OrdinaryITPostAd

সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের কিছু ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

Sociological Theory এর ইতিহাস উপস্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ প্রিয় পাঠক আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের কিছু ঐতিহাসিক পর্যালোচনা।যেটি আমাদের জানা প্রয়োজন। বিষয়টি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের কিছু ঐতিহাসিক পর্যালোচনা


সাধারণত সমাজতান্ত্রিক তথ্যটি ঠিক কবে থেকে এর যাত্রা শুরু তা প্রতিষ্ঠিত করা প্রায় অসম্ভব যদিও Greek Roman এবংMiddle Age এর চিন্তাবিদ গণ এক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন তথাপি তাদের বক্তব্য Sociological Perspective নয়।

সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের কিছু ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

সামাজিক গবেষণায় তত্ত্ব একটি মৌল প্রত্যয়। তত্ত্ব সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রকে তরম্বিত করে থাকে। সমাজে যেসব ঘটনা ঘটে থাকে তা প্রত্যেকটি এক বা একাধিক তত্ত্বের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। বিজ্ঞানের অস্তিত্ব যেমন তার অনুসৃত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাফল্য

তেমনি তার উদ্ভাবিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল। সে জন্য তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কেবল একটি মৌলিক ধারণায় নয়, বরঞ্চ তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির চালকাসক্তি এবং উদ্দেশ্যও বটে। সাধারণভাবে তত্ত্বকে অবাস্তব ও কল্পনাধর্মী বলে মনে করা হয়। বৈজ্ঞানিক যুগের প্রারম্ভে তথ্য প্রায় কল্পনাশ্রয়ী ছিল।

বিজ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে তথ্য ও তথ্যের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে এবং অধিক তথ্য নির্ভর হয়েছে। তাই তত্ত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে Theory is a set of inter related proposition same of whice can be empirically tested. অর্থাৎ তথ্য হচ্ছে কতগুলো প্রস্তাবনার সমষ্টি যেগুলো বাস্তবতার নিরিখে পরীক্ষা

নিরীক্ষা করা যায়।আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক বিকাশ আলোচনায় তাদেরকে অগ্রাহ্য করা যায় না যেমন প্লাটো এর রিপাবলিক অ্যারিস্টোটল এর পলিটিক্স। তাই ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী Auguste comte  ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দের সোসিওলজি শব্দটি ব্যবহার করে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেও সমাজতন্ত্রের

ইতিহাস প্রাচীন এবং সুদীর্ঘ। George Ritzer তার Sociological Theory গ্রন্থের সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করতে গিয়ে সমাজতাত্ত্বিক চিন্তাধারাকে প্রধান দুটি ভাগে বিভক্ত করেছেন।
  • সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের বিকাশের সামাজিক শক্তি সমূহ
  • বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি সমূহ এবং সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের উদ্ভব
জ্ঞানের সকল শাখার বিকাশে সামাজিক ঘটনাবলী বিশেষ ভূমিকা রাখে। সোসিওলজি এর ক্ষেত্রে এ বক্তব্য একটু বেশি সত্য কেননা সচেয়োলজি কেবল সামাজিক অবস্থা থেকে অদ্ভুত নয় বরং এটা সোশ্যাল সেটিংসকে তার মৌলিক আলোচ্য বিষয় হিসেবে নির্ধারিত করেছে। তাই সমাজবিজ্ঞানের

তত্ত্বের বিকাশ আলোচনায় উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর সামাজিক প্রেক্ষাপট আলোচনার অপরিহার্য। কেননা এটা সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের কিছু ঐতিহাসিক পর্যালোচনা আলোচনা করা হলো যেমন।

রাজনৈতিক বিপ্লব

রাজনৈতিক বিপ্লবের কথা বলতে গেলে ১৭৮৯ সালে ফ্রেন্ডস রেভুলেশন এর মাধ্যমে পলিটিক্যাল রেগুলেশন বা রাজনৈতিক বিপ্লবের দীর্ঘ পরিক্রমা শুরু এবং উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ বিপ্লবিক ইতিহাস সোশিয়লজিক্যাল থিওর উত্থানের মূল বিষয়। তৎকালীন সমাজে এর প্রভাব ছিল অনেক ক্ষেত্রে

ইতিবাচক এবং ব্যাপক। তবে সমাজবিজ্ঞানের বিকাশের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা ছিল নীতিবাচক। কারণ ফ্রেন্স এর রেভুলেশন দেশের সামাজিক কোনো শাসকের বিপর্যস্ত করে। অন্যদিকে তৎকালীন ফরাসি সমাজ চিন্তাবিদগণ সমাজের মাঝে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। কেউ মিডিল এজ এ

ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন কেউ কেউ পরিবর্তন কেউ মেনে নিয়ে সামাজিক অনুশাসন এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা কথা বলেছেন।

শিল্প বিপ্লব এবং পুঁজিবাদের উত্থান

শিল্প বিপ্লব এবং পুঁজিবাদের ছিল সোসিওলজি এর তথ্য গঠনে সর্বাপেক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন যা উনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পাশ্চাত্য সমাজ গুলোতে দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করে। , মূলত এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং পারস্পরিক নির্ভরশীল কতগুলো

উন্নয়ন যা ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড কে কৃষিভিত্তিক ব্যবস্থা থেকে শিল্প বিপ্লব উত্তোলন ঘটায়। ফলে বহু সংখ্যক লোক হিসেবে নিযুক্ত হয়। কারখানাগুলোর টেকনোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে বিস্তৃত হতে থাকে। শিল্প এবং পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই কর্মসংস্থানের জন্য বিস্তৃত অর্থনৈতিক আমলাতন্ত্রের

বিকাশ ঘটে। এ পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য ফ্রি মার্কেটপ্লেস যেখানে শিল্পপত্ন বিনিময় শুরু হয়। এর অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় কিছু সংখ্যক লোক প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। অধিক শ্রমের স্বল্পমজুরি পেতে থাকে যার স্মৃতিতে শিল্পী এবং পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার বিপরীতে শ্রমিক শ্রেণীর হয় যা পরিবর্তে লেবার

মুভমেন্ট সৃষ্টি করে। এরই প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীতে বিভিন্ন রেভ্যুলেশনারি মুভমেন্ট এর সৃষ্টি হয়। এর সব কিছু ওয়েস্টার্ন সোসাইটিতে জাগরণ সৃষ্টি করে এবং সোসিওলজিস্টদের ভীষণভাবে নাড়া দেয় যা সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্বের বিকাশকে তরম্বিত করে।

সমাজতত্ত্বের উদ্ভব

পরবর্তীতে ওয়েস্টার্ন সোসাইটিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেমের ক্যাপিটাল ইজাম এর মধ্যবর্তী সংস্কার মূলক সমাজ ব্যবস্থা হিসেবে সোশ্যাল ইজম কে প্রত্যাশিত করা হয়। সমাজ চিন্তাবিদ মতামতকে সমর্থন করলেন তবে অধিকাংশই একে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করেননি। এদের মধ্যে কে মার্কস ছিলেন

ক্যাপিটালিজম এর প্রতিস্থাপনের সোসিয়ালিজমের সক্রিয় সমার্থক। অন্যদিকে ম্যাক্স ওয়েবার এবং এমিলডুরখেইম পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ক্যাপিটাল সিস্টেম সংস্কার আনার কথা বলেছেন। কার্ল মার্ক্স সমাজতন্ত্র সম্পর্কে কোন থিওরি দিয়েছেন বলা যায় না। তবে তিনি ক্যাপিটাল লিস্ট সোসাইটি এর

ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তিনি ক্যাপিটাল লিস্ট সিস্টেম উৎখাতের জন্য সক্রিয় রাজনীতি করেছেন যা সোশালিস্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। তিনি ম্যাক্স ওয়েবার এবং তার সহ চর এর বিরোধিতা করে ক্যাপিটাল লিস্ট রি ফ্রম করার কথা বলেছেন। তারা সোশালিস্ট সিস্টেমের সমস্যার

আশঙ্কা করেছেন। তাই তারা স্ট সোশিয়লজি থিওরি কে সেভাবে সাজাতে চেষ্টা করেছেন। তাই দেখা যায় তারা সোশ্যাল রিফর্মেশন এর চেয়ে সোশালিস্ট সিস্টেমকে তথা মার্কস থিওরির বিরোধী তথ্য সৃষ্টিতে অনেক সময় ব্যয় করেছেন।

নগরায়ন

ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন এর ফলে উনবিংশ শতাব্দীর জনগণ ব্যাপক আকারে গ্রাম থেকে শহরে আসতে শুরু করে। এই মেসেজ ম্যাকগ্রেশন এর কারণ শহরে ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মসংস্থান এর প্রাচুর্য। কিন্তু নগরের বিস্তৃত এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণে এখানে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখনকার

সমাজবিজ্ঞানীগণ এর সমস্যা দ্বারা আকৃষ্ট হন বিশেষ করে ওয়েবার এবং সিমেল। বস্তুত তাদের এর সমাজ সম্পর্কিত বিশ্লেষণ হতেই সহজলজিক্যাল থিওরি এর সৃষ্টি হয়।

ধর্মীয় পরিবর্তন

মানুষের ধর্মীয় পরিবর্তন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয় রাজনৈতিক বিপ্লব শিল্প বিপ্লব এবং নগরায়ন পলিটিক্যাল রেভুলেশন ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এবং আরবানাইজেশন এর দ্বারা। বস্তুত মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপের ধর্ম ছিল সর্বময় ক্ষমতার একছত্র অধিপতি, তখন টাকার বিনিময়ে শেল অফ এডু লেজেন্ড

পাওয়া যেত। এসব ধর্মীয় ওরাস্কর তার প্রতিবাদ করলেন মার্টিন লুথার এবং ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির Guttenberg শহরে চার্চে ৯৫ টি প্রতিবাদ টানিয়ে দেন যা ৯৫ টি Thesis নামে পরিচিত। তখনকার অনেক সমাজ চিন্তা ধর্মীয় পদভূমি কিংবা সুপ্রিয় ভাবে ধর্মীয় কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন, তারা

সমাজবিজ্ঞানেও ধর্মীয় নীতিমালার প্রতিফলন দেখতে চান। তারা জনকল্যাণের চিন্তা করেন ধর্মীয় নীতিমালা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

বিজ্ঞানের বিকাশ

ওয়েস্টার্ন সোসাইটিতে সোসিওলজিক্যাল থিওরি এর বিকাশের সাথে বিজ্ঞান চর্চার ব্যাপকভাবে শুরু হয়। কেননা বিজ্ঞানের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত লাভ করে এবং সাইন্স ওয়াজ একোয়ারিং ইন ওয়র মাউথ পেরেস্টটিং। সমাজ সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা অন্যান্য সফল বিজ্ঞান

ফিজিক্স বায়োলজি কেমিস্ট্রি এর সাথে সম্পর্কিত হয়েছিল। সমাজতাত্ত্বিকগণ বিশেষ করে অগাস্ট কোত এবং এমএল ডোরখেইম তাদের চিন্তা ধারায় বিজ্ঞানকে সংশ্লিষ্ট করেছিলেন এবং তারা সমাজবিজ্ঞানের জন্য একটা সাইন্টিফিক মডেল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে ম্যাক্সওয়েবা চেয়ে ছেলের সই

ছিল যে এর জন্য স্বতন্ত্র সাইন্সটিফিক মেথড। অনেকে অবশ্য একে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। বস্তুত সমাজবিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে বিবাদকে সমৃদ্ধ করেছে।

বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি সমূহ এবং সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বের উদ্ভব

সমাজ বৈজ্ঞানিক তথ্য বিকাশ উক্ত সোশ্যাল সেটিংস গুলো প্রধান ভূমিকা পালন করলেও ইন্টেলেকচুয়াল ফোর্সকে এ থেকে পৃথক করা যায় না। নিম্নে সেই বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো জ্ঞানালোকের যুগ অনেক সমাজ বিশ্লেষক মনে করেছেন, বুদ্ধিবৃত্তির সমাজবিজ্ঞানের বিকাশের ক্ষেত্রে

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রিট যার বলেন যুক্তি ও বিজ্ঞানের বিকাশের কালে গতানুগতিক ধ্যান ধারণা এবং বিশ্বাসকে পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞা যুগের উল্লেখযোগ্য সমাজ চিন্তাবিদ হচ্ছেন ফরাসি দার্শনিক Charles Montesqueu 1689-1755 and Jean Jacques Rousseau 1712-

1778. সমাজবিজ্ঞানের তথ্য বিকাশের ক্ষেত্রে এলিজেন্টমেন্ট এর ভূমিকা যতটা না প্রত্যক্ষ এবং ইতিবাচক ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল পরোক্ষ এবং নেতিবাচক। যেসব চিন্তাবিদ এলিজেন্টমেন্ট এর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা দুটি বুদ্ধিবৃত্তির ধারা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।

ফরাসি সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ

দা ডেভেলপমেন্ট অফ ফ্রেন্ডস সোসিওলজি এর বস্তুত সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্বের বিকাশের ক্ষেত্রে ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী Claude Henri Saint Simon August Comte and Emile Durkheim সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। Saint-Simon ছিলেন অগাস্ট কোতে চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ। অগাধ কোত তার প্রথম জীবনের সায়েন্স সিমন

এর সেক্রেটারি এবং অনুসারি ছিলেন। তিনি সমাজকে স্থিতিশীল রাখতে চেয়েছিলেন। আবার Social Phenomenon to Natural scienceএর মত Scientific method এ বিশ্লেষণ করতে চেয়েছিলেন। আবার অর্থনীতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক সংস্কারের কথা বলেছিলেন। তবে তিনি মনে করেন না যে শ্রমিক

শ্রেণী পুঁজিবাদী শ্রেণীর বিকল্প হতে পারে। আগস্ট কোট সর্বপ্রথম সোশ্যাল ফিজিক্স শব্দটি ব্যবহার করেন 1822 খ্রিস্টাব্দে। পরবর্তীতে ১৮৪৯ সালে পজেটিভ ফিলোসপি গ্রন্থে সোসিওলজি শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনিও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি সমাজবিজ্ঞানে তিনটি স্টেজের কথা বলেছেন তার ল অফ থ্রি স্টেজ হল
  • Theological Stage
  • Metaphysical Stage
  • positive Stage
E durkheim এর উপর A.Comte এর মত Enlightenment এর প্রভাব ছিল Negative. তবে কিছু ইতিবাচক প্রভাব ও ছিল. যেমন তিনি সাইন্স রিফরমেশন এর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনিও ছিলেন রক্ষণশীল ধারার সোসিয়াল ডিসঅর্ডার কে তিনি মেনে নিতে পারেননি।

জার্মান সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ

জার্মান সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম চরিত্র হচ্ছে কে মার্কস এম ও এবার এবং সিমেল। মূলত জার্মান সমাজবিজ্ঞান মার্কজিয়ান এবং নন মার্জিন এ দুটি ধারায় বিভক্ত। মার্কসের মতে দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। তিনি এ দ্বান্দ্বিকতা ব্যবহার করেছেন বস্তুজগৎ বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিষয়

সম্পর্কে। মার্কস ধর্মের এবং ধর্মীয় ব্যবহার সম্পর্কে ব্যাপক সমালোচনা করেন। অর্থনীতিকের ক্ষেত্রে মূল আলোচ্য বিষয় স্থির করেন। তিনি মনে করেছেন সম্পদের উৎস। তিনি পুঁজিবাদের সমাজ কামনা করেন। সুতরাং ম্যাক্সওয়েবারকে কেন্দ্র করে জার্মান সমাজবিজ্ঞান বিকাশ লাভ করে। মার্ক দিন

সোশিয়লজি তে ইকোনমিক ফ্যাক্ট সর্বদা আই ডি এস কে প্রভাবিত করে। ওয়েবার মূলত আইডিয়াস ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ করে রেলিজিয়াস আইডিয়াস কিভাবে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি রচনা করেছেন প্রোটেস্ট্যান্ট অ্যাথিক এন্ড দ্যা স্পিরিট অফ

ক্যাপিটালিজম। মার্কস সামাজিক স্তরায়নে এর ক্ষেত্রে ক্লাস এর কথা বলেছেন, ওয়েবার সে ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস এবং পাওয়ার এর কথা বলেছেন। জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ছিলেন ওয়েবারের সমসাময়িক এবং একত্রে জার্মান সমাজবিজ্ঞান সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রচনা করেছেন ফিলোসফি মানে এতে সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাত্ত্বিক বক্তব্য রাখা হয়। তিনি মুদ্রা অর্থনীতির বিকাশ আলোচনা করেন।

ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাব

ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মূলত হার্বাট স্পেন্সারের অসাধারণ অবদানের মাধ্যমে। স্পেনসার কে স্মরণ করা হয় মূলত তার বিবর্তনবাদে তথ্যের জন্য। তিনি চার্জ ডারউইন এর দৃষ্টিভঙ্গি প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যোগ্য তোমরা টিকে থাকে ধারণাটি গ্রহণ করেন। কিন্তু ডারউইন এর অনেক পূর্বেই
ব্রিটিশ সমাজবিজ্ঞানের আবির্ভাব



তিনি সার্ভিস ভাল অফ দা ফিটে স্ট প্রত্যেকটি ব্যবহার করেন। এর সম্পর্কে রিটাজার তার সোসিওলজিক্যাল থিওরি গ্রন্থে বলেন, ইন্টারেস্টিংলি ইট ওয়াজ অফ দা ফিটেস্ট সেভেরাল ইয়ার অন ন্যাচারাল সিলেকশন।

ইতালীয় সমাজ বিজ্ঞানের বিকাশ

ইতালিতে সমাজবিজ্ঞানের বিকাশ ঘটে Vilfredo Pareto and Gaetano Mosca এর রচনা বলির মাধ্যমে। Pareto Elite তথ্য সমাজবিজ্ঞানে বহুল আলোচিত। তার মতবাদের স্বতন্ত্রতা হচ্ছে তিনি সমাজ পরিবর্তনের চক্রাকার মতবাদ প্রদান করেন। প্যারেড ও মনে করেছেন সমাজ কতগুলো পৃথক অংশ

নিয়ে গঠিত এরা স্বাধীনভাবে ক্রিয়া করে কিন্তু সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়া জাপানি ভারতীয় সমাজ বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিশ্লেষণ তথ্য সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্বের বিকাশকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান। যদিও জ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে সমাজতত্ত্বের বিকাশ ঘটেছে অল্প কিছুদিন হলো। তথাপি

সমাজতত্ত্বের আবির্ভাবের প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বহু আগে থেকেই। সময়ের বিবর্তনে বিভিন্ন দার্শনিক সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সমাজতত্ত্বের বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

লেখক এর মন্তব্য

আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক বিকাশ আলোচনায় তাদেরকে অগ্রাহ্য করা যায় না যেমন প্লাটো এর রিপাবলিক অ্যারিস্টোটল এর পলিটিক্স।সমাজ বৈজ্ঞানিক তথ্য বিকাশ উক্ত সোশ্যাল সেটিংস গুলো প্রধান ভূমিকা পালন করলেও ইন্টেলেকচুয়াল ফোর্সকে এ থেকে পৃথক করা যায় না।মূলত মানব সমাজ

সম্পর্কিত চিন্তাবিদদের অন্তদৃষ্টি তত্ত্ব। সভ্যতার অতি প্রতিশে মানুষের জীবনযাপনের শুরু থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। আর জীবনের সমস্যার সম্পর্কিত চিন্তা ভাবনার সূত্র ধরে আবির্ভাব ঘটেছে সমাজতত্ত্বের। আর পরিবর্তে সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের পরিবর্তন বিভিন্ন

ধরনের বিপ্লবের ফলশ্রুতি মানুষের চিন্তাধারা ও সামাজিক জীবন সম্পর্কের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে আজকের এই সমাজতত্ত্ব। প্রিয় পাঠক আজকের দেয়া তথ্য দেয়া তথ্যগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে পাশে থাকবেন।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url