OrdinaryITPostAd

হতাশা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করবেন

হতাশা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করবেন? আজ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।মানুষ হয়ে জন্মেছি যখন, কিছু না কিছু করে তো খাওয়া লাগবে, সাথে কষ্ট , হতাশা ,বিভিন্ন রকমের দুঃখ দূরদশা তো থাকবেই, বোনাস হয়ে এতে দুঃখ দুর্দশা অভাব অনটন এসব তো থাকবেই।হতাশা থেকে কিভাবে সুন্দর করে পার করবেন?
হতাশা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করবেন


কেও সাহায্য করবে বা করতে পারে, আবার কেউ এই হতাশার কারণ ও হতে পারে। তার জন্য নিজের মন কেউ শক্ত কতে নিতে হবে কে কি বল্ল তাতে কার কি আসে যায়, এই ভেবে ইগ্নর করতে শিখতে হবে। মানুষ সবাই একেই রকম নয় আবার খুব কাছের মানুষ ও হতাশার কারণ বেশি হয়। এটা মাথাই রেখে জীবনে চলতে হবে।

হতাশা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করবেন

আমাদের চারপাশে অনেক রকম মানুষ তার অনেক রকম ব্যবহার এক এক জনের চাহিদা চিন্তা এক এক রকমের তারা তাদের ভাবনা চিন্তা এক একেক রকমের সবাইকে আলাদা ভাবে ট্রিট করতে শিখতে হবে না হলে বিপদে পরাটাই স্বাভাবিক হবে। কেউ আপনার সাথে মিশবে কেউ আপনাকে ব্যবহার

করবে, কেউ বা তালে থাকবে আপনাকে কি করে আপনার ফাইদা লুটা যায় এ জন্য । আর মুলত এখান থেকেই আপনার হতাশার সৃষ্টি। প্রত্যেক মানুষের জীবনে হতাশ সময় আসে। এই সময়টি পার করার জন্য নিম্নলিখিত উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।স্বীকার করুনঃ প্রথমে আপনাকে স্বীকার করতে হবে

যে আপনি হতাশ। এটি স্বাভাবিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অংশ।সময় দিনঃ হতাশ সময় পার করার জন্য সময় দরকার। এটি স্বাভাবিক যে আপনি একটি রাতে উজ্জ্বল অবস্থায় ফিরে আসবেন না।সহায়তা চাইয়া দেখুনঃ যদি আপনি খুব হতাশ অনুভব করেন, তবে একজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে

যোগাযোগ করা উচিত।পজিটিভ মাইন্ডসেট বজায় রাখুনঃ হতাশ সময় পার করার জন্য পজিটিভ মাইন্ডসেট বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেবে এবং আপনার মনোবল বাড়াবে।স্বাস্থ্যকর জীবনধারণ অনুসরণ করুনঃ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং যথেষ্ট ঘুম
নেওয়া আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।সম্পর্ক বজায় রাখুনঃ বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন। তাদের সাথে কথা বলা এবং সমস্যা শেয়ার করা আপনাকে ভালো অনুভব করাতে পারে।হতাশ সময় পার করার জন্য এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার

জীবনকে আরও সুন্দর করতে পারেন। মনে রাখবেন, হতাশ সময় শেষ হবে এবং আপনি আবার উজ্জ্বল দিনগুলো উপভোগ করতে পারবেন। পরিবর্তন আমাদের জীবনে একটি অপরিহার্য জিনিস এটি আমরা কেউ ধরে রাখতে পারি না সময় এবং স্রোত কেউ ধরে রাখতে পারে না সাত তারা তাদের নিজেদের প্রক্রিয়াকরমে চলতে থাকে।

আমাদেরকে তাদের মধ্যে চলতে হয় এবং তাদের সাথে মানিয়ে নিতে হয়, ঠিক জীবনে এইভাবে আমাদের কেউ আমাদের জীবনে সময় অসময় চড়াই উৎরায় দুঃখ কষ্ট সবকিছু মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয় এবং এইসব মেনে নিয়ে সামনে সুদৃঢ়ভাবে সাহসের সাথে ও সঠিকভাবে বিবেচনা করে পরিবর্তন করে নিজেদের ভুল শুধরে নিয়ে সামনে যারা সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারে তারাই ভবিষ্যতে সফলকাম হতে পারে।

এখানে আমাদের বুঝতে হবে যারা সফলকাম তারা তাদের জীবনে দুঃখ কষ্ট শত্রু মিত্র ভালবাসার মানুষ সবাইকে মানিয়ে নিয়ে সুন্দর ভাবে ভুল ত্রুটি হতেও পারে, নাও পারে, এসব কিছু তারা নিয়ে সময়কে কিভাবে সুন্দর ভাবে উদযাপন করতে হয় এবং কিভাবে কাজে লাগাতে হয় তা তারা খুব ভালো করে জানে এবং সময়কে সেভাবে কাজে লাগিয়ে সফলকাম হতে পারে।

যদিও আমরা যে কোন বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে সেগুলি আমাদের প্রতিক্রিয়া, সম্মুখীনতা এবং সম্প্রসারণের উপর প্রভাব ফেলে। এই বিষয়গুলির উপর ফোকাস করে আমরা আমাদের স্ব-সচেতনতা এবং সম্প্রসারণ বাড়াতে পারি। এটি আমাদের সহ্যতা করে সম্পূর্ণ জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার জন্য যা আমাদের সক্ষম করে।

মানুষের মনের ভিতরের অনুভূতি এবং সন্তোষ বিভিন্ন হতে পারে এবং সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করা সম্ভব হতে পারে না। প্রত্যেকের নিজের সন্তোষ এবং সুখের উৎস আছে এবং তা অন্যের সাথে তুলনা করাতে যাওয়া উচিত নয়। সুতরাং, আমাদের চেষ্টা করা উচিত যে আমরা স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করি এবং অন্যদের সম্মান করি, তবে সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করা উচিত নয়।

এটি সত্যি যে অনেকেই তাদের জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হতে পারে এবং তাদের জীবনের গণনা করার ঝুঁকি নিয়ে ভয় পায়। এই ভয় এবং শঙ্কা সাধারণত অজানা এবং অনিশ্চিততার ফলে হয়। তবে, এই ঝুঁকি নিতে এবং সাহস দেখানো অনেক সময় নতুন সম্ভাবনা এবং উন্নতির পথ খুলে দেয়। তাই, সাহস দেখানো এবং পজিটিভ মানসিকতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

জীবনে উন্নতি করার জন্য অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অতীত আমাদের শিক্ষাগুরু, কিন্তু আমরা তাতে বাস করি না, বরং সেটি থেকে শিখি এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাই।

সফল মানুষের একটি বৈশিষ্ট্য হলো তাঁরা অন্য মানুষের সাফল্যের প্রতি ঈর্ষা বোধ করে না। তাঁরা বরং অন্যের সাফল্য দেখে প্রেরণা পান এবং নিজের উন্নতির জন্য আরও শক্তিশালী হন। এই ধরনের
পজিটিভ মানসিকতা তাদের সহজে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, তাঁরা একই ভুল বারবার করে না। তাঁরা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেয় এবং তা তাদের সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই ধরনের পজিটিভ মানসিকতা তাদের সহজে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

সফল মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো তাঁরা প্রথম ব্যর্থতার পর হাল ছেড়ে দেয় না। তাঁরা বরং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয় এবং তা তাদের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই ধরনের পজিটিভ মানসিকতা তাদের সহজে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

যারা জীবনে উন্নতি করতে শিখেছেন, তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এবং একা থাকলেও তাঁরা একঘেয়ে লাগে না। তাঁরা নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজের পথ চলে যান। এই স্বাধীনতা এবং আত্মনির্ভরতা তাদের সফলতার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

সফলতা অর্জনের পথে ভুল হওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। সফল ব্যক্তিরা তাদের ভুল থেকে শিখে এবং তাদের ভুলগুলি তাদের সফলতার পথে নির্দেশনা দেয়। এটি একটি মানসিকতা যা সফলতার পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করে। কারণ তারা জানে তাদের দ্বারাও ভুল শিদ্ধাত্ন হতে পারে কারণ মানুষ মাত্রয় ভুল। তাই তারা ভেবে চিন্তে সিধান্ত্য নিতে ও অন্যের সাথে মন্তব্য নিতে সাহায্য নেয়।

দুনিয়াতে আপনি একা চলতে পারবেন না ঠিক তেমনি সবাইকে খুশিও করে চলতে পারবেন না। তার পর দেখুন এ বিষয়ে আপনার পরিচিত কেউ ভাল অ্যাডভাইস দিতে পারে কিনা, যদি থেকে থাকে তাহলে ভালো না হলে বিশেষজ্ঞর কাছে পরামর্শ নিন ।

আমরা অনেকেই হতাসাই নিজেদের আড়াল করে নেই এটা একেবারেই মারাকত রকমের ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা এ থেকে পরিত্রাণ পাবোই না আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এ জন্য আমাদের কাছের বিশ্বস্ত মানুষ দরকার হয়। তারা যেন অন্তত আমাদের শাসতের খেয়াল রাখতে পারে।
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখুন আপনার কাজের ধক্ষতা আপনাকে আপনার কাজে সহায়তা করবে।
হতাশা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করবেন


আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে আপনার সঠিক গন্ততবে পৌছাতে সাহায্য করবে।হতাশায় অনেকে ভেঙে পরে গিয়ে স্ট্রেস হারিয়ে ফেলে তা হতে আপনার সাথে দিয়েন না। আর হতাশার কথা সবার সাথে শেয়ার করবেন না। নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন কি করলে আপনার ভিতরের মানুষ ভালো থাকবে?

কোথাও ঘুরতে যান, চিল করুন, খেলাধুলা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ধর্মীও উপাসনালয়ে যান,আত্মীয় স্বজনের বাসায় যান, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করুন, দেখুন ভালো লাগবে, টাকা থাকলে সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন দেখুন ভালো লাগবে।এক ঘেয়েমি কাজ করবেন না ,কাজে মন না বসলে জোর করে করতে যাবেন না। আপনি কাজের মধ্যে ও প্রফুল্ল্য রাখার চেষ্টা করুন।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্ট 


মনে রাখবেন আপনার ভালটা আপনাকে বুঝতে হবে কেও আপনার ভালোটা বুঝবে না । আপনার খেয়াল আপনাকে রাখতে হবে আপনার খেয়াল সবসময় কেউ রাখবেনা। দুনিয়াতে আপনি একা চলতে পারবেন না ঠিক তেমনি সবাইকে খুশিও করে চলতে পারবেন না।ভালো করে মনে রাখবেন আপনার 

চিন্তা আপনার খেয়াল খুশি কেউ পুরন করবে না। সবাই আপনার কাছে তার প্রয়োজন মেটাবে ,আপনার মনের শান্তি ,আপনার শরির স্বাস্থ্য খেয়াল আপনাকে রাখতে হবে। আর আপনার শরীরে কোন অসুখ হলে অসুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু মনে আসুখ ধরলে তার কোন ওষুধ আজ এখন পর্যন্ত বেরয়নি কালকের পর থেকে বলা যায় না।

হতাশায় স্বাস্থ্য ঝুকি বাড়ে এতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়,বেশীর ভাগই মানুষ জন জানে না। হতাশা থেকে আমাদের অতিরিক্ত দীর্ঘ মেয়াদী যে সকল আসুক বিসুখ হয় তা এই বিষণ্ণতা বা হতাশা এইখান থেকে আসে। আমদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ গুলো একবারে বা কয়েক ঘণ্টা একবারে না করে কিছু কিছু সময় আলাদা আলাদা ভাবে করা উচিত।

মাঝে মাঝে কাজের রুটিন চেঞ্জ করেন,এতে আমদের অনেক কাজে মন বসবে ও আরও সুন্দর করে করতে পারেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা তাদের কাজের রুটিন মাঝে মাঝে চেঞ্জ করে তারা সুন্দর করে কাজ করতে পারে। এবং তারা তাদের কাজের ধরন ও মানও অনেক সুন্দর করে তারা তাদের

কাজের পরিসরও বাড়াতে পারে ও অনেক সুন্দর এবং অল্প সময়ের মধ্যে করতে পারে। তাদের কাজের মধেও অনেক আনন্দ পায়, তারা তাদের রুটিন অনুযায়ী কাজের সময় মত কাজ শেষ করতে পারেন।
এক ঘেয়েমি কাটানোর জন্য আপনি কাজ ছেড়ে দিন, ছুটি নিন বা কাজ কিছুদিনের জন্য অবহতি দিন।

দূরে কোথাও চলে যান মন যে দিকে চায় সে দিকে চলে যান ,দূরে কোথাও ঘুরে আসুন পিকনিক করুন বিভিন্ন বই পড়ুন ,সিনেমা দেখুন, আপনার নিজের ধর্মীও কাজে বাস্ত্য থাকুন। হাসিখুশি থাকুন দেখুন হতাশা আপনার ধারের কাছেও আসবে না।

লেখকের মন্তব্য

হতাশা থেকে কিভাবে নিজেকে বের করবেন।এ দুনিয়াতে আপনি একা চলতে পারবেন না ঠিক তেমনি সবাইকে খুশিও করে চলতে পারবেন না। হতাশ সময় পার করার জন্য এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার জীবনকে আরও সুন্দর করতে পারেন।সফলতা অর্জনের পথে ভুল হওয়া একটি

স্বাভাবিক বিষয়। সফল ব্যক্তিরা তাদের ভুল থেকে শিখে এবং তাদের ভুলগুলি তাদের সফলতার পথে নির্দেশনা দেয়। মনে রাখবেন আপনার ভালটা আপনাকে বুঝতে হবে কেও আপনার ভালোটা বুঝবে না।  এই ধরনের পজিটিভ মানসিকতা তাদের সহজে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url