OrdinaryITPostAd

কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হয় কিভাবে ও তার ব্যবহার কি

আমরা সকলেই যদি একটু সচেতন হই তাহলে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে বাড়ির তৈরি সার ব্যবহার করতে পারি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হয় কিভাবে ও তার ব্যবহার কি? চলুন তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ।
কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হয় কিভাবে ও তার ব্যবহার কি


আপনার বাড়ির পাশে কিংবা ছাদে ছোটখাটো সবজি বাগানের জন্য আপনার বাড়ির তৈরি বর্জ্য গুলি সুষম সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই সার বিনা খরচে তৈরি করা যায় এবং গাছের জন্য খুবই পুষ্টিকর। কিভাবে এই সার তৈরি করা যায় সেই বিষয়গুলোই আজকের আলোচনায় রয়েছে।

কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হয় কিভাবে ও তার ব্যবহার কি

কিচেন কম্পো সার তৈরি হয় কিভাবে ও তার ব্যবহার কি বিষয়টি হয়তো অনেকেরই জানা নেই।বাড়ির রান্না করার পর যে বর্জ্যগুলো ফেলে দেওয়া হয় সেগুলোকে কম্পোষ্ট সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আলু পটল পিঁয়াজ এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পদার্থ থাকে যারা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দমন করতে

পারে। বিভিন্ন ফর্মুলার খোসা ও শাক সবজির অংশ থেকে নাইট্রোজেন পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফেট ও পটাশ ডিমের খোসাতেও নব্বই শতাংশের বেশি খনিজ পদার্থ রয়েছে। রান্না করার পর বাদ দেওয়া খাবার থেকে শুরু করে ফেলে দেওয়া বর্জ্যগুলো এক

জায়গায় জমা করে জৈব সার তৈরি করা যায়। উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন আমাদের মধ্যে এমন অনেক আছেন যারা কেঁচো সার কি তা জানেন না। সাধারণত অর্ধেক পচা জৈব পদার্থগুলো খেয়ে কেঁচো যে মলত্যাগ করে তার সাথে কেঁচোর শরীর থেকে যে রাসায়নিক পদার্থ বের হয় তা থেকে সার

তৈরি হয়। আপনারা সহজে আপনাদের বাড়িতে তৈরি সার ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ছোটখাটো সবজি বাগানে সার দেওয়ার কথা ভাবছেন আপনি অনায়াসে বিনামূল্যে বাড়িতে সার তৈরি করতে পারবেন। এই সার আমাদের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য যথেষ্ট উপকারী।

কম্পোষ্ট সার কি

সাধারণত কম্পোস্ট হচ্ছে পচা জৈব পদার্থের টুকরো এবং পচনশীল উদ্ভিদের উপাদান থেকে তৈরি জৈব পদার্থ। কম্পোস্ট সার মাটির গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে গাছের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং মাটির উপকারী জীবাণুগুলো যোগ করে দেয়। মাটির গঠনে কম্পোস্ট সারের একাধিক উপকারিতা

রয়েছে যেমন, উন্নত একত্রিকরণ ছিদ্র এবং জল সঞ্চয়। এটি ব্যবহারে কয়েক বছর পর ফসল ফলাতে সাহায্য করে। ২ শতাংশ নাইট্রোজেন, ০.৫-১ শতাংশ ফসফরাস, দুই শতাংশ পটাশিয়াম থাকে। নাইটোজেন সার এবং দ্রুত পচনের জন্য সার যোগ করা যেতে পারে। কম্পোস্ট সাড়ে নাইট্রোজেন ধীরে

ধীরে অল্প পরিমাণে পাওয়া যায় এবং নিচিং কমায় সে সাথে পুরো ক্রমবর্ধমান মৌসুমে এর প্রাপ্যতা প্রসারণ করে থাকে।

কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হয় কিভাবে

কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হয় যেভাবে, আপনার রান্নাঘরের সবুজ ও শুকনো বর্জ্যের একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেখানে কম্পোস্ট সার তৈরি করতে পারেন। সেজন্য প্রথমে আপনাকে ১৫ ইঞ্চি একটি গর্ত খনন করে নিতে হবে এবং সেই গর্তে আপনি বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ রাখতে পারেন এবং সেটির সম্পূর্ণভাবে

দমন করতে হবে কার্বন সমৃদ্ধ পদার্থ অর্থাৎ শুষ্ক পদার্থের বর্জ্যের আগে নাইট্রোজেশন কিংবা সবুজ পদার্থ গর্তে ফেলে দিতে হবে। এর কারণ হচ্ছে পুষ্টি খুব সহজে ভেঙ্গে যেতে সাহায্য করবে। এছাড়া আপনি যদি গর্তে কম্পোস্ট সার তৈরি করতে না চান। তাহলে কোন বালতি বা গভীর পাত্র ব্যবহার

করতে পারেন আপনাকে সে বর্জ্যের পরিমাণ বালতি বা পাত্র নিতে হবে। যদি আপনি কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি করতে চান তাহলে একটি ভেজা ও শুকনো বর্জ্য বিভিন্ন পাত্রে রেখে সেটি আবার তার উপরে থেকে ঢেকেরেখে দিতে হবে। সেটিতে ৬ থেকে সাতটি ছিদ্র করতে হবে যেন তাতে অক্সিজেন

ভালোভাবে সরবরাহ করতে পারে। আরো একটি কাজ করতে হবে সেটি হচ্ছে যে পাত্রে বর্জ্য থাকে কম্পোস্ট সার তৈরি করবেন। সেখানে আদ্রতা থাকতে হবে আপনি যেখানে কম্পোস্ট সার তৈরি করবেন সেখানে যে বর্জ্যগুলো রাখবেন তারপর সে বর্জ্যগুলোতে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো আস্তে আস্তে

রান্নাঘরে রাখা বর্জাগুলোকে পচাতে শুরু করবে। আপনি যদি একটি জায়গায় সার তৈরি করেছেন তাহলে আপনাকে বর্জন মিশ্রণটি আদ্র করে রাখতে হবে। আর সেই প্রতি সপ্তাহে ওই মিশ্রণ নাড়তে হবে, এর সাথে যদি কেঁচোর পেলে আপনার বর্জের সাথে মেশান তাহলে আপনার কম্পোস্টিং প্রক্রিয়াটি

আরো তাড়াতাড়ি হতে সাহায্য করবে। সেই পাত্রটি কোন প্লাস্টিকের সিট বা কোন টিম অথবা কাঠের তক্তা দিয়ে ঢেকে রাখলে সেটি আদ্রতা এবং তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

কিচেন কমপোস্ট সার তৈরি হতে কত দিন সময় লাগে

কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হতে যতদিন সময় লাগে সেটি হচ্ছে, এক মাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময় কাল কম্পোস্ট সার তৈরি হওয়া পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বড় যে, স্তূপ শুকনো মাটি এর গন্ধ আসতে থাকবে যখন সেই সমস্ত বর্জ্যগুলো পচে যাবে তখন সারবা মাঠের আকার ধারণ করবে।

কিচেন কম্পোস্ট সার ব্যবহারের সুবিধা কি

কিজেন কম্পোর সার ব্যবহারের সুবিধা গুলো হলো রান্নাঘরে বর্জ্য গুলো পূর্ণ ব্যবহার করা হয়। কম্পোস্টের মাধ্যমে সেজন্য এই বর্জ্যগুলো থেকে কম্পোস্ট সার তৈরি করা খুবই সহজ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে।এটি এন পি কে এর একটি উচ্চ উৎস যা গাছের পুষ্টির জন্য খুবই উপকারী। এটি
কিচেন কম্পোস্ট সার ব্যবহারের সুবিধা কি


মাটির আদ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।বর্জ্য থেকে তৈরি হওয়া কম্পোস্ট সাড়ে কোন ধরনের রাসায়নিক না থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার।এশার মাটির উর্বরতাকে উন্নত করে এবং গাছে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত কম্পোস্টের তুলনাই কেঁচো সার

বেশি পুষ্টি উপাদান ধারণ করে। এই স্বাদ দ্রুত প্রস্তুত হয় প্রায় দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমরা উন্নত মানের সার পেয়ে থাকি। মাটিকে ভঙ্গুর করে তুলে এবং মাটিতে বায়ু চলাচল বৃদ্ধি করে থাকে। গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

যে বর্জ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে

যে বর্জ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে সেগুলো হল, শাকসবজি ফেলে দেওয়ার অংশ বা খোঁচা শুকনো পাতা, রুটি সিরিয়াল, গমের ফ্লেক্স, ওষুধ, মসলা, ফলের খোসা, কলার খোসা, ডিমের খোসা, ঘরের ধুলাবালি, কুকুর বিড়ালের বাসি খাবার, খর,গোবর, চা পাতা, মাছ ধোয়া জল মাংস ধোয়া জল, জমে থাকা মলমূত্র

পাখি বাদুর এবং শীলের অবশেষে যেটা থাকে তা সার হিসেবে অনেক মূল্যবান আখরোটের ইত্যাদি। এই বর্জ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি কম্পোস্ট স্যার তৈরি করতে পারেন। এই সার আপনার সবজি বাগানে ব্যবহার করতে পারেন। এবং এই সার ব্যবহারের ফলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং পুষ্টি হবে সেইসাথে ফলমূল ভালো ফলন হবে।

আপনার ভালো লাগবে এমন আরো পোস্টের তালিকা

কোন বর্জ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে না

যেই বর্জ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে না সেগুলো হল, সব ধরনের তৈলাক্ত পণ্য জাত, দুধ, দই, পনির, তাজা মাংস, মাছের পণ্য, রান্না করার তেল, গাছের ডালপালা, টিস্যু পেপার কাগজপত্র ইত্যাদি এগুলো থেকে কম্পোস্ট সার তৈরি করা যায় না। এগুলো কোন পাত্রে রাখলে সেখানে দুর্গন্ধ বের হয়। এছাড়া

এসবের কারণে আমাদের বাড়ি কিংবা আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট হয় যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই বর্জ্যগুলো আপনি ভুলেও সার হিসেবে ব্যবহার করবেন না।

লেখক এর মন্তব্য

কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হয় কিভাবে ও তার ব্যবহার কি?আপনার বাড়ির পাশে কিংবা ছাদে ছোটখাটো সবজি বাগানের জন্য আপনার বাড়ির তৈরি বর্জ্য গুলি সুষম সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।আলু পটল পিঁয়াজ এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পদার্থ থাকে যারা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দমন

করতে পারে। বিভিন্ন ফর্মুলার খোসা ও শাক সবজির অংশ থেকে নাইট্রোজেন পাওয়া যায়।বাড়ির রান্না করার পর যে বর্জ্যগুলো ফেলে দেওয়া হয় সেগুলোকে কম্পোষ্ট সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।কম্পোস্ট সার মাটির গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে গাছের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং মাটির উপকারী

জীবাণুগুলো যোগ করে দেয়।কিচেন কম্পোস্ট সার তৈরি হতে যতদিন সময় লাগে সেটি হচ্ছে, এক মাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।কম্পোস্টের মাধ্যমে সেজন্য এই বর্জ্যগুলো থেকে কম্পোস্ট সার তৈরি করা খুবই সহজ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে।যে বর্জ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে

সেগুলো হল, শাকসবজি ফেলে দেওয়ার অংশ বা খোঁচা শুকনো পাতা, রুটি সিরিয়াল,সার হিসেবে অনেক মূল্যবান আখরোটের ইত্যাদি।যেই বর্জ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে না সেগুলো হল, সব ধরনের তৈলাক্ত পণ্য জাত, দুধ, দই, পনির, তাজা মাংস, ইত্যাদি।এসবের কারণে আমাদের বাড়ি কিংবা

আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট হয় যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলের দেয়া তথ্যগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট বা আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url