নিউমোনিয়া রোগ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা জানুন
কলা খাওয়ার উপকারিতা কি তা জানুন
নিমোনিয়া রোগটি নাম আপনারা সবাই জানেন। নিমোনিয়া রোগ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই রোগ হলে দ্রুত চিকিৎসা না নিলে জীবন মৃত্যুর সম্মুখীন হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ছত্রাক বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট এক ধরনের ফুসফুসের সংক্রমণ।
নিমুনে একটি বা উভয় ফুসফুসের বায়ুথলি স্ফীত হয়ে যায় এবং সেই বায়ুর থলি পুজ বা তরল দে আটকে যেতে পারে যার কারণে পুশ বা কফ শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং ঠান্ডা লাগা ও জ্বর এর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। নিউমোনিয়া রোগের তীব্রতা সাধারণত হালকা থেকে অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে।
নিউমোনিয়া কি
নিউমোনিয়া এক ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক ও পরজীবী দ্বারা ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হয়। নিমোনিয়া সময় ফুসফুসে বায়ু থলি গুলি এবং তরল বা পুচ দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায় যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। নিউমোনিয়ার কয়টি কারণ আলোচনা করা হলো যেগুলো হলে মানুষের শরীরে
নিউমোনিয়া হয়। ব্যাকটেরিয়া যেমন স্টেপ টোকক্কাস,ভাইরাস যেমন শ্বাসযন্ত্রের সিনসিয়াল ভাইরাস, ছত্রাক সাধারণত দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে এটি দেখা যায়।নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি হতে দেখা যায় এছাড়াও শিশু ও তরুণদের মধ্যে হয়ে
থাকে। নিমোনিয়া রোগটি সাধারণত শীতকাল ও বর্ষাকালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে দেখা দেয়।এবং এই রোগের কারণেই বর্তমান যে করোনা ভাইরাস এর মত রোগ নিমোনিয়ার রোগগুলি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর প্রায় লক্ষাধিক মানুষ নিমনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়।বিশেষ করে
শীতকালে বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার হার প্রায় 14 থেকে 30%।
নিমোনিয়া রোগের কারণ
সাধারণত যখন আপনার ইমিউন সিস্টেম শরীরের ভেতরে ফুসফুসের মধ্যে ছোট বাতাসে থলিতে সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, এবং তখন প্রদাহ ফোলা ভাব এবং তরল ফুটো হয়ে যায় সে থেকে নিমোনিয়া হতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ছত্রাক পরজীবী ইত্যাদি নিউমোনিয়া তে
পরিণত হওয়ার সংক্রমণকে ট্রিগার করতে পারে। এই ভাইরাস গুলি সাধারণত শিশু স্কুল বয়সী ও বৃদ্ধ মানুষদের বেশি হয়ে থাকে। এই প্রাণঘাতের রোগ সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে কিভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। নিমোনিয়া রোগের কারণ বিভিন্ন জীবাণু হতে পারে। আমাদের শরীরের স্বাভাবিক
রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণত এই জীবাণুদের থেকে আমাদের রক্ষা করে থাকে। কিন্তু কোন কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা দুর্বল হলে সেটি সংক্রমণ হয়।নিমোনিয়া হলে এর সাথে আরো কিছু রোগ শরীরে যুক্ত হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা এটি রাইনো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। ইনফ্লুয়েঞ্জা
বা ফ্লু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। হিউম্যান মেটাপোনিয়ামো ভাইরাস, মাইকো প্লাসমা নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া নিউমোকোকাল রোগ নিউমোসিস নিমোনিয়া রেসিপি সিনসিয়াল ভাইরাস ইত্যাদি। নিমোনিয়া রোগ থেকে সৃষ্ট প্রধান প্রধান কারণ গুলো হলো।
স্কাস নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া প্রায় শতকরা ৫০ টি নিমোনিয়ার কারণ হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সরাসরি হতে পারে এছাড়া সর্দি কাশি জ্বর এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া শরীরের বাসা বাঁধতে পারে।
নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া হল হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ক্ল্যামিডোফেলিয়া নিউমোনিয়া লেজিউল্লা নিমফিলিয়া এবং ম রা কেল্লা কাতার হালিশ। অতিরিক্ত মদ্যপান অভ্যস্ত ব্যক্তিদের নিমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে।
সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার মত জীবাণু যেমন মাইক্রো প্লাজম নিমোনি থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ হয়ে থাকে।
ভাইরাসের কারণে ব্যাকটেরিয়া সাধারণত প্রায় এক তৃতীয়া অংশ নিমোনিয়া সংক্রমণ হয়। এছাড়া সর্বাধিক নিমোনিয়া কারক ভাইরাস হল রাইনো ভাইরাস, , করোনা ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রেসিপি রেটরি সিংকা সাইকল ভাইরাস, ইত্যাদি। অঙ্গ প্রতিষ্ঠাপন এবং দুর্বল ইমো নেটের কারণ ভাইরাল নিউমোনিয়া হতে পারে।
ছত্রাক জাত নিমোনিয়ার হার অত্যন্ত কম এ ধরনের ছত্রাকদের নাম হিস্টপ্লাসম, ক্যাপসুলাটাম, ব্লাস্টোমাইসিস, ক্রিপটোকক্কাস, নিওফরমান্স, ইত্যাদি। দুর্বল ইমিউনিটির কারণে ছাত্ররা থেকে নিমোনিয়া সংক্রমণ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃগরমে আপনার শিশুর যত্ন নিবেন কিভাবে
বিভিন্ন পরজীবী থেকেও নিউমোনিয়া হতে পারে যেমন ট্যাক্সোপ্লাসম,গণ্ডী, স্ক্রঙ্গিলইদেস, স্তেরকরালিস ইত্যাদি।
নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ কি
আমাদের যেকোনো রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানা থাকলে দ্রুত চিকিৎসার কাছে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।লক্ষণ যদি না জানা থাকে তাহলে অনেকেরই সমস্যা হয়ে যায়। নিমোনিয়া রোগের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই। কিভাবে নিমোনিয়া রোগ হয় নিমোনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি কি?
সে বিষয়গুলো নিচে আলোচনা করা হলো। এছাড়াও নিমোনিয়ার লক্ষণ গুলি সাধারণত সংক্রমনের ধরন ও ব্যক্তির স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে থাকে।
- প্রচন্ড কাশি- কাশির সাথে হলুদ বা সবুজ রঙের সিনেমা বের হতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট- শ্বাসকষ্ট নিতে কষ্ট হওয়া বা শ্বাস নিতে গেলে বুককে ব্যথা অনুভব.
- জ্বর-নিমোনিয়া হলে জোরে তাপমাত্রা সাধারণত 103 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- ঘাম ও কাঁপুনি- বিশেষ করে রাতে ঘেমে যাওয়া ও ঠান্ডা লেগে শরীরে কাঁপুনি হওয়া।
- বুকে ব্যথা- শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠানামা করে ব্যথা।
- মাথাব্যথা ও ক্লান্তি- এ সময় প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে এবং মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হয় ও ক্লান্তি হয়।
- কাশি এবং তার সাথে হলুদ বা সবুজ রঙের স্লেশ মা বা কফ আসে।
- প্রচুর শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট হয়।
- শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের ভিতর ঘড়ঘড় করে এবং ছোট বাচ্চাদের পাঁজরের হাড় খাঁচার মতো দেখা যায়।
- সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয় ও প্রচুর ক্লান্তি লাগে।
- খাবারের অরুচি এবং জ্বর টানা তিন সপ্তাহের বেশি হয়।
- নিউমোনিয়া রোগটি দীর্ঘকাল হলে কাশির সাথে রক্তপাত হয়।
- শরীর ফেকাসের নীল শিরার দাগ দেখা দেয়।
যদি কোন শিশু বৃদ্ধ বা তরুণ সকল ধরনের মানুষের মধ্যে এই সকল সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া এই সমস্যা বা লক্ষণ গুলি থেকে আরও বেশি লক্ষণ ও দেখা দিতে পারে। নিমোনিয়ার সর্বাধিক যেই উপসর্গগুলি দেখা যাবে সেগুলি হল
কাশি ও জ্বর এবং ক্লান্তি এই তিনটি প্রধান লক্ষণ নিউমোনিয়া রোগের। এছাড়া নিমনের রোগের লক্ষণ নির্দিষ্ট কিছু বয়স এর ওপর ভিত্তি করে আলোচনা করা হলো।
- ছোট বাচ্চাদের নিমোনিয়ার লক্ষণ
- জ্বর ঠান্ডা সাধারণ অসস্তি ঘাম অথবা উজ্জ্বল বা হলুদ ত্বক
- কাশি শ্বাস নিতে অসুবিধা বা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট
- ক্ষুধামন্দ বা খাবারের অরুচি
- বমি বমি ভাব কিংবা বমি হয়ে যাওয়া
- শরীর অস্থিরতা দেখা দেয়া
- ক্লান্তি বা শক্তির অভাব
- শিশুদের মধ্যে লক্ষণ সাধারণত শ্বাসকষ্ট বা কোলাহল, প্রসব কমে যাওয়া, কান্না করা, খাবার খেতে না চাওয়া, বুকের খাঁচা ঢুকে যাওয়া।
- বৃদ্ধ বয়স্কদের মধ্যে নিমোনিয়া লক্ষণ
- হালকা বা কম লক্ষনীয় লক্ষণ দেখা যায় যেমন কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিতে না পারা
- শরীরে স্বাস্থ্য কমে যাওয়া
- মানসিক অস্বস্তি ও পরিবর্তন হওয়া
- খাবার খেতে না পারা এবং ক্লান্তি হয়ে যাওয়া
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার কি
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেয়া যেটি সাধারণত এই অবস্থার সাথে যুক্ত হয়ে থাকে। প্রতিদিনের সতর্কতা অবলম্বন করা নিমোনিয়ার ঝুঁকি কে আরো কমিয়ে আনতে পারে সেটি হচ্ছে নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন দেয়াতে। প্রত্যেকের যদি
নিমোনিয়া ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে তাহলে নিমনিয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। এছাড়াও সাধারণত সর্দি কাশি বা জ্বর এসবকিছু থেকে দূরে থাকতে হলে, বিভিন্ন ঠান্ডা লাগা অবস্থা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেন এই সমস্ত অসুখ বিসুখ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। নিমোনিয়া ভ্যাকসিন দুটি
ধরনের শর্ট আসে ও নিউক্লোকাল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট যেটি নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ফ্লোর শার্টের সাথে তুলনীয় এই ভ্যাকসিন গুলি সব ধরনের নিমোনিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে না তবে যদি অসুখ দেখা দিয়ে থাকে তাহলে এটি অনেক বেশি
হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়। নিউমোকোকাল ভ্যাকসিন নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। এবং এটি নির্দিষ্ট বয়সের গুষ্টি বা নিমোনিয়ার উচ্চ ঝুঁকিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সুপারিশ করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি মানুষের জন্য উপযুক্ত ভ্যাকসিনটি নির্ধারণ করা হয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে সাথে পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করুন।
ভাইরাল টিকা- এটি যেহেতু নির্দিষ্ট কিছু ভাইরাস নিমোনিয়া হতে পারে তাইকোভিট নাইন্টিন এবং ফ্লোর বিরুদ্ধে টিকা নেওয়া নিমোনিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
শৈশব টিকা- যাদের বাচ্চা আছে তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে অন্যান্য সুপারিশকৃত ভ্যাকসিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে হবে এছাড়া নিউমোনিয়ার সাথে যুক্ত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দ্বারা অত্যন্ত কার্যকর।
এছাড়া আপনি বিভিন্ন ক্লিনিক বা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার শিশুকে নিমোনিয়া ভ্যাকসিন দিতে পারেন। আপনার বাচ্চার জন্য ভ্যাকসিন পাঁচ বছরে পাঁচটি দেওয়া লাগে। এই ভ্যাকসিন প্রত্যেক বছর একটি করে দিতে হয়। নিউমোনিয়ার এই ভ্যাকসিন দিলে আপনার বাচ্চার নিউমোনিয়া হবে না। সেজন্য
আপনি আপনার নিকটস্থ ক্লিনিক বা কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার শিশুকে ভ্যাকসিন দিন। এই টিকা গুলো ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করা যেতে পারে যার কারণে নিমোনিয়া ঝুঁকি কমানোর ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও নিউমোনিয়া প্রতিরোধের কার্যকারী উপায় গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- বিশ্রাম নিতে হবে ও প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক খেতে হবে
- প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ফ্লু ভ্যাকসিন দেওয়া
- ব্যবস্থা করতে পারেন বা ভ্যাকসিন দিতে পারেন
- কফ মেডিসিন ব্যবহার ও জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা
- শ্বাস-প্রশ্বাস এর হার অব্যাহত রাখা প্রয়োজন হলে অক্সিজেন দেওয়া।
- নিজেকে ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে ও ভালোভাবে হাত স্যানিটাইজেশন করতে হবে
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে ধূমপান করা যাবে না
অন্য মানুষের সামনে হাতি বা কাশি দেওয়া থেকে দূরে থাকুন এবং হাসিবা কাশি দেওয়ার সময় মুখে হাত বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে
ধূমপান ত্যাগ করা এবং ফুসফুসের ক্ষতি রোধ করতে এই সংক্রমণের সংবেদনশীলতা রাস করতে সেকেন্ড হ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে এড়ানো উচিত
খাওয়ার আগে বা খাবার পরিচালনার আগে বিশ্রাম করা এবং খাবার পরে হাত সাবান দিয়ে ধোঁয়া সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ইত্যাদি।
ঠান্ডা বা কোভিড ১৯ এর মত সংক্রামক রোগ এ সমস্ত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ না রাখাই ভালো এদের থেকে দূরে থাকুন
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ব্যায়াম করা পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়া স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা সঠিক জীবনধারা অনুসরণ করা।
বাইরে ধুলাবলি না লাগানো এবং মাস্ক ব্যবহার করা বিদ্যমান সংক্রমণ বা স্বাস্থ্যের অবস্থার জন্য চিকিৎসার সন্ধান করুন যেটা আপনাকে প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে দুর্বল করতে পারে সেজন্য আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশুদের জন্য নিউমোনিয়া প্রতিরোধের উপায় গুলো নিচে আলোচনা করা হলো। দুই মাসের কম বয়সী সকল শিশুদের জন্য নিমোনিয়া একটি ভয়াবহ রূপ আকার ধারণ করতে পারে। কারণ এই সকল শিশুদের খুব বেশি ঠান্ডা লেগে যায় অথবা গরমে ঘাম বসে সর্দি কাশি থেকে আসতে আসতে সেটা
নিমোনিয়া তে পরিণত হয়ে থাকে। শিশুর এরকম অবস্থায় অবশ্যই হাসপাতালে অথবা চিকিৎসকের কাছে দ্রুত নিয়ে যাওয়া উচিত। এছাড়াও অন্যান্য কাজগুলি হলো
- শিশুদের সময় মত নিউমক্কাকাস, হাম এবং হুপিং কাশি টিকা দেওয়া উচিত
- শিশুর প্রথম ছয় মাস বুকের দুধ খাওয়ানো এতে শিশুদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
- শিশুর যদি নিমোনিয়া দেখা দেয় তাহলে সুখ জাতীয় পানীয় খাবার খাওয়ান, এতে করে শিশুর শরীরে শক্তি যোগান দেয়।
- এছাড়া শিশুর কাশির ওষুধ সম্পর্কে পালমোনোলজি ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করুন
- ঠিক সময়ে শিশুকে খাবার এবং ওষুধ খাওয়ার
- শিশুদের লবণাক্ত গরম জলে ভ্যাপার নেওয়া।
নিমোনিয়া রোগীদের খাবার
নিমোনিয়ার রোগীদের খাবার যে সমস্ত তালিকা দেয়া হয় সেগুলো আলোচনা করা হলো। নিমোনিয়ার সাথে লড়াই করার জন্য সবসময়। নিউমোনিয়া রোগীদের সুষম খাদ্য খেতে হবে এজন্য যে নিমোনিয়া রোগীদের শরীরে ক্লান্তিকর অবস্থায় যেন শক্তি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট সহজ প্রাচ্য খাবার এবং
প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে, এছাড়া গরম দুধ নারকেলের জল তাজা রস ও বাটারমিল্ক বা ঘোল ইত্যাদি জাতীয় খাবার খেতে হবে। নিউমোনিয়া রোগীদের পনির ডাল লেবুর মত খাবার সবুজ শাকসবজি গরম সুপক দই জাতীয় প্রবায়োটিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। এ সমস্ত খাবার
খেলে একটি নিমোনিয়া রোগী সহজেই সেরে উঠতে পারে। যে সমস্ত খাবার নিমুনিয়া রোগীকে এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো হল ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা খাবারে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়া ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার না খাওয়া।
লেখক এর মন্তব্য
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নিমোনিয়া রোগের লক্ষণ কারণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।নিমোনিয়া রোগটি নাম আপনারা সবাই জানেন। নিমোনিয়া রোগ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই রোগ হলে দ্রুত চিকিৎসা না নিলে জীবন মৃত্যুর সম্মুখীন হয়ে যায়।নিউমোনিয়া এক
ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক ও পরজীবী দ্বারা ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হয়। নিমোনিয়া সময় ফুসফুসে বায়ু থলি গুলি এবং তরল বা পুচ দিয়ে পূর্ণ হয়ে যায় যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।নিউমোনিয়ার কয়টি কারণ আলোচনা করা হলো যেগুলো হলে মানুষের শরীরে নিউমোনিয়া হয়।
নিউমোনিয়া রোগের প্রতিকার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেয়া যেটি সাধারণত এই অবস্থার সাথে যুক্ত হয়ে থাকে।এছাড়া আপনি বিভিন্ন ক্লিনিক বা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার শিশুকে নিমোনিয়া ভ্যাকসিন দিতে পারেন। নিউমোনিয়া রোগীদের পনির ডাল লেবুর মত খাবার সবুজ শাকসবজি গরম সুপক দই জাতীয় প্রবায়োটিক খাবার গ্রহণ করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url