OrdinaryITPostAd

ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি ও কীটনাশক ব্যবহার

ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা কিভাবে দমন করবেন সেই নিয়ে ভাবছেন? আপনাদের ভাবনা দূর করার জন্য আজকের আলোচনায় রয়েছে ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি ও কীটনাশক ব্যবহার। বিষয়টি জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি  ও কীটনাশক ব্যবহার


আজকের বিষয়ে রয়েছে কিভাবে ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমন করা যায়। পোকা দমনের কীটনাশক ব্যবহার, ধানের কোন বালাই গুল ইত্যাদি। চলুন দেরি না করে বিষয়টি আলোচনা করা যাক।

ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি ও কীটনাশক ব্যবহার

ধানের মাজরা পোকা - হলুদ,কালো মাথা ও গোলাপি মাজরা পোকা ক্রীড়া ধানের জন্য ক্ষতিকর, ক্রীড়া ক্রান্তের ভেতর থেকে মাঝ পাতা ও শ্রীসের গোঁড়া কেটে ফেলে ।এর ফলে ধান গাছ কুশি অবস্থায় মরা ডিক ও ফুল আসার আগে ও আসার পর শিষ দেখা যায়। ধান আমাদের প্রধান অর্থকারি ফসল।

আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।ধান থেকে চাল হয়, এবং চাল থেকে ভাত হয়, আর ভাত হচ্ছে বাঙালীর প্রধান খাদ্য। সেই জন্যই বাঙ্গালীরা অধিকাংশ ফসলের ধান হিসেবে বেছে নিয়েছে। ধান চাষ করতে গিয়ে আমাদের চাষিরা অনেক কষ্ট সাধনের পরেও

তিন বেলা খাবারে জন্য ও নিজের পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবারের জন্য তারা ধান উৎপাদন করে থাকে। ভাত ছাড়া বাঙ্গালীর এক দিন চলে না তাই প্রধান অর্থকারি ফসল হিসাবে ধানই প্রধান, এটা তেমন বলার কিছু নেই, এমন একটা পরিবার পাওয়া যাবে না যে পরিবারে ভাত রান্না হয় না। তাই প্রতিটা

কৃষকের বা কৃষকের পরিবারে ধান উৎপাদন করে না, এমনটি জুরি মেলা ভার। কিন্তু ধান উৎপাদন করতে গিয়ে প্রতিটা কৃষকের ধানের পোকার সাথে সমস্যায় পরতে হয়।চাষিরা বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকার কারণে নানা সমস্যাই পরে থাকে।আপনারা অনেকেই হয়তো জানেনা মাজরা পোকার লার্ভা ধান গাছের

ডাল এর ভেতরে ঢুঁকে গিয়ে কিভাবে ধান গাছের ডাল গুলকে কুরে কুরে খায়। এই মাজরা পোকা গুল এইভাবে সাধারণত ১৩ থেকে ২৬ আপনার কষ্টের ফলন কমিয়ে দিতে পারে। যদি অনেক বেশি এই পোকা আক্রমণ করে তাহলে আপনার ফসল শেষ বলাই চলে কারণ এটি আপনার ৩০ থেকে ৭০ ভাগ

আপনার ফলনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেই জন্য আপনার ফসল যাতে করে ভালো ভাবে ফলে তাই আপনাকে মাজরা পোকার দমন পদ্ধতি ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে।

ধান কি ও কত প্রকার

ধানের বিজ্ঞান সন্মত নাম হচ্ছে (ওরিজা সাতিভা) এটি একটি পোয়াসি গোত্রের দানা শস্যর জাতীয় উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। ধান পূর্ব এশিয়ায় উষ্ণ জলবায়ু মোসুমে ব্যাপক হাড়ে চাষ হয়। ধান বা ধান্য শব্দের উৎপত্তি অজানা। প্রাচীন কাল থেকে ধান মানুষের প্রধান খাবার। প্রায় ১০,০০০ বছর আগে চিন ও

জাপান রাজাদের পৃষ্ঠ পোষকতায় ধান চাষ করা শুরু হয়েছিল।ধান প্রধানত তিন প্রকার। আউস, আমন ও বারো। তবে ধানের বিভিন্ন জাত রয়েছে যেমন।নতুন পুরাতন মিলে ছয়টি হাইব্রিড ও ৮৫ টি ইনব্রিড জাত সহ এখন ব্রি উদ্ভাবিত হয়েছে মোট জাতের সংখা ৯১ টি।ব্রি ঘান ৮২ এটি অল্প সময়কালিন ধান।

উগান্ডা থেকে আমদানি করা নেরিকা ১০ থেকে রোপা আউস মওসুমে উপযোগী। ব্রি ধান ৮৫ অল্প জী আই সম্পন্ন জাত।এছারাও ব্রি ৮৩, ব্রি ৮৪, ব্রি ৮৬ জাত রয়েছে।

ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি

ধানের মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হলো। সাধারণত মাজরা পোকার যে লার্ভা থাকে সেটি ধান গাছের কান্ডের ভেতর ঢুকে ধান গাছের কান্ড কে কুরে কুরে খায়। এ পোকার আক্রমণ ধান গাছের অনেক ক্ষতি করে এতে ফলন হয় না। গবেষণায় বলা গেছে এ প্রকার আক্রমণ ১৩ থেকে

২৬ ভাগধানের ফলন অনেক কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত যদি আক্রমণ হয় তাহলে ৩০থেকে ৭০ ভাগ ধানের ফলনে ঘাটতে দেখা দিতে পারে। যদি একবার এই পোকা ধান গাছে আক্রমণ করে তাহলে এর নিস্তার নেই। তিন ধরনের মাজরা পোকা বাংলাদেশের ধান ফলনে অনেক বেশি ক্ষতি করে।

হলুদ, কালো মাথা ও গোলাপি মাজরা পোকা। মাজরা পোকার ক্রীড়া গুলো কানের ভেতরে থেকে খাওয়া শুরু করে এবং ধীরে ধীরে গাছের ডিগ পাতার গোড়া খেয়ে কেটে ফেলে। যার কারণে দিক পাতাগুলো মরে যায়। এটিকে মরা ডিগ বা ডেডহার্ট  হয়ে থাকে। মাজরা পোকার আক্রমণ হলে গাছের কান্ডের

ভিতরে কিরা তার খাওয়ার নিদর্শন ও মল পাওয়া যায়। অথবা কান্ডের বাইরের রং বিবর্ণ হয়ে যায়। ক্রীড়া বের হয়ে যাওয়া ছিদ্র থাকে। হলুদ মাঝরা পোকা পাতার ওপরের অংশের ডিম পাড়ে এবং গোলাপি মাজরা পোকা পাতার খোলের ভেতরে দিকে ডিম পাড়ে। হলুদ মাত্রা পোকার ডিমের গাদার ওপর

হালকা দুষও রঙের একটা আবরণ থাকে। কালো মাথা মাত্রা পোকার ডিমের গাদার ওপর মাছের আঁশের মত একটা সাদা আবরণ থাকে যেটা ডিম ফোটার আগে আস্তে আস্তে গারো রং ধারণ করে। আলোর চারপাশে যদি অনেক মাঝরা পোকার মত দেখতে পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে জমির মধ্যে মথ গুলোর ডিম পাড়া শুরু করেছে। 

  • নিয়মিত খেত পর্যবেক্ষণ করে মাজরা পোকার মথ ও ডিম সংগ্রহ করে নষ্ট করা
  • থোর আসার পূর্ব পর্যন্ত হাতজাল দিয়ে মদ ধরে ধ্বংস করে দেওয়া
  • ক্ষেতের ডালপালা পুঁতে দিলে পাখি বসে মাজরা পোকা খেয়ে ফেলে
  • ধানক্ষেতের পাশে আলোক ফাঁদ বসিয়ে মাজরা পোকার মত ধ্বংস করে দেওয়া
  • চারা লাগানোর পর পরই জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডালপালা ও খুঁটি পুতে দিন যাতে সেখানে পাখি বসে পোকা খেতে পারে।

রাসায়নিক পদ্ধতি

ধানের চারা লাগানোর ১৫ দিন পর ইউরিয়ার সাথে ব্রিকার ৫জি বিঘা প্রতি ১.৩ কেজি ও সালফক্স ৮০ ডব্লিউ ডি জী বিঘা প্রতি ১ কেজি করে দিতে হবে। এসিমিক্স ৫৫ ই সি ১০ মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে পাঁচ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে। এখন প্রতি মাত্রা ২০০ মিলি। ল্যামিক্স ২৪.৭ এস সি ২০মিলি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে পাঁচ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে একই প্রতি মাত্রা ৪০০ মিলি।

ধানের প্রধান বালাই কি

ধানের প্রধান বালাই গুল আলোচনা করা হল। বালাই রোগ হচ্ছে ধান ফলনের অন্যতম প্রধান কারণ। ধানের সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে যে অনেক বেশি ধানের ফলন পাওয়া যাবে তা নয়। আবহাওয়া এবং অন্যদিক গুলোর রোগের অনুকূলে ধান গাছের ক্ষতি করতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মৌসুমী হওয়া

রোগের বিস্তার ও প্রসার লাভ করে বাংলাদেশ ৩১ টি রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ২টি ভাইরাস জনিত ৩টি ব্যাকটেরিয়া ২১টি ছত্রাক জনিত এবং ৫টি কৃমি জনিত রোগ। তবে এর মধ্যে ক্ষতি প্রকৃতি অনুযায়ী ১০টি রোগ প্রধান হিসেবে গণ্য করা হয়।

মাজরা পোকা- এই প্রকার কিরা ধান ক্ষেতে ক্ষতি করে যার ফলের ডিম মরা ও সাদাসিষ দেখা যায়
গলমাছি নলি পোকা-এই পোকা ধানের দিক পাতা পেয়াজ পাতার মতো নলাকার হয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ধান গাছের শীষ হয় না।

পামরি পোকা- এই পোকা ধানের পাতার সবুজ অংশ খেয়ে সাদা হয়ে যায়।

গান্ধী পোকা- পূর্ণবয়স্ক এবং নিস অবস্থায় ক্ষতি করে। এটি ধানের দুধ আসা অবস্থায় ক্ষতি করে বেশি এবং ধানের গায়ে দাগ ও চিটার হয়।

বাদামী গাছ ফড়িং-এই পোকা গাছের গোড়ার দিকে থাকে এবং গাছের রস খেয়ে ক্ষতি করে প্রতিকারের জন্য আক্রমণ হলে জমির পানি সরিয়ে দেয় অতিমাত্রায় ইউরিয়া ব্যবহার পরিহার করা এবং আলোকপাত ব্যবহার করা যায়।

ধানের শীষ কাটার লেদা পোকা- ধানের শীষ আসার পর এই পোকা কিরাশীষ কেটে ক্ষতি করে মেঘলা আবহাওয়া এ প্রকার আক্রমণ বেশি হয় দিনের বেলায় গাছের গোড়ায় লুটিয়ে থাকে রাতের বেলায় আক্রমণ করে।

পাতা মাছি- এই পোকার কিড়া ধান গাছের মাঝখানের পাতা থেকে পুরোপুরি বের হওয়ার আগ থেকে পাতার পাস থেকে খাওয়া শুরু করে এর ফলে ওই গাছের অংশ থেকে পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়। মাঝখানের পাতা যত বড় হতে থাকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটা ততই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

চুঙ্গী পোকা- এই পোকা ধান গাছের কুশি ছাড়ার আগে লম্বালম্বি ভাবে কুরে কুরে খায় সবুজ পাতার অংশগুলি। আক্রান্ত গাছের পাতাগুলো সাদা দেখা যায়।

ব্লাস্ট রোগ- এটি একটি ছত্রাক জনিত রোগ যা ধানের পাতা ওর দিকে ক্ষতি করতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট- ধানের পাতায় হলুদ বা সাদা দাগ সৃষ্টি করতে পারে

শীত ব্লাইট- ঠান্ডা আবহাওয়া ধানের পাতায় সাদা দাগ করতে পারে।

টাংগল টপ- এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যেটি ধানের শীষ বিকৃত করতে পারে।

শিয়াথ ব্লাইট - ধানের পাতা ও শীষে ক্ষতি করে

বিভিন্ন প্রজাতির ধানের পোকামাকড়ের নাম

বিভিন্ন প্রজাতির ধানের পোকামাকড়ের নাম


বিভিন্ন প্রজাতির ধানের পোকামাকড়ের নাম দেওয়া হলো। 
  • মাজরা পোকা
  • নলি মাছি 
  • পামরি পোকা
  • চুঙ্গি পোকা
  • পাতা মোড়ানো পোকা
  • লেদা পোকা
  • ঘাস ফড়িং
  • ঘোড়া পোকা
  • লম্বাশুর উরচুঙ্গা পোকা
  • সবুজ পাতা ফড়িং
  • আকাবাকা পাতা ফড়িং
  • থ্রিপ্স, বাদামি গাছ ফড়িং 
  • সাদা পিঠ ফড়িং
  • ছাতরা পোকা
  • গান্দধি পোকা 
  • কেড়ি পোকা
  • গুদাম জাত শস্যের পোকা ইত্যাদি।

ধানের ক্ষতিকর পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার

ধানের ক্ষতিকর পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার গুল আলোচনা করা হল।পোকার আক্রমণ ধান গাছের পাতা লম্বা লম্বি ভাবে মুড়িয়ে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পাতায় সাদা লম্বা দাগ দেখা যায়। খুব বেশি ক্ষতি করলে পাতাগুলো পুড়ে যাওয়ার মত দেখায়। পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী পোকা

পাতার মতো শিরার কাছে ডিম পাড়ে চিড়া গুলো পাতায় এবং বড় হবার সাথে সাথে তারা পাতা লম্বাবলম্বি ভাবে মুড়িয়ে একটা নলের মতো করে ফেলে। এমত অবস্থায় ধান খেতে যথাযথভাবে কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত। সঠিকভাবে কীটনাশক ব্যবহার করলে ধানের সঠিক ফলন পাওয়া

যাবে। কীটনাশক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম গুলো আলোচনা করা হলো। জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া সার বা এলোপাথাড়ি বালাইনাশক ব্যবহার করা যাবে না। সঠিক দূরত্বে ও সঠিক বয়সের চারা রোপন করা যাবে। চারা লাগানোর পরপরই জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খুঁটি পুতে দিন যাতে সেখানে পাখি বসে পোকা

খেতে পারে মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সারাদিন। এছাড়াও পোকার আক্রমণ বেশি হলে ধানের মাজা পোকা দমনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরূপ।বাইড্রিন ৮৫ তরল, ডাল মেক্রন ১০০ তরল, ডায়াজিনন ৬০০ তরল, ডাইজি নন ১৪ দানাদার, হাসুডিন ৬০০ তরল,এজেড্রিন ৪০ তরল, এলসান ৫০ তরল, গুরা পাদান ১০ দানাদার, ফুরাডন ৩ দানাদার, কিউরেটার ৩ দানাদার, ইত্যাদি।

প্রয়োগের সময়- কীটনাশক সাধারণত পোকামাকড় আক্রমণ শুরু হওয়ার পর বা পাদরভাবে প্রথম লক্ষণ দেখা দিলে প্রয়োগ করা হয়।

সঠিক মাত্রা- কীটনাশকের প্যাকেটে উল্লেখিত নির্দেশিকা অনুসারে সঠিক মাত্রা পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হবে

সঠিক পদ্ধতি- কীটনাশক স্প্রে করার সময় সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার যেমন বাতাসের দিক বিবেচনা করে স্প্রে করা উচিত।

পরিবেশ সুরক্ষা- কীটনাশক প্রয়োগের সময় পরিবেশ অন্যান্য জীবজন্তু সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত। 

নিরাপত্তা বিধি- কীটনাশক প্রয়োগের সময় নিরাপত্তার বিধি মেনে চলা উচিত যেমন গ্লাভস মাস্ক পড়া উচিত।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকাঃ 

লেখকের মন্তব্য

ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি ও কীটনাশক ব্যবহার।ধান আমাদের প্রধান অর্থকারি ফসল। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ধানের বিজ্ঞান সন্মত নাম হচ্ছে (ওরিজা সাতিভা) এটি একটি পোয়াসি গোত্রের দানা শস্যর জাতীয় উদ্ভিদ

হিসেবে পরিচিত। ধান পূর্ব এশিয়ায় উষ্ণ জলবায়ু মোসুমে ব্যাপক হাড়ে চাষ হয়।মাজরা পোকার লার্ভা ধান গাছের ডাল এর ভেতরে ঢুঁকে গিয়ে কিভাবে ধান গাছের ডাল গুলকে কুরে কুরে খায়। এই মাজরা পোকা গুল এইভাবে সাধারণত ১৩ থেকে ২৬ আপনার কষ্টের ফলন কমিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশের

বিভিন্ন মৌসুমী হওয়া রোগের বিস্তার ও প্রসার লাভ করে বাংলাদেশ ৩১ টি রোগ শনাক্ত করা হয়েছে।এমত অবস্থায় ধান খেতে যথাযথভাবে কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত। সঠিকভাবে কীটনাশক ব্যবহার করলে ধানের সঠিক ফলন পাওয়া যাবে। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

 


  

 


                                                       



 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url