OrdinaryITPostAd

কলা খাওয়ার উপকারিতা কি তা জানুন

বিভিন্ন ফলমূলের মধ্যে কলা হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এবং এই ফলের রয়েছে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো অন্যান্য পুষ্টি যা আমাদের প্রত্যেকের শরীরে অনেক উপকার আসে। কলা খাওয়ার উপকারিতা কি তা জানুন।

কলা খাওয়ার  উপকারিতা কি তা জানুন


কলা খেলে মানুষের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এছাড়াও বিভিন্ন নানা কাজে সাহায্য করে। কলা সকালে খালি পেটে খাওয়া মোটেই উচিত নয় এছাড়া সকালের নাস্তার সাথে যদি কলা খাওয়া যায় তাহলে উপকার হয়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে কলা খেলে হজম করতে সাহায্য করে।

কলা খাওয়ার উপকারিতা কি তা জানুন

কলা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। পাকা কলা কাঁচা কলা। দুই ধরনের কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পুষ্টি রয়েছে। কলা এমন একটি ফল যে ফল সারা বছরই পাওয়া যায়। কলা ছোট বড় সব ধরনের মানুষ খেতে পারবে। কলা খেলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং হজম

ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যেটি আমাদের শরীরকে শক্ত করতে সাহায্য করে। কলা এমন একটি ফল যেটি খেলে দাঁতের ক্যালসিয়াম এবং দাঁতকে মজবুত করতেও সাহায্য করে। নিয়মিত কলা খেলে ইমিউনিটি সিস্টেম প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কলাতে

রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান । কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই যেটি আমাদের বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং আমাদের সকল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে প্রসারিত সাহায্য করে। এছাড়াও কলা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে তা নিজে আলোচনা করা হলো।

হজম শক্তি বাড়ায়-কলা খেলে শরীরে হজম শক্তি বাড়তে সাহায্য করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে এবং এটি পরিপাকতন্ত্রের সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।

শক্তি বৃদ্ধি করে- কলাতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট এটি তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি প্রদান করে থাকে। তাই একে প্রকৃতির এনার্জি বার বলা হয়। ব্যায়াম করার আগে বাবা পরে কলা খেলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়।

মেজাজ ভালো থাকে- কলা তে থাকার tipro fanনামক একটি উপাদান যেটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন হরমোন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি বিষন্নতা দূর করে মানুষের মেজাজও ভালো রাখে। প্রত্যেকটি কলায় গড়ে রয়েছে 27 মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম যার কারণে মানুষের মন ভালো রাখতে এবং ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে- কলাতে ক্যালরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে মানুষের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এবং এই কলা খেলে পেট ভরে যায় এছাড়া ক্ষুধা কম লাগে। তাই যারা ওজন কমাতে চাই তাদের জন্য।

ত্বকের যত্নে কলা- কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি ত্বকের উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে।

কিডনি ভালো রাখে- কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় কিডনি কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। কলার মাধ্যমে স্বাভাবিক স্তর ও পটাশিয়াম বজায় রাখা যায় যেটি কিডনির স্বাস্থ্যকে ধারণ করতে সাহায্য করে থাকে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে- কলা খেলে শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। আইরন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বাড়ায় যেটি রক্তস্বল্পতা দূর করে দেয়। অ্যানিমিয়া হলে শরীরে ক্লান্তির অনুভূতি হয়ে থাকে বা হতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারে। কলা একটি খুবই উপকারী ফল যেটিতে

রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা গঠন করতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন বি৬ রক্তে গ্লুকোজ মেটাবলিজমের প্রক্রিয়ায় ভূমিকা। রাখে

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়- কলাতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ছয় ও ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ কমায়- কলা খেলে মানুষের চাপ কমাতে সাহায্য করে। কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম ভিটামিন বি ৬ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

চুলের যত্ন- কলার পেস্ট চুলে লাগালে চুল সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়। করায় থাকা পটাশিয়াম এবং ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে প্রীতি করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধের সাহায্য করে- কলায় রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন মানুষের শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে থাকে। যেটি ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষ করে করায় থাকা ভিটামিন সি এবং প্লেনোভন এড ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

হারে শক্তি বাড়ায়- ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকাই মানুষের শরীরের হাড় এর শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং অস্টিওপোর শিষে ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে- কলা মানুষের শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। আমাদের শরীরের দৈনন্দিন ভিটামিন বি ৬ এর চাহিদা 5% পূরণ করতে পারে কলা খেলে। কলা শরীরকে সুস্থ কোষের তৈরি জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিন হিমোগ্লোবিন এবং এমিনো এসিড গঠন করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন সি আমাদের দৈনন্দিন চাহিদার ১৫ শতাংশ কলা পূরণ করে থাকে ।

ডায়রিয়ার জন্য উপকারী- কড়াই এক ধরনের প্রতিরোধে স্ট্যাটাস যেটি পরিপাকের প্রক্রিয়াটিকে সচল করে। এবং বৃহতান্ত্রে গিয়ে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে পরিণত হয়ে থাকে বা হতে পারে। যখন ডায়রিয়া হয় তখন শরীর থেকে অপক্ষয় জনিত খনিজ পদার্থ পূরণ করার জন্য কলা খাওয়ার মাধ্যমে এটি সেরে যেতে পারে।

বেশি টান পড়া কমায়- জনফকস বলেন,, কলাতে আছে ইলেক্ট্রোলাইট যাদের ওকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। দেহে খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও বেশি টান পড়া কমাতে কলা খাওয়া জরুরী।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে- যে সকল মানুষের কষ্ট কাটানো রয়েছে তাদের বেশি বেশি করে পাকা কলা খাওয়া দরকার। এই পাকা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে কারণ এতে রয়েছে ফাইবার যেটি পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কলা খাওয়ার আরো অন্যান্য উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।


লেক্তির নাম অফ প্রোটিন কলাতে পাওয়া যায়। এই ল্যাপটেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ যেমন লিওকম ইয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকে এবং খেলাধুলার সাথে যুক্ত থাকে তাদের জন্য কলা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। আর যখন ব্যায়াম করে বা কোন খেলা করে থাকে সে

সকল মানুষের শরীর থেকে অনেক বেশি ঘাম বের হয় বা রেশন পদার্থ নির্গত হয়ে থাকে। যার ফলে তাদের শরীর থেকে সামান্য পরিমাণ ইলেকট্রোলাইট অথবা খনিজ উপাদান খামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস বা খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যেমন ক্যালসিয়াম

সোডিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস ইত্যাদি একটি মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। অনেকের ডায়রিয়া হলে কাঁচা কলা খেলে ডায়রিয়া সেরে যায়। কলাতে ভিটামিন সি-এ ই থাকায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কলাতে মিনারেল হিসেবে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে এই পটাশিয়াম আমাদের শরীরের রক্ত চাপ ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

কলা খাওয়ার অপকারিতা কি

কলা খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে যে সকল মানুষ রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় তাদের রাতের বেলায় কলা না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও ঠান্ডা লাগা অবস্থায় কলা না খাওয়াই ভালো। শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে যেন তাদের ঠান্ডা লাগা অবস্থায় কলা না

খাওয়ানো হয়। এছাড়া খুব বেশি কলা খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় ভালো।যাদের রেনাল ফেলিও রয়েছে বা কোন অসুখের কারণে পটাশিয়াম খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে তাদের কলা না খাওয়াই ভালো।

লেখকের মন্তব্য

বিভিন্ন ফলমূলের মধ্যে কলা হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এবং এই ফলের রয়েছে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ আরো অন্যান্য পুষ্টি যা আমাদের প্রত্যেকের শরীরে অনেক উপকার আসে।কলা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। পাকা কলা কাঁচা কলা। দুই ধরনের কলাতে প্রচুর

পরিমাণে ভিটামিন পুষ্টি রয়েছে। কলা এমন একটি ফল যে ফল সারা বছরই পাওয়া যায়। কলা ছোট বড় সব ধরনের মানুষ খেতে পারবে। কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই যেটি আমাদের বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং আমাদের সকল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে প্রসারিত সাহায্য করে।কলা খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে যে সকল মানুষ রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয় তাদের রাতের বেলায় কলা না খাওয়াই ভালো। উপরের দেয়া তথ্যগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক বা কমেন্ট দিয়ে সাথে থাকবেন।

                                                                                                                                                                                                                                  

                                                                                                                                                                                                                      

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url