া যায়।এছাড়াও বাংলাদেশেও খেজুর পাওয়া যায় যদিও বাংলাদেশের খেজুরগুলো খাওয়ার মত তেমন উপযুক্ত এখনো হয়নি। তার পরেও বাংলাদেশ খেজুর পাওয়া যায়।
জনপ্রিয় কয়েকটি খেজুরের নাম ও দরদাম কি
জনপ্রিয় কয়েকটি খেজুরের নাম ও দরদাম কি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। খেজুরের পাইকারি বাজারে হরেক রকমের খেজুর পাওয়া যাচ্ছে।এতে বাংলাদেশের বিদেশি জনপ্রিয় খেজুর যেমন আম্বার ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা মেইজ জুল 800 থেকে 840 টাকা কর্মী খেজুর ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।
আলজেরিয়ার ডাল খেজুর ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।এছাড়াও বিভিন্ন দামে বিভিন্ন নামে জনপ্রিয় খেজুর পাওয়া যাচ্ছে যেমন।
বাদামতলীতে তিউনেশিয়ার খেজুরের ডাল সহ খেজুর পাওয়া যাচ্ছে অনেকে মরিয়ম ভেবে ভুল করবে না?তো কেউ কেউ মরিয়ম খেজুর বলে বেছে নিচ্ছে,এই খেজুর পাঁচ কেজি কাটুন হয় তা ১৩৫০থেকে ১৫৫০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আজও খেজুর ১০ থেকে ১৫ধরনের হয়ে থাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভেদে তবে বাংলাদেশে বেশি জনপ্রিয়তার শীর্ষে।তাই খেজুর ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশ ও মান অনুযায়ী ৩০০০টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
মাশরুম খেজুর বাংলাদেশি ও জনগণের অন্যতম প্রিয় খেজুর এটি চার থেকে পাঁচ ধরনের হয়ে থাকে। দেশ ভেদে ও মানের কারণে এর তারতম্য হয়ে থাকে ২০০থেকে ৩০০টাকা পর্যন্ত।
ভালো খেজুর চেনার উপায় কি
ভালো খেজুর চেনার উপায় কি এই বিষয়টি অনেকেরই জানা প্রয়োজন। বর্তমানে ভালো মানের খেজুর অনেকেই চিনতে পারেনা। কারণ দোকানে বিভিন্ন রকমের এবং বিভিন্ন নামের খেজুর থাকে। কোন খেজুর ভালো কোন খেজুর খারাপ আপনি কিভাবে বুঝবেন?
আর তাই আপনার খেজুর চেনার উপায় গুলো বিশেষভাবে জানার প্রয়োজন। কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ বিশেষ করে বাংলাদেশে রোজার মাসে ধনী-গরিব প্রায় সকল পরিবারে মানুষ খেজুর কিনে থাকে।ভালো মানের খেজুর চেনার জন্য কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সতেজ ও তাজা খেজুরের চামড়া দেখা যাবে একটু কুঁচকানো হবে কিন্তু সেটি শক্ত হবে না এবং উপরে চামড়া দেখতে চকচকে ও উজ্জ্বল লাগবে।
অনেক সময় দেখবেন খেজুরের গায়ে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো হয়ে থাকে যেমন তাতে চিনি বা দানাদার কিছু। এমন খেজুর খেয়ে দেখবেন যদি খেজুরটি অতিরিক্ত মিষ্টি হয় তাহলে বুঝে নেবেন সেটি কৃত্রিমভাবে মিষ্টি করানো হয়েছে। সাধারণত যে খেজুর প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি হবে সেটি আসল খেজুর বুঝে নিতে হবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খেজুর উৎপন্ন হয়ে থাকে। তাই সব খেজুরের মান একই রকম হয় না। আপনি খেজুর কেনার আগে অবশ্যই খেজুরের মান দেখে কিনবেন যাতে করে আপনি যেন বুঝতে পারেন কোন খেজুর কোন দেশের।
ভালো খেজুর চেনার জন্য সহজে একটি উপায় হচ্ছে, খেজুরের গায়ে কোন পিঁপড়া বা মাঠে লাগবে না। কারণ আপনি যখন দেখবেন যদি কোন খেজুরের গায়ে পিপড়া বা মাটি লাগে, তাহলে বুঝে নিবেন এটি কৃত্রিমভাবে মিষ্টি মেশানো হয়েছে। দোকানে খেজুর কিনতে গিয়ে প্রথমে আপনি খেজুরের দিকে লক্ষ্য
করবেন তাতে মাছি কিংবা পিপড়া লেগেছে কিনা। তাহলে আপনি বুঝে নিবেন খেজুর ভালো না খারাপ।
যখন আপনি দোকানে খেজুর কিনতে যাবেন,তখন একটি খেজুর মুখে দিয়ে দেখবেন।খেজুরের একপাশে মিষ্টি এবং অন্যপাশে মিষ্টি না এটা পরীক্ষা করলে আপনি বুঝতে পারবেন খেজুর ভালো না।এ থেকে আপনি বুঝে নিবেন খেজুরে কৃত্রিম কিছু মেশানো আছে।
আপনি যখন খেজুর কিনতে যাবেন তখন আপনার যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনি প্যাকেটজাত করা খেজুর কিনবেন। কারণ প্যাকেট জাত করা খেজুরের গায়ে মেয়াদ লেখা থাকে। এবং খোলা খেজুর কিনলে পচা গন্ধ, পোকা ধরা,বেশি কালকে বা শুকিয়ে যাওয়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
খেজুর কিভাবে সংরক্ষণ করবেন
খেজুর বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করা যায়। প্রথমে খেজুরগুলোকে আপনি ঠান্ডা এবং শুষ্ক জায়গায় রাখবেন এতে করে আপনার খেজুর ভালো থাকবে। ফ্রিজেও সংরক্ষণ করা যায় অনেকদিন রাখার জন্য আপনি আপনার খেজুর কে ফ্রিজে রাখতে পারেন। প্লাস্টিকের ব্যাগে মোরে ফ্রিজে রাখার আগে নিশ্চিত করুন যে ব্যাগের ভিতরে বাতাস আছে কিনা।
খেজুর খাওয়ার কমপক্ষে তিন ঘন্টা আগে ফ্রিজ থেকে খেজুর বের করে নিবেন। এবং গরম পানিতে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নেবেন তারপর আগের মত ঠান্ডা করে খাবেন। এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি আপনার খেজুর সুন্দর ও সুস্বাদু খেতে পারবেন।
খেজুরের উপকারিতা কি
ফলের মধ্যে খেজুরের উপকারিতা অপরিসীম।পৃথিবীতে মুসলমান ছাড়াও খেজুর অন্যান্য ধর্মাবলীর মানুষেরাও খেজুর খেয়ে থাকে।তবে মুসলমানরাই বেশি খেজুর খেয়ে থাকে। খেজুর বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যাই, সালাদের সাথেও মানুষ খেয়ে থাকে।
পায়েসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। শিশুদের বিভিন্ন খবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় যাদি ভাবে খেজুর ব্যবহার করা যায়। এছারাও এটি খেলে মানুষের বিভিন অসুখ বিসুখ ভালো হয় কারণ এতে ফাইবার, আয়রন, ম্যগ্নেসিয়াম, ও নানান রকমের ভিটামিন রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক খেজুরের উপকারিতা কি?
স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়- খেজুরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকায় মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনায় গতিবিধি করে এবং সেই সাথে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। খেজুর খেলে ছোট বাচ্চাদের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা লেখাপড়ায় ভালো হয়। তাই বয়স বাড়ার আগে থেকেই খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার উপায় কি
কর্মশক্তি বাড়ায়- খেজুর খেলে দ্রুত শক্তি বাড়ে কারণ খেজুরের প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। আপনার বয়স বারার সাথে সাথে আপনার শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয় তাই প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি করে খেজুর খান। এতে করে আপনার শরীরের ক্লান্তি দুর্বলতা দূর করবে। এবং আপনি প্রতিটি কাজে শক্তি পাবেন।
দৃষ্টিশক্তি প্রখর- খেজুরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকায় আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ভিটামিন বি১,বি ২,বি ৩ এবং বি৫। এছাড়াও ভিটামিন এ১ এবং সিসহ বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার হাইট। খেজুরে রয়েছে। তাই এটি মানুষের দৃষ্টি শক্তি প্রখর করে।
এবং যাদের রাতকানা রোগ আছে তাদের এই রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেজন্য আপনার দৃষ্টিশক্তি যেন কমে না যায় এখন থেকেই খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মজবুত পেশি- খেজুর অনেক সুস্বাদু এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। অনেকের আছে যাদের পেশী মজবুত হয় না। এদের পশী মজবুত হওয়ার জন্য খেজুর খাওয়ার প্রয়োজন। আপনার পেশীর আরো জটিলতা যেন না বাড়ে সেজন্য খেজুর খান। কারণ খেজুর আমাদের পেশী ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ ও স্ট্রোকরোগের ঝুকিহ্রাস- প্রত্যেক মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে হৃদরোগ ও স্ট্রোক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সেজন্য খেজুর খেলে এ সমস্ত রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমে যেতে পারে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি
কমিয়ে দেয়। খেজুর মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোলেস্টেরল কমায়। এল.ডি.এল এবং ভালো কোলেস্টেরলের এইচ ডি এল এর পরিমান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিনের সামঞ্জস্যতা বজায়- যাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা কম তাদের খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। এবং এটি শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই খেজুর খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা সঠিক থাকবে এবং মানুষের শরীরে রক্তের কোষ উৎপন্ন করতে সাহায্য করবে।
পরিপাকে সাহায্য- মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে হজম শক্তিও কমে যায়। খেজুর এমন একটি ফল এবং এর উপকারে এত ভালো যে এটি খেলে বিভিন্ন রোগের সাথে সাথে হজম শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। কারণ খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যেটি অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
ছাড়াও খেজুর খেলে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করবে। যেসব মানুষ কষ্ট কাঠিন্যে ভোগেন খেজুর খাওয়াতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে- খেজুর খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ এই খেজুরের প্রাকৃতিক চিনি অন্যান্য চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে থাকে। এবং মানুষের শরীরের আয়রন ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়- মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখে বয়সে ছাপ পড়ে যায়। আপনার মুখে বয়সে ছাপ দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন। আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে আপনার ত্বক শুষ্কতা হবে না এবং ত্বককে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিবে।
খেজুর এমন একটি পুষ্টিকর খাদ্য যেটি খেলে আপনার ত্বকের ফ্যাকাসে ভাব ও হরমোনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা করবে।
এছারাও খেজুরের আরও কিছু উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হোল
- খেজুর খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে।
- খেজুর খেলে হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে তলে।
- শরীরের পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম সমতা রক্ষা করে
- খাবারে অরুচি দূর করে দেয়।
- খেজুরের পুষ্টি উপাদান গুল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- খেজুর খেলে শরীরের ওজন কমায়
খেজুরের অপকারিতা কি
খেজুরের এতই পুস্তিগুন ও ভিটামিন আছে যার কারনে এর উপকারিতা নেই বললেই চলে। তবুও কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি বেশি খাওয়া ক্ষতিকর। যেমন যাদের ডায়বেটিস আছে তারা যদি খুব বেশি খেয়ে ফেলে তাদের জন্য ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনা খুব কষ্টকর হবে। এছারাও যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমান খুব বেশি তাদের জন্য খেজুর খাওয়া ক্ষতিকর।
এছারাও অতিরিক্ত খেজুর খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাবে। কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে রয়েছে প্রায় ২৭৭ ক্যালরি। অরিরিক্ত মিষ্টি খেজুর হয়ার কারণে ওজন বাড়বে না কোন সন্দেহ নেই। তাই সঠিক পরিমানে খেজুর খান আপনার শরীর সুস্থ্য ও ভালো রাখুন।
লেখকের মন্তব্য
বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও ভিটামিনের ভরপুর প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার খেজুর। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকারে আসে। খেজুর কত প্রকার কি কি ভালো খেজুর চেনার উপায় কি? এ বিষয়গুলো আমরা জেনেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সহ বর্তমানে বাংলাদেশেও খেজুর পাওয়া যায়। যে সকল খেজুরে সাধারণত মাছি এবং মৌমাছি পড়ে সে সকল খেজুরে কৃত্তিম মিষ্টি দেওয়া হয়।
যেটি ভালো খেজুর সেখানে কোন কৃত্রিম মিষ্টি দেওয়া হয় না কারণ এটি আল্লাহ প্রদত্তই প্রাকৃতিক মিষ্টি। এবং এই খেজুরে অনেক উপাদান রয়েছে। এই খেজুর খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। প্রিয় পাঠক আমার দেয়া তথ্যগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url