গরমে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কিভাবে
সারাদেশে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘরের বাইরে জাওয়াটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরেছে।বাইরের এই অতিরিক্ত তাপমত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শিশুর শরীরের তাপমত্রাও বেড়ে যাচ্ছে।গরমে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কিভাবে? বিসয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
চিকিৎসকদের মতে,শরীরের ভেতরের যে তাপমত্রা যাকে বলে অন্তর্নিহিত তাপমত্রা গরমে সেটি বেড়ে যায়। মানুষের শরীরের ভেতরে যে থার্ম রেগুলেসান বা নিজস্ব তাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে তার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। আমাদের মস্তিষ্কে হাইপথেলামাস বলে একটি যায়গা আছে তারাই এই কাজ করে।
গরমে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কিভাবে
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শিশুদেরএকটি নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটি হচ্ছে হিট এক্সরসন। আগের স্তরে যে ব্যথা ছিল সেই সাথে যুক্ত হবে এই পর্যায়ে ক্লান্তি অবসাদ ও বিভিন্ন সমস্যা এবং শিশু এই সময় নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে এবং দেখা দেবে অধিক মাত্রায় ঘেমে যাচ্ছে। যদি আমরা হিট এক্সরসন বুঝতে
না পারি তার পরবর্তীতে দেখা দিতে পারে হিট স্ট্রোক অধিক তাপমাত্রায় এ সমস্যা হতে পারে। এবং শিশুর জন্য হিটস্ট্রোক এর মত খুব খারাপ ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও এর নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে লিভার ফুসফুস কিডনি এর ওপর হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা আস্তে আস্তে
কমে যেতে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যায় অতিরিক্ত গরম বা তাপমাত্রা একটি জটিল অবস্থা বা সমস্যা। এক্ষেত্রে হঠাৎ করে বাইরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় সেজন্য এটি নিয়ন্ত্রণে নাযুক হয়ে পড়ে। আর এই অনিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা বেড়ে
যাওয়ার কারণে আপনার শিশুর শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে সমস্যা গুলোর মধ্যে হচ্ছে হিপ ক্রাম যেটি অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীর থেকে বেশি মাত্রায় ঘাম বেরিয়ে যায়। সে ঘামের সাথে লবণ বেরিয়ে যায় আর সে জন্যই শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হয় এবং টানটান হয়ে যায়। এছাড়াও হাতে পায়ের ও শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ব্যথা করে।
গরমে শিশু শারীরিক সমস্যা কি
গরমে শিশু শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকরা বলেন,, চলতি বছরের গরমের তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাই অতিরিক্ত গরমে বড় মানুষদের পাশাপাশি শিশুরাও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। যার কারণে হাসপাতালে আসার শিশুর রোগীর সংখ্যাও প্রতিদিন অনেক বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে
শিশুদের জোরে আক্রান্ত হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যেটা অন্যান্য সময়ে তুলনায় এবার জোরে ধরানো ভিন্ন। সাধারণত শিশুরা যখন একদিনের জন্য জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসে বা চিকিৎসকের কাছে যায় তখন জ্বর কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে যে ওষুধ দেওয়ার পরেও শিশুদের জ্বর
কমছে না এবং সেটি শরীর থেকে যাচ্ছে না। শিশুদের জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়া বমি কাশিসহ বিভিন্ন অসুখ হচ্ছে। কাশিও অনেকদিন স্থায়ী থাকছে ওষুধ দেওয়ার পরেও কাশি ১৫ থেকে এক মাস পর্যন্ত স্থায়ী থাকছে। এবং সেটি ভালো হওয়া খুব কম। এছাড়া হিট স্ট্রো কেউ আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশুরা যেটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হচ্ছে।
এই সময় করণীয় কি
অতিরিক্ত গরমে যদি শিশুর মধ্যে এই সমস্ত লক্ষণ দেখা যায় তাহলে শিশুকে বেশি বেশি পানি পান করাতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে যে শিশু যাতে বেশি ঘেমে না যায়। এসময় করণীয় হচ্ছে খাবার স্যালাইন বা পানি জাতীয় ফল শিশুকে বেশি বেশি খাওয়াতে হবে যেন তার শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করতে পারে। যে সকল শিশু রোদে থাকে তাদের তাড়াতাড়ি ছায়ায় নিয়ে আসতে হবে বিশেষ করে ফ্যান এর নিচে আনতে হবে। শিশু শরীরের ঘাম যখন শুকানো হবে তখন তাকে পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে যাতে করে ঘাম পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি করার মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও শিশুকে ছায়াতে রাখা বেশি বেশি পানি পান করানো উচিত। এ সময় শিশুকে ভাজাপোড়া খাবার, তৈলাক্ত খাবার, অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়ানোই উত্তম। এছাড়া জাঙ্ক ফুড, প্রোটিন জাতীয় খাবার, ইত্যাদি এ সমস্ত খাবার থেকে এড়িয়ে চলাই ভালো।সাধারণত শসা, পেঁপে, তরমুজ
ইত্যাদি পানি জাতীয় খাবার যে খাবারগুলো শিশু বা মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে সেসব খাবার দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। শিশুদের ঢিলা ঢালা সুতি কাপড় পড়তে হবে যাতে তারা গরমে আরামদায়ক মনে করে।
গরমে শিশু যত্নে করণীয় কি
সাধারণত গরমে শিশু যত্নে নিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, খুব বেশি গরমে শিশুরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেজন্য বাবা-মা এবং অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে যেন শিশুরা কিছু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। অতিরিক্ত গরমে শিশুদের হিট স্ট্রোকের পাশাপাশি ডায়রিয়া নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পাট কি ও পাট শাকের উপকারিতা কি
অতিরিক্ত তাপমাত্রার সাথে এগুলো সংক্রমণ বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার পাশাপাশি চিকেন পক্স ও জল বসন্ত রুবেলা স্কাবিস বা খোসপাচড়া ইত্যাদি রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই বাবা মায়েদের কিছু বিষয়ে এখন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
- অতিরিক্ত গরমে শিশুরা যাতে বাইরে না যায় রোদে খেলাধুলা না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং ঘরে বা ছায়াই শিশুদের খেলাধুলা জায়গা করে দিতে হবে।
- ঘরের ভেতরে থাকলেও শিশুদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তারা ঘেমে না যায়। তাদের শরীরে বারবার ঘা মুছে দিতে হবে এবং ঘামের পোশাকটা ভিজে গেলে সেটি পাল্টে দিতে হবে। কারণ ঘাম যদি শরীরে বসে যায় থেকে বিভিন্ন ধরনের সর্দি কাশি জ্বর হতে পারে।
- গরমে শিশুকে আরামদায়ক সুতির হালকা রঙ্গে ঢিলা ঢালা পোশাক পড়াতে হবে যাতে করে তারা সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং আরামদায় মনে হতে পারে।
- শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করাতে হবে এবং পানিযুক্ত ফল যেমন ডাবের পানি লেবুর শরবত ফলের রস তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে দিতে হবে যাতে কোনভাবে শিশু দেহে পানি শূন্যতা না হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত গরমে খাবার যাতে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুকে বাসি খাবার কখনোই দিবেন না। বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেকক্ষণ বাইরে পড়ে থাকা খাবার শিশুদের দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ বাসি খাবার বা বন্ধ হয়ে যাওয়া খাবার শিশুরা খেলে তাদের ডায়রিয়া
- বমি পেটে ব্যথা বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার জাঙ্ক ফুড দেওয়া যাবে না শিশুদের সবসময় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও সতেজ খাবার দিতে হবে যাতে করে তাদের খাবারটা সহজে হজম হয়ে যায়।
- প্রতিদিন খাবারের সময় বাইরেও যাতে শিশুরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে সেটি আপনাকে নিশ্চিত করে রাখতে হবে।
- শিশুদের প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করানো এছাড়া গরমে শিশুরা যদি ঘেমে যায় তাহলে দ্বিতীয়বারও গোসল করানো যাবে। তাছাড়া মাঝে মাঝে তাদের হাতমুখ ধুয়ে দিতে হবে এছাড়াও শরীর ও মুছে দিতে হবে।
- গরমের শিশু ত্বকের দিকে বাড়তি যত্ন নজর দিতে হবে যাতে করে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে বিভিন্ন লোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকের রেশ ঘামাচি ফুসকুড়ি হতে পারে। তাই শিশুদের সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। এছাড়াও তাদের ধুলোবালি থাকে দূরে রাখা উচিত।
- শিশুদের ত্বক অত্যন্ত নরম ও কোমল থাকে সেজন্য সহজেই সানবার্ন হতে পারে তাই রোদে গেলে অবশ্যই শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সানবার ব্যবহার করা দরকার। । অতিরিক্ত গরমে শিশুরা বাইরে খেলা থেকে বিরত রাখুন ছাতা বা কাপড় দিয়ে শিশুদের ঢেকে রাখুন যদি আপনারা শিশুদের বাইরে নিয়ে যান। এছাড়া বিনা কারণে শিশুদের বাইরে না নিয়ে যাওয়াই ভালো।
- গরম থেকে বাঁচতে বাসার এসে খুব ঠান্ডা করে সেটি না রাখাই ভালো। খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে শিশু অসুবিধার কারণ হতে পারে। তাই শিশুর দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে যাতে ফ্যান বা এসে তাপমাত্রা শিশুর শরীরের জন্য আরামবাগ আছে কিনা।
- গরমে শিশুর চুল ছোট রাখুন এ সময় ঘাম বেশি হয় এবং বড় চুল হলে তা শুকাতে দেরি হয়। এ কারণে সর্দি কাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- গরমে যেন শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- সাধারণত গরমে বাচ্চারা খেতে চায় না সেদিকে আপনাকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সেসব খাবার রান্না করুন যে সব খাবার বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে। এবং সেই খাবার যেন তাদের সহজে হজম হয়ে যায়।
নিরাপদ পানি ও পানি জাতীয় খাবার
শরীলে যাতে পানি শূন্যতা দেখা না যায় সে যেন গরমের সময় তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ছয় মাসের কম বয়সী সকল শিশুদের পানি পান করানোর কোন দরকার নেই। তাদের আর্টিফিশিয়াল মিল্ক না দিয়ে ব্রেস্ট ফিডিং করানো পরামর্শ দিয়েছেন ডঃ আহমেদ। গরমের সময়
শিশুদের অন্য সময়ের চেয়ে বেশি বুকে দুধ পান করাতে বলা হয়েছে NHSO। তবে যে সব শিশুরা মায়ের বুকের দুধের বাইরে অন্য সলিড খাবার খায় তাদের বুকের দুধের পাশাপাশি বোতলে করে প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি ও পানি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। দিনে শিশুকে কতটুকু পানি খাওয়াতে হবে এ
বিষয়ে ডঃ আহমেদ বলেন যে, বাচ্চার চাহিদা অনুযায়ী তাকে পানি খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে একজন পেশাগত স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে কথা বলা ভালো। তবে জন্স হপ ইউনিভার্সিটির এন্ড মেডিসিনের তথ্যে বলা হয়েছে যে, যাদের বয়স ছয় মাসের বেশি তাদের দৈনিক অর্ধেক থেকে এক কাপ পরিমাণ পানি পান
করানো উচিত। যাদের বয়স এক থেকে দুই বছর তাদের জন্য দৈনিক চার কাপ ও স্কুলে যায় এমন শিশুদের দৈনিক ৮ কাপ পানি পান করানো উচিত। বয়সন্ধিকালীন শিশুদের বেলায় এটি দৈনিক 8 থেকে 12 কাপ পানি পান করাতে হবে। এছাড়া যারা প্রাপ্তবয়স্ক শিশু তাদের এ সময় ফল ফলে শরবত
সালাত ইত্যাদি ধরনের খাবার খাওয়ানো দরকার। এর মধ্যে রয়েছে তরমুজ তরমুজ এমন একটি ফল যার 60 থেকে শতাংশই হলো পানি এটি শরীরের বেশিভাগ পানি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর বাইরে গরমের শিশুরা দুর্বলতা কাটাতে মাঝে মাঝে তাদের খাওয়াতে হবে স্যালাইন ও পানি জাতীয় ফল ও খাবার।
শিশুর সুষম খাবার গুলো কি
শিশুর সুষম খাবার গুলোর মধ্যে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল শাকসবজি ইত্যাদি। অতিরিক্ত প্রবাহের কারণে বাংলাদেশের যদিও এসব সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু স্কুল খোলার পর শিশুরা যেন বাইরের খাবার খায় না সেদিকে তাদের বাবা-মাদের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। চিকিৎসকের মতে, বাইরের
ফুচকা চটপটি কিংবা ফাস্টফুড খেলে সেখান থেকে ডায়রিয়া সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সময় শিশুদের যতটা সম্ভব ফ্রেশ খাবার খাওয়াতে হবে। একটি শিশু সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য তাদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন আয়োডিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি ইত্যাদি সঠিক পরিমাণে খাবার থাকা দরকার।
আর সেজন্য অতিরিক্ত গরম বা তা প্রবাহের কারণে শিশুদের মৌসুমী ফর্মুলার পাশাপাশি সহজে যে সমস্ত খাবার হজম হয় সে সমস্ত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানো দরকার। যেমন দুধ ডিম ফলমূল শাক-সবজি ইত্যাদি। কিন্তু গরমের সময় এমনিতেই শিশুরা খেতে চায় না সেজন্য তাদের যদি প্রতিদিন একই
খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে শিশুর খাবারের ওপর অরুচি বেড়ে যায়। সেজন্য বাবা-মাকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য ধরে বিভিন্ন ধরনের খেলা বা মজা করে নতুন নতুন উপায় অবলম্বন করে শিশুদের খাওয়াতে হবে।
শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
শিশুকে গরমকালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রত্যেক বাবা-মারে প্রয়োজন। এ সময় তাদের সাবান দিয়ে নিয়মিত গোসল করাতে হবে এবং গোসলের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুতি কাপড় পড়াতে হবে। অতিরিক্ত গরমে শিশু বারবার ঘেমে গেলে অবশ্য একটি পাতলা কাপড় বা গামছা দিয়ে বারবার তাদের ঘাম মুছে
দিতে হবে কারণ ঘাম যদি শরীরে শুকিয়ে যায় তা থেকে বিভিন্ন ধরনের জ্বর বা সমস্যা হতে পারে। গরমকালে শিশু কোন ধরনের পোশাক পরবে সে দিকে বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের ঢিলা ঢালা পাতলা সুতি কাপড় পরানো ও নবজাতকদের কাপড়ের মুড়িয়ে না রাখার পরামর্শ দেন
চিকিৎসকরা। সবচেয়ে ভালো হয় সাদা কাপড় পরালে। শিশু শরীরের কষ্ট লাঘব করার জন্য এটি উপকারী। গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে মশা বা পোকামাকড় বেড়ে যায় সেজন্য শিশু শরীরে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখা ভালো। পাতলা জামা পরানো যেতে পারে নবজাতকদের বেলায় এটি না করে তাদের মশারির নিচে রাখা ভালো।
শিশুর খেলাধুলা
অতিরিক্ত গরমে শিশুদের বাইরে খেলাধুলা করতে না দেওয়াই ভালো। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হতে পারে। বিশেষ করে সকাল ১০ টা থেকে ৫টার মধ্যে এ সময় শিশুদের ঘরের মধ্যে রাখায় ভালো। কারণ এই সময়টা অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে। ঘরের ভেতরে বা ঠান্ডা জায়গায় শিশুরা খেলাধুলা
করলে তাদের কোন সমস্যা হবে না। এ সময় শিশুদের খাবার স্যালাইন সহ বিভিন্ন পানি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। অতিরিক্ত গরমে শিশুদের শরীরে সূর্যের ক্রিয়া-কলাপ থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। শিশুদের নিয়ে যদি বাইরে যাওয়া হয় তাহলে শিশুদের মাথায় টুপি বা হেট ব্যবহার করতে হবে এবং
সূর্যের ক্রিয়া-কলাপের সময় সূর্যাস্ত থেকে দূরে রাখতে হবে। হাইড্রেট থাকতে হবে। গরমে শরীর থেকে পানি ঝরে যায় তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে। তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের সবসময় ঘরের ভেতরে বা ঠান্ডা কোন জায়গায় রাখতে হবে।
শিশুর খাবারের সাবধানতা
অতিরিক্ত গরমে শিশুদের খাবারের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ এই গরমের সময় রাস্তাঘাটে বিভিন্ন ধরনের পানি জাতীয় খাবার বিক্রি হয় যেমন আখের রস, লেবুর শরবত, পানীয়, ইত্যাদি ধরনের খাবার বিক্রি করা হয়। বাইরের রাস্তায় চলার পথে শিশুদের পিপাসা লাগলে এই ধরনের খাবার থেকে
এড়িয়ে চলুন। কারণ এই সমস্ত বাইরের খাবার খাওয়া একদমই ভালো নয় এতে আপনার শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ সময় এই সমস্ত ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়ালে শিশুদের গলা ব্যথার জ্বর কিংবা বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে। আর তাই শিশুরা যেন এ ধরনের খাবার যাতে না খায়
সেদিকে আপনাকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। এর কারণে আপনার শিশু শরীরে ডায়রিয়া ও জন্ডিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি দেখা দিবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ডায়রিয়া হলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এছাড়া শিশুকে আইসক্রিম খাওয়ানো থেকে দূরে রাখুন। অনেক বাবা-মা মনে করে শিশুকে
আইসক্রিম খাওয়ালে তাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এ থাকবে এ ধারণা ভুল। সেজন্য শিশুকে বাসায় ফোটানো পানি পান করান। এবং খেয়াল রাখেন শিশু যেন পারে শূন্যতায় নাভোগে। তাই বারবার আপনার শিশুকে স্যালাইন বা পানি পান করান। এছাড়াও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে এই অতিরিক্ত গরমেশিশু যেন ক্লান্ত হয়ে না যায়।
লেখক এর মন্তব্য
সারাদেশে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘরের বাইরে জাওয়াটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরেছে।বাইরের এই অতিরিক্ত তাপমত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শিশুর শরীরের তাপমত্রাও বেড়ে যাচ্ছে।গরমে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কিভাবে?অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শিশুদেরএকটি নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটি
হচ্ছে হিট এক্সরসন। আগের স্তরে যে ব্যথা ছিল সেই সাথে যুক্ত হবে এই পর্যায়ে ক্লান্তি অবসাদ ও বিভিন্ন সমস্যা এবং শিশু এই সময় নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে এবং দেখা দেবে অধিক মাত্রায় ঘেমে যাচ্ছে।গরমে শিশু শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকরা বলেন,, চলতি বছরের গরমের তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাই
অতিরিক্ত গরমে বড় মানুষদের পাশাপাশি শিশুরাও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। যার কারণে হাসপাতালে আসার শিশুর রোগীর সংখ্যাও প্রতিদিন অনেক বাড়ছে।শরীলে যাতে পানি শূন্যতা দেখা না যায় সে যেন গরমের সময় তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ছয় মাসের কম
বয়সী সকল শিশুদের পানি পান করানোর কোন দরকার নেই। গরমে শরীর থেকে পানি ঝরে যায় তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে। তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের সবসময় ঘরের ভেতরে বা ঠান্ডা কোন জায়গায় রাখতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url