OrdinaryITPostAd

পাট কি ও পাট শাকের উপকারিতা কি

পাট এক ধরনের তৃণ্য জাতীয় উদ্ভিদ যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য। পাট সাধারণত বর্ষাকালে হয়ে থাকে এবং এর সময়কাল ১০০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি বাতাসের আদ্রতা ধরে রাখতে পারে ৬০% থেকে ৯০% পর্যন্ত।পাট কি ও পাট শাকের উপকারিতা কি? বিষয়টি আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
পাট কি ও পাট শাকের উপকারিতা কি


আমরা হয়তো জানি না এই পার্ট আমাদের মৌল মানবিক চাহিদা দুটোই মিটিয়ে থাকে। পাট বিক্রি করে আমাদের অর্থ উপার্জন করা হয় এবং এ পাট গাছের পাতা যেটাকে আমরা শাঁক বলে থাকি সেটা খেলে  আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।

পাট কি ও পাট শাকের উপকারিতা কি

পাট কি ও পাট শাকের উপকারিতা কি এই কথা বলেও শেষ করা যাবে না। কারণ পাট আমাদের মানব জীবনে আশীর্বাদস্বরূপ বলা যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী পাটকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ১লা মার্চ ২০২৩ প্রজ্ঞাপনের গেজেট প্রকাশ

করেছে বাংলাদেশ সরকার। ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস। বাংলাদেশে বর্তমানে পৃথিবীর মাত্র ২৪ শতাংশ পাঠ জন্মে থাকে। পাটের সাথে সাথে পাট গাছের পাতা আমরা শাক হিসেবে ব্যবহার করি এবং শাঁক আমদের জন্য খুবই উপাকারি। যেকোনো সবুজ রঙের শাকে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ তারপরও পাটশাকে

পুষ্টিগুণে ব্যতিক্রম নয়। যেটা হয়তো আমাদের অনেকেই জানা থাকে না। এবং আমরা অনেকেই পাট-শাঁক পছন্দ করি না। পাট শাকের উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে আপনার পছন্দের তালিকায় পাটশাঁক রাখুন।

পাট এর পরিচয় কি

পার্ট একটি বর্ষাকালিন ফসল এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে(corchorus spp) লম্বাই পাঁচ থেকে দশ হাত পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং আধ থেকে এক ইঞ্চি পরিমাণ মোটা হয় পান গাছ সাধারণত সোজা ও লম্বা হয়। বাংলাদেশের দুই ধরনের পাট পাওয়া যায় সাদা পাট ও তোষা আট পাট। এটি Tiliaceae পরিবারের

অন্তর্গত একটি উদ্ভিত। সাধারণত সংস্কৃতি শব্দ পট্ট থেকে পাঁট শব্দের উদ্ভব হয়েছে।পাটকে এক সময় বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলা হতো কারণ এই পার্ট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কারণে পাঁট বাংলাদেশে এত বেশি অবদান ছিল যার কারণে পাঁট

বাংলাদেশে সোনার মত ছিল। এদিকে পাঁটের আঁশের রং সোনালি তাই পাঁটকে বাংলাদেসের সোনালি আঁশ বলা হত। তবে বর্তমানে সেই দিন আর নেই কারণ পাঁটশিল্পের অবস্থা তেমন ভালো নেই। বাংলাদেশের চটকল গুলি প্রায় রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এই শিল্পকে

বাচিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছে যেন বিভিন্ন ধরনের প্যাকিঙের কাজে চটের বস্তার ব্যবহার বাড়ানো যায়।

পাট শাকের পুষ্টিগুণ কি

পাট শাক হচ্ছে পুষ্টিগুণের সমাহার।পাঠ শাকের পুষ্টিগুণ কি শেষ সম্পর্কে জানলে আপনার আপনাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন পাট শাক রাখবেন। চলুন তাহলে পাট শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। পাটশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম

প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ফলিক এসিড অ্যালকালয়েড ইত্যাদি এতগুলো পুষ্টিগুণের সমাহার এই পাঠশাকের ভেতরে যা আমাদের অনেকেরই অজানা। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি ও তথ্যবিদ আখতারুণ নাহারের তথ্য অনুযায়ী, পাট শাক তুলনামূলক সস্তা ও সহজলভ্য। যেটি আমাদের

শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। । ১০০ গ্রাম পাট শাকে ক্যালরি থাকে ৭৩। এটা আমিষ থাকে ৩.৬গ্রাম, ক্যালসিয়াম-২৮৯ কিলোগ্রাম, এবং লোহা ১১ কিলোগ্রাম ও ক্যারোটিন ৬৪০০ আইইউ ।৪৫ কিলো ক্যালরি, ০.৪ গ্রাম চর্বি, সোডিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৯৮ মিলিগ্রাম, মোট

কার্বোহাইড্রেট নয় গ্রাম, ডাইকারি ফাইবার ২.৪ গ্রাম, চিনি ১ গ্রাম, প্রোটিন ৩.৪ গ্রাম, ভিটামিন এ ৭৫৪৪ আইইউ, ভিটামিন সি মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম 172 মিলিগ্রাম ও আইরন ৫.৫ মিলিগ্রাম।পাটশাকে এতটাই পুষ্টিগুণ রয়েছে যেটি খেলে আমাদের শরীরে রুচি বাড়ায় হাড় মজবুত করে এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।

পাট শাকের উপকারিতা কি

পাঁট শাঁকের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে।পাট গাছের কচি পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। এবং এই শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। পাট শাক রান্নার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যেমন স্যুপ,স্টূ ঘন সস করার ক্ষেত্রে পাঁট শাঁক ব্যবহার করা হয়। পাট শাকের ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগে এবং গরম

ভাতের সঙ্গে একটু ঘি নিয়ে পাট শাক ও পোড়া মরিচ এর স্বাদ যেন আরো বাড়িয়ে দেয়। পাট শাকের শাদের কথা জানলে হবে না সেসাথে জানতে হবে পাট শাকের উপকারিতা সম্পর্কে চলুন তাহলে পাট শাকের উপকারিতা কি তা জানা যাক।

শরীরের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে- পাঠ শাকে রয়েছে প্রচুর ওমেগা ৩৬০ যা পাট শাক খেলে শরীরের সৃষ্টি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। পাঠশাকে রয়েছে লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি আমাদের পোস্টগুলোকে রক্ষা করে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে।

হার সুগঠিত করে- আপনাদের অনেকেরই হারের সমস্যা থাকতে পারে এক্ষেত্রে আপনি পাট শাক খেতে পারে। পাঠ শাক খেলে আপনার হার সুগঠিত করে তুলবে। ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে হারে ক্ষয় হয় হয় এবং বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্ত উপাদান যেসব খাবারে থাকবে সে

সব খাবার আপনাকে খেতে হবে। তো সে খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে পাট শাক। এই শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যেটি খেলে আপনার হার সুগঠিত করে তুলবে।

উচ্চ রক্তচাপ দূর করে- পাট শাক শরীরের উচ্চ রক্তচাপ দূর করতে সাহায্য করে। রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম যেটি রক্ত সঞ্চালন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া পাটশাকে রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাঠ শাক নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

আয়রনের পরিমাণ বেশি- পাঁচ শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেক এসিড। যেটি রক্তের হিমোগ্লোবিন উৎপাদন তৈরি করতে সাহায্য করে। পাঠাকে থাকা আয়রন দেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং কর্মদক্ষ থাকেও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। পাট শাক খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে রক্ত হয় তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা তার সবথেকে এড়িয়ে চলুন।

হজম শক্তি বাড়ায়- পাট শাক খেলে আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাঠাকে থাকা খাদ্য আশ আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে দারুণভাবে তরম্বিত করে এবং আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া এসব খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত পাট শাক খেতে পারে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ- পাট শাকে অনেক কম কোলেস্টেরল থাকে যার কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি পায়- পাঠাকে যে ভিটামিন সি রয়েছে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি মানুষের প্রতিরোধশিলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে।

ক্যান্সারের প্রতিরোধ- পাঠশাকে রয়েছে অ্য্যান্ট্টিঅক্সিডেন্ট যেটির মেলানোমা প্রোস্টেট ও বৃষ্টি ক্যান্সাসহ কিছু ধরনের ক্যান্সারের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।

বাতের ব্যথা দূর করে- পাট শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকার কারণে বাতের ব্যথা দূর করে। ভিটামিন ই গেটে বাদ আর্থারাইড স এবং প্রধান জনিত অন্যান্য বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে পাট শাক। তাই এ সকল রোগের জন্য পাঠশাল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- পাটশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যেটি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এবং পাট শাকের এই ভিটামিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেটি স্ট্রেস দূষণ এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কিছুটা বদভ্যাসের কারণে কোষের যে

অক্সিডেটিভ ক্ষতি হয়ে থাকে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে পাশ্চাত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এবং এই সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

পাট শাক খাওয়ার উপকারিতা কি

পাট শাক খাওয়ার উপকারিতা কি সে বিষয়ে বলে শেষ করা যাবে না। কারণ বিভিন্নভাবে পাট শাক খাওয়া যায়। শাক ভাজি করে, সুপ করে, কাঁঠালের বিচির সাথে, চিংড়ি মাছের সাথে বিভিন্নভাবে এই শাক রান্না করা যায়। অন্যান্য শাকে তুলনায় পাট শাকের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। পাট শাক খাওয়ার ফলে

আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের শাঁক রয়েছে এর মধ্যে পাট শাকের গুণ অন্যতম। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পাট শাঁক খুবই উপকারী শরীরের হাড় গঠন এবং ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পাঠ শাক খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো।
  • হাড় গঠন ও ক্ষয় পূরণ করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
  • হৃদরোগ কমাতে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা ও পুষ্টিহীনতা কমায়
  • রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে এবং ওষুধে হিসেবেও কাজ করে
  • পাট শাক খেলে মুখে রুচি বাড়িয়ে দেয় এবং মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেয়
  • পাট শাকের ভিটামিন সি ও ক্যারাটে থাকার কারণে মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে
  • পাট শাক খেলে রাতকানা রোগ ভালো হয়
  • কোষ্ঠকাঠিন্যতায় যারা ভুগছেন তারা নিয়মিত পাট্টা খেতে পারেন
  • যাদের বাপের ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য খুব উপকারী এই পাট শাক
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যারা ভুগছেন পাট তারা নিয়মিত পাট শাক খেতে পারেন
  • রক্ত পরিষ্কার করতেও পাট শাক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে
  • পাট সাব দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে।
  • পাটশাকে স্টিমার ও ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় পাট শাকের উপকারিতা কি

গর্ভাবস্থায় পাট শাকের উপকারিতা কি সে বিষয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক। পাটশাকে রয়েছে ফলিক এসিড যেটি গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী। একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের প্রয়োজন হয়। সেজন্য সে বিভিন্ন আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত খেতে পারে। গর্ভাবস্থায় পাট শাকের উপকারিতা আলোচনা করা হলো

পোষণ সম্পন্নতা -গর্ভাবস্থায় প্রত্যেকটি গর্ভবতী মা তারা প্রাকৃতিকভাবে পোষণ প্রয়োজন রাখে। পাট শাকের রয়েছে প্রোটিনফোলিট ভিটামিন এ সি, । মিনারেলস আইরন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ইত্যাদি এগুলো শিশুর জন্য খুব উপকারী। এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

ফলেট সম্পন্নতা- গর্ভাবস্থায় ফলেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেটি নিউরো টিউব ডিফেক্ট নিউরোলজিক্যাল সমস্যা দূর করে দেয় এবং শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে পূরণ করে। পাঠশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট তাই গর্ভাবস্থায় এর মাত্রা পূরণ করতে সাহায্য করে।

অন্তস্থলীর প্রতিরোধ- গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা সামান্য কমজুরি হয়ে যাওয়ার কারণে তার সাধারণ প্রতিরোধশীলতা কমে যায়। তাই পাট শাক খেলে এ সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভিটামিন সি ও এন টি অক্সিডেন্ট যেটি মা এবং শিশুর অন্তস্থলীর প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য

করবে। গর্ভাবস্থায় পাট শাক খাওয়ার কার্যকার ভূমিকা রাখে। তবে এই শাঁক খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি গর্ভবতী মায়ের জন্য নিরাপদ কিনা।

পাট শাকের অপকারিতা কি

পাঠ শাক খাওয়ার যেমন বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও আছে। পাট শাক যদিও একটি স্বাস্থ্যকর সবজি কিন্তু এর মধ্যে অপকারিতা রয়েছে।তবে কিছু মানুষিক ও শারীরিক অবস্থা নিম্নলিখিত অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। পাট শাক খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে যে

সমস্ত মানুষের এলার্জি সমস্যা আছে তারা পাশা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পাট শাক খেলে ত্বক চুলকানো ত্বক গলানো চোখ চুলকানো এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যে সমস্ত মানুষদের প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা পাট শাক থেকে দূরে থাকুন। পাটশাকে অনেক ক্যালসিয়াম

থাকে কিন্তু সামগ্রিকভাবে একটি ক্যালসিয়াম সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। যার ফলে পাঠশাকে যুক্তিযুক্ত পানির অভাব রয়েছে। পাট শাক খাওয়ার পরে কিছু মানুষের পানিতে যুক্তিযুক্ত পানির অভাব হতে পারে। কারণ এটি প্রতিষ্ঠিত অবস্থা সমস্যাগুলির উৎপাদনের কারণ হতে পারে। এই সাধারণ

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা:

অপকারিতা পাঠ সাথে রয়েছে ক্যালসিয়ামের অভাব হতে পারে। যদিও পাট শাক খেলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না তবুও কিছু কিছু মানুষ এই সমস্যা গুলির সম্মুখীন হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

পাঁট কি পাট শাকের উপকারিতা কি? আর্টিকেলটি পড়ে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন।পাট সাধারণত বর্ষাকালে হয়ে থাকে এবং এর সময়কাল ১০০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।পার্ট একটি বর্ষাকালিন ফসল এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে(corchorus spp) লম্বাই পাঁচ

থেকে দশ হাত পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং আধ থেকে এক ইঞ্চি পরিমাণ মোটা হয় পান গাছ সাধারণত সোজা ও লম্বা হয়।পাঁট শাঁকের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে।পাট গাছের কচি পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়।পাট শাক খাওয়া যায়। শাক ভাজি করে, সুপ করে, কাঁঠালের বিচির সাথে, চিংড়ি মাছের সাথে

বিভিন্নভাবে এই শাক রান্না করা যায়। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পাট শাঁক খুবই উপকারী শরীরের হাড় গঠন এবং ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে।পাঠ শাক খাওয়ার যেমন বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও আছে।পাট শাক খেলে ত্বক চুলকানো ত্বক গলানো চোখ চুলকানো এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।প্রিয় পাঠক আর্টিকেল আপনাদের ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করবেন।





 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url